পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ

  • $$

এমন সময় কে যেন সম্মুখ হইতে বলিয়া উঠিল, “এরই মধ্যে নাওয়া-ধোওয়াসেরে এলি গা ? ধষ্ঠি তোদের গতরকে, শীতও লাগে না ।” মেমোট চমকিয়া মুখ তুলিয়া চাহিল। মাথা হেঁট করিম চলিতেছিল বলিয়া একজন ক্ষীণাঙ্গী প্রৌঢ়, তসরের খাটে। শাড়ী পরিমা ডিঙ্গি মারিতে মারিতে যে প্রায় তাহার গায়ের উপর আসিয়া পড়িয়াছেন, তাহা সে বুঝিতে পারে নাই। উত্তর না দিয়া উপায় নাই, অগত্য। সে বলিল, “হঁ্যা গঙ্গাজলমাসী, সকাল সকালই এসেছি ।” প্রৌঢ়া নারী মেয়েটির মায়ের ‘গঙ্গাজল, সাতিশয় গুচিবাইগ্রস্তা, কখন কি অশুচি জিনিষ মাড়াইয় ফেলেন, সেই ভয়ে লাফ দিয়া দিয়া চলেন। গঙ্গাজল ঠাকুরাণী বলিলেন, “তা ত দেখতেই পাচ্ছি। তা এত তাড়া কিসের লা ? জন-মনিষ্যি নেই, একলা সোমত্ত মেয়ে ঘাটে এসেছিস কেন ? তোর মা কি সঙ্গেও আসতে পারে না ?” মেয়েটি শুষ্কমুখে বলিল, “মায়ের বড় অসুখ, ক’দিন বিছানা থেকে উঠতেই পারেনি।” “ভাল মা-বাপ বাছা তোমার। ইনি ওঠেন ত উনি পড়েন, উনি ওঠেন ত ইনি—এই মরেছে, রাম, রাম, রাম— ভোরবেলাই এ কি নরকে পা দিলাম মা ! পোড়ারমুথি শতেক খোয়ারিদের ভাত খাওয়া চিরদিনের মত ঘুচে যাক, পাত যেন আর ঘরে পাততে না হয় ।” বলিয়া অজ-শিশুর ন্যায় লম্ফ দিতে দিতে প্রৌঢ় নিমেযমধ্যে অস্তস্থিত হইয়৷ গেলেন । মেয়েটি একটু বিস্মিত হইয়া মাটির দিকে তাকাইয়৷ দেখিল । আর কিছু নয়, একখানা ছেড়া শালপাতা উড়িয়া আসিম্বা পথের উপরে পড়িম্বাছে, তাহতেই গঙ্গাজলমালী এতখানি সস্ত্রস্ত হইয়া পলায়ন করিলেন। মনে মনে বলিঙ্গ, గా নইলে কত ষে-বকৃথক করত যুড়ী, তার ঠিকানা p. কলীটিকে দৃঢ়ভাবে কক্ষে চাপিয়া ধরিয়া ভরশী দ্রুতপক্ষে বাকী পথটুকু অতিক্রম করিয়া বাড়ির ভিতর চুৰিয়া পড়িল ।

  • গদাঞ্চলের জেরা এক্ষাইবার জন্ত লে বলিয়াছে, যা অভ্যন্ত चरेर,किक्त थेम्बन्न चाश्र्वा गच्छाश् छख् प्क्यौ किङ्ग नव ।

BBBBS DDHDmmDD DHHHD D CBB BS BBB তাই দিন দুই তিন জরের প্রকোপে গুইয়াছিলেন । আজি সকালে জর নাই, উঠিয়া তাই মেয়েকে একটু সাহায্য করিবার চেষ্টা করিতেছেন। এ কমদিন হতভাগী একলা হাতে থাটিয়া থাটিয়া সারা হইয়া গিয়াছে। ঘরকরণার সমস্ত কাজ ত আছেই, গোয়ালঘরে দুইটি গরু আছে, তাঁহাদের সেবাও করিতে হয়, তাহার উপর দুইটি রোগীর সেবা । উমাপ্লক্তি ঘোষাল ত হাপানিতে ভুগিয়া ভুগিয়া কঙ্কালসার হইয় পড়িয়াছেন, তিনি ষে আবার কোনো দিন সারিয়া উঠিয়া সাধারণ মানুষের মত চলাফেরা করিতে পরিবেন, সে ভরসা আর মা বা মেয়ে কেহই করে না । মেয়ের সাড়া পাইল্প মা রাল্লম্বর হইতে ডাকিয়া বলিলেন, “অম্বা, এলি মা ?” ভিজা কাপড়খানি উঠানের বাঁশের উপর মেলিয়া দিতে দিতে মেমে বলিল, “এই এলাম মা ।” তাহার পর জলের ঘড়াটি তুলিয়া লইয়া রান্নাঘরের ভিতর গিয়া প্রবেশ করিল, সেটি এক কোণে নামাইয়া রাগিয়া বলিল, “তুমি সাত-তাড়াতাড়ি উনন ধরাতে বসলে কেন মা ? আমি এসেই ধরাতাম।” মা বলিলেন, “তা হোক গে, আমি এখন ত ভালই আছি । দুটো দিন ত দাতে কুটে কাটলাম না, আজ সকাল সকাল রোধে মুখে একটু কিছু দিই। তা ধী অরুচি, মুখে সব যেন তেতে। হালিৰ লাগে । মেন্থে বলিল, “ম্যালেরিয়া জরের ধারাই ঐ। ও-বছর দেখলে না আমার কি দশা হ’ল ?” গুড় অম্বলমৃদ্ধ ক্ষেতে লাগত। হ্যা মা, বাবা উঠেছেন ?” মা বলিলেন, “না বাছ, এই ভোরের দিকে ভৰে ত একটু ঘুমলেন। যা যন্ত্রণ গিয়াছে সারারাত, সে জার বলবার নয়। এ আর চোখে সন্ন না, কিন্তু ঠাকুর কতদিন যে পাপচোখে এই স্বাতনা দেখাবেন তা তিনিই জানেন।” * জম্বা বলিল, “সেই শাদ ওফুট জুরিয়ে গিয়েই ত এই বিপদ বাধল। আমি বললাম বেঙ্গল করে হোক আমি নিয়ে আসি। তা তুমি নিজেও যেতে পারবে না, জামাকেও যেতে দেবে না, এরকম করলে কি চলে ?” মা বলিলেন, “কোন প্ৰাণে তোমায় যেতে দেব মা ? এ গাঙ্গে কি মাকুব আছে ? সব পিশাচের বাস। ছৰ্ব্বলের