পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ঝিলম বা পৌরাণিক বিভস্ত নদীর তটসংলগ্ন রাস্তায় উপনীত হইয়া আমাদের গাড়ী নক্ষত্ৰবেগে ছুটিল । তখন আর চারি পার্থের দৃপ্ত বড় একটা দৃষ্টিগোচর হইল না, কেবল এই শ্রোতস্বিনীর আবৰ্ত্তিত ফেনিল তাণ্ডব ও গর্জন গোচরীভূত হইতেছিল। বড় বড় • কাঠের তক্তা ও রঙ্গ অসংখ্য ভাসিয়া চলিয়াছে। পাৰ্ব্বত্য চর, পাইন প্রভৃতি কাঠের ব্যবসায়ীরা এইরূপে কাঠ চিরিয়া নদীর ধীরে ধীরে আটকাইয় রাখে এবং বন্যার সমক্ষে ভাসাইয়া পঞ্চনদের নানা স্থানে চালিত করে ; তাহাতে কম খরচে নদীসংলগ্ন বিভিন্ন কাঠগোলায় নিজ নিজ চিহ্নিত মালগুলি পঠাইয়া থাকে। মোটর ও বৃষ্টির বেগের বিরাম নাই। ক্রমে নিম্নগামী পথে রাওলপিণ্ডি হইতে চৌষটি মাইল দূরে কোহাল নামক ক্ষুদ্র } দোমেল নামক স্থানে একটি ঝুল-সেতুর দৃপ্ত শহরে উপনীত হইলাম। এখানে পান্থনিবাস অর্থাং ডাকবাংলা পোষ্ট্র ও তার আপিস এবং সামান্ত দোকানপট ইত্যাদি আছে। শুদ্ধ (Customs) আপিসের কাৰ্য্যে ক্ষণকাল অতিবাহিত হওয়ার পরেই নদীর উপর স্বধৃশ্য সেতুটি পার হইয়া কাশ্মীর রাজ্যান্তর্গত পথে আমাদের গতি কাপুর স্পেশালে কাশ্মীরের পথে ३ २ * আরম্ভ হইল। পরপারেই কাশ্মীর-মহারাজের এক প্রাসাদ বিরাজমান। এই উভয় রাজ্যের সংযোগস্থলটি পরম রমণীয় । ইহার আপেক্ষিক উচ্চতা ১৮০০ ফুট মাত্র, কিন্তু পথের দুই ধারে গগনচুৰী শৈলরাজি বিরাজিত। উভয় রাজপথ, ীিনগর রাজ্যের সীমান্তস্থিত এই রাস্তাটি ঝিলম নদীর সহচররূপে চলিয়াছে, কোথায়ও বিচ্ছেদ নাই। ক্রমে আমরা পচাশি মাইল দূরবর্তী ঝিলম ও কিষণগঙ্গার সংযোগস্থলে অবস্থিত অপূৰ্ব্ব দৃশ্য দোমেল নামক স্থানে পৌছিলাম। এখানেও পন্থশাল, ডাক ও তার আপিস এবং হাসপাতাল আছে । উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের হাজারী জেলার সদর একটাবাদ নামক ছাউনী-শহর হইতে একটি মোটরগমনোপযোগী রাস্ত এখানে আসিয়া মিলিত হইয়াছে। দেমেলের উচ্চতা ২,২• ০ ফুট । এখানেও শুদ্ধ আপিসে আমাদের ও সঙ্গের অপর পর্যটক দলের গাড়ী এবং মালবাহী লরি প্রভৃতির ভিড় লাগিয়াছে দেখা গেল। বৃষ্টির বেগ কথঞ্চিং কম থাকায় এবং প্রায় এক ঘণ্টাকাল বিলম্ব হওয়ায় আমরা চা পান করিয়া লইলাম। দোমেল-সংলগ্ন ঝিলম নদীর উপর ঝুল-সেতুর