পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هډثتمر سset ইহার পর আমরা সীতারাম রায়ের পিতা দিয়াছিলেন। র্তাহার অধীন কৰ্ম্মচারীদিগের মধ্যেও যোগ্য উদয়নারায়ণকে ভূষণার ফৌজদারের অধীনে সাজোয়ালরূপে দেখিতে পাই। উদয়নারায়ণ ভূষণ নগরের অদূরে গোপালপুর গ্রামে বাসস্থান স্থির করেন ; পরে হরিহরনগর নামক গ্রামে বাস করিতে থাকেন। তিনি উত্তররাটীয় কায়স্ককুলসভূত ছিলেন। কাটোস্কার নিকট কোন গ্রামে তিনি দয়ামী নামী এক ঘোষ-দুহিতার পাণিগ্রহণ করেন । সীতারাম এই বিবাহের ফল । সীতারাম,সম্বন্ধে অনেকেই আলোচনা করিয়াছেন। তবু, বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে কিছু না-বলিলে ভূষণার কথা অসম্পূর্ণ থাকিয়৷ যায়। তিনি প্রথম বয়সে কিছু সংস্কৃত, ফার্সি ও উর্দু, শিখিয়াছিলেন কিন্তু অস্ত্রশিক্ষায়ই র্তাহার মনোযোগ ছিল অধিক। র্তাহার পিতা ঢাকায় রাজদরবারে নিযুক্ত থাকার সময়ে তিনিও সেখানে যাতায়াত করিতেন। পরে উদয়নারায়ণ ভূষণার সাজোয়াল হইয়া আসিলে, তিনিও দম্বাদমনের কাৰ্য্যে ভূষণ অঞ্চলে আসিলেন । এই কাৰ্য্যে সাফল্যলাভ করিয়া সীতারাম নবাবসরকার হইতে জায়গীরও লাভ করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি পিতার স্তায় নবাব সরকারে চাকরি করিয়াই জীবনক্ষেপ করিবার লোক ছিলেন না। র্তাহার অস্ত্রবিদ্যা নিজের কার্য্যে ভালমত লাগাইতে তিনি কিছুমাত্র দ্বিধাবোধ করেন নাই । নবাবপক্ষে নিযুক্ত হইয়া করিম খাঁ পাঠানের বিদ্রোহুদমনই তাহার উন্নতির স্বত্রপাত। সে সময়ে দস্থ্যবৃত্তি দেশে বিশেষভাবে প্রচলিত। সীতারাম জায়গীর ও সেই সঙ্গে আরও দস্যদলনের ভার পাইলেন । র্তাহার বীর সঙ্গীও অনেক জুটিয়া গেল ! জুনিরাম রায় ও রামরূপ বা মেনাহাতী ইহাদের মধ্যে প্রধান। দহ্যদলনে তিনি ক্রমেই অধিকতর কৃতকাৰ্য্যত দেখাইতে লাগিলেন ; অল্পর বাসস্থান স্থাপন করিলেও সমৃদ্ধ ভূষণ নগরীতে প্রায়ই যাতায়াড় করিতেন। র্তাহার খ্যাতি বাড়িতে লাগিল ও রাজা’ উপাধি লাভ হইল । তিনি দক্ষিণ-বাংলা জাবাদে আনিবার সনন্দ পাইলেন এবং বর্তমান মাগুরা মহকুমায় অবস্থিত মহম্মদপুর নগর স্থাপন করিলেন। হিনূর এই মৃত্ত রাজধানীর মুসলমানী নাম হইল কেন ? এ-সম্বন্ধে নানা প্রবাদ অাছে। খুব সম্ভব, তখনও তিনি মোগলের বশ্যত জৰীকার করেন নাই, মোগল শাসনকৰ্ত্তাকে সত্তই রাখিবার জন্যই নিজ নগরের মুসলমানী নাম মুসলমানের অভাব ছিল না। মৃন্ময় দুর্গ, স্ববৃহৎ মনোরম জলাশয়, সুন্দর দেবমন্দির ইত্যাদি দ্বারা মহম্মদপুর ভূবিত হইয়াছিল। সীতারামের কীৰ্ত্তি অতীতের অনেক ঝঞ্জাবাত সহ্য করিয়া এখন পর্য্যস্ত দর্শকের চিত্ত বিনোদন করে । নানাস্থান হইতে রাজসরকারে কৰ্ম্ম ও বাণিজ্যাদি উপলক্ষে লোক আসিয়া মহম্মদপুরকে ক্রমে সমৃদ্ধ করিয়া তোলে। এই সময়ে নানাস্থানে রাজা-প্রজায় অসম্ভাব-রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা— সীতারামকে রাজ্যবিস্তারে সহায়তা করে। জমিদারীতে বিশৃঙ্খলা ?—সীতারাম অমনি শৃঙ্খলার নামে গ্রাস করিতে প্রস্তুত। অন্য জমিদারের প্রজা বিদ্রোহী ?—সীতারাম সেখানে সেই প্রজাকে নিজের প্রজায় পরিণত করিতে পশ্চাৎপদ নহেন। সীতারামের জমিদারী ক্রমেই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইতে লাগিল। এক সময়ে মুকুন্দরাম ও সত্ৰাঞ্জিতের প্রতাপে ভূষণ অঞ্চল কম্পিত হইত। সীতারাম সত্ৰাজিতের বুদ্ধ প্রপৌত্রগণকে নিজের এলাকাভুক্ত করিলেন। নলডাঙ্গার রাজা তাহার জমিদারীর পূর্বভাগ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইলেন । সীতারামের সকল কথা বিস্তৃতরূপে লিখিবার স্থান এ নয় । উত্তরে পদ্মা পৰ্য্যস্ত অনেক পরগণা—নসিবসাই, নসরৎসাহী, মহিমসাহী, বেলগাছী প্রভৃতি এবং সম্ভবতঃ পদ্মার উত্তরেও কিছু কিছু তিনি ক্রমে হস্তগত করেন। দক্ষিণেও তাহার রাজ্য অনেক দূর পর্য্যস্ত বিস্তৃত হইয় পড়ে—কতক গায়ের জোরে, কতক আবাদী সনদের বলে। উজানীর রাজাদের অনেক স্থান তিনি অধিকার করিয়া জন । সীতারাম কেবল রাজ্যবিস্তারই করিতেন না, তিনি নিজের রাজ্যে শৃঙ্খলাস্থাপনের চেষ্টা করিতেন, পাণ্ডিত্যের সমাদর ও সাহায্য করিতেন, বাণিজ্যের বুপ্তিসাধন করিতেন, সমাজসংস্কারেও অমনোযোগী ছিলেন না । মোগল স্থবৃেদারগণের দুৰ্ব্বলতাই সীতারামের প্রতাপ বহুদিন অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছিল। ক্রমে ভূষণার ফৌজদারের সহিত তাহার বিবাদ বাধিল । বারাসিম নদীর কূলে এক ক্ষুত্র যুদ্ধে ফৌজদার আবুতোরাপ নিহত হইলে সীতারাম ভূষণ অধিকার করিলেন । ভূষণার তখন অত্যন্ত প্রবৃদ্ধি ; BBDD BB DDBBS BBS BBS BBBBS BBBS