পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ অম্বা বলিল, “ই তা আর না ? শীতের দিন, দুটো পান্ত খেলেই আমনি আমার অস্থখ করে ষাৰে ।” অগত্য ভাতে জল ঢালিয়া শারদা ইড়ি তুলিয়া দিলেন । সকালবেলাটা ধেমন কুয়াসাচ্ছন্ন ছিল, এখন হইয়াছে তেমনি প্রখর রৌত্র। শারদা মেয়েকে ডাকিয়া বলিলেন, "ওরে আমি এই বেলা একটু ভূষণের কাছে হয়ে আসি। তুই ঘরে দোর দিয়ে বোস, তোর বাবা ঘুম থেকে উঠলে দুধসাবুট দিস।” অম্বা ঘরের ভিতর বসিয়া “অভিজ্ঞান শকুন্তলা’ পড়িতেছিল, বইখানি হাতে করিয়াই বাহির হইয়া আসিল । তাহার বিশাল চক্ষু ছুটি তখন স্বপ্রাচ্ছন্ন, ক্ষুদ্র ও নিষ্ঠুর বর্তমানকাল ছাড়িয়া সে অতীতের কোন অপূৰ্ব্ব মায়াময় রাজ্যে উধাও হইয়৷ গিয়াছে। বনবাসিনী আশ্রমৰালাও সম্রাটের প্রেমের যোগ্য। যেখানে, সেই রাজ্যেই অম্বার মন তখনকার মত বাধা পড়িয়া গিয়াছে । * মায়ের কথামত দরজাটা বন্ধ করিয়া বসিয়া সে আবার বইয়ে মন দিল। এমন নিবিষ্ট হুইয়া সে পড়িতেছিল যে, বেলা কোথা দিয়া গড়াইয়া চলিয়াছে সেদিকে তাহার লক্ষ্যমাত্র ছিল না। উমাগতি ডাকাডাকি করায় ভাঁহার চমক ভাঙিল। বইখান। সাবধানে উপুড় করিয়া রাথিয়া সে বলিল, “দাড়াও বাবা, তোমার দুধ-সাবুট গরম করে এনে দিই। ’ দুধ সাৰু গরম করিয়া রান্নাঘরে আবার শিকল তুলিয়৷ দিম সে ফিরিঙ্গ আসিল । দুধের বাটি পিতার সম্মুখে রাখিয়া বলিল, “তুমি খেয়ে নাও বাবা, তারপর আমাকে ডেকো, আমি বাটি তুলে নিয়ে যাব।” বিকালের পড়ন্ত রোদ তখন আড়াআড়ি ভাবে দাওয়ায় আসিয়া পড়িতেছে। থানিক পরে আবার সেই হিমশীতল রাত্রি। যতক্ষণ আছে ইহার মধুর উত্তাপটুকু উপভোগ করিয়া লণ্ডয় স্বাকৃ। অম্বা মাছুরট রৌদ্রের মধ্যে টানিয়া জানিয়া বইখানি জাবার খুলিয়া বসিল, কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার একে বারে অমরক্ষাৰ্যের হাসাগরে ডুবির গেল। বাহিরের দরজার শিকলটা কম্বন করিয়া উঠিল । श्रषा झकिङ ड्हेब्रु। ऐंटेब्र : क्लोब्रिटिक उाकाहेब्र cगषिण । ওমা রো একেবারে উঠানের কোশে গড়াইয়া গিয়াছে, रर्षाएरङब्र चाब्र क्लिक्झेरि१: कृछिद्र निश्व मब्रखाझे भूनिद्रा অস্ত্যপূৰ্ব্ব৷

  • $t

দিল, বইখানি তখনও তাহার হাতে । বাহিরে তাহার মায়ের সঙ্গে গ্রামের চিকিৎসক ভূষণ সেন দাড়াইয় । জম্বা লজ্জাম লাল হুইম্বা তাড়াতাড়ি সেখান হইতে সরিয়া আসিল । শারদ। ভূষণের দিকে তাকাইয়া বলিলেন, “ওই আমার মেয়ে বাবা । বড় লক্ষ্মী, কিন্তু গ্রামের লোকের অত্যাচারে মা আমার চোখের উপর গুকিয়ে উঠছে । আজ আমায় বললে আমি পুড়ে মরলে ত সকলেরই ভাল হয় ।” ভূষণ বলিল, “আপনার আমার কথা শুকুন, ভিটার মায় ছেড়ে কলকাতায় চলে যান । সেখানে এত অত্যাচার আপনাদের সহ করতে হবে না। আপনাদের সমান অবস্থার মানুষও সেখানে আছে, কাজেই একেবারে সঙ্গমৰ্তীন বা বন্ধুহীন আপনার হবেন না ।” শারদা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “হয়ত ভাই-ই আছে অদৃষ্টে,”—তিনি যেন বিমনা হইয়াই কিছুক্ষণ দাড়াইয় রহিলেন। ভূষণ চারি দিকে তাকাইয়া দেখিল, কিন্তু যে আশায়, তাহা পূর্ণ হইল ন । সেই স্থদর মুখখানির অধিকারিণী কোথায় লুকাইয়া আছে, তাহা সে বুঝিতে পারিল না। তখন শারদকে ডাকিয় সচেতন করিয়া বলিল, “চলুন মা, ঘোষাল মশাইকে দেখে আসি।” শারদা বলিলেন, "চল বাবা । ভগবান তোমার মঙ্গল করুন । এই গায়ে স্বজাতি যারা আমাদের, তারা এখন রাক্ষসের মূৰ্ত্তি ধরেছে, মানুষের প্রাণ শুধু তোমার মধ্যেই আছে।” দুই জনে গিয়া উমাগতির শয়নকক্ষে প্রবেশ করিলেন । - অস্ব গিয়া রান্নাঘরে লুকাইয় ছিল । ভূষণ সেনের সঙ্গে সে কথা বলে না, কিন্তু দু-জনে দু-জনকে দিব্য চেনে । ঘোষানী বুড়ীর মারফতে একের কথ। আর একজন শুনিতে পায়। একবার বুঝি সে অম্বার সংস্কৃতজ্ঞানের কথা শুনিয়া বলিয়াছিল, “তোমাদের দিদি ঠাকৃঙ্কণের নাম বদলে সরস্বতী নাম দাও।” সে-কথা আর সকলে তুলিয়া গিয়াছে, অম্ব। ভোলে নাই। নিস্তন্ধ মধ্যাছে, লিস্থাহীন রাত্তে, অনেক বার এইভাবে শোনাকথাগুলি মনে করে, আর তাহার বুকের রক্ত উত্তপ্ত হইয় ওঠে । কিন্তু নিজের মনের ভাব কখনও বুঝিবার চেষ্ট। সে ধরে নী, বাহা স্বপ্নেও অভাবনীয়, সে চিন্ত সাধ করিস্থাকি কেহ ডাকিয় জানে ?