পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুই বন্ধু ডক্টর ঐকানাইলাল গাঙ্গুলী 3 এক ছিল পরমাসুন্দরী মেয়ে, দেখতে ঠিক লক্ষ্মীর মত । তেমনি স্বরূপ, তেমনি স্থিরীেবন, আর তেমনি বিষঃবদনা। এ তারই জীবনের করুণ অথচ স্বাভাবিক কাহিনী । স্থান হচ্চে ব্রাইস গাe-এর ফ্রাইবুর্গ শহর। সেটা যেন দক্ষিণ-জাৰ্ম্মানীর “কালো বনের* পরী " তার একধারে সবুজ গাছপাতা আর ছবির মত ছোট ছোট বাড়িতে ভরা অনুচ্চ পাহাড় এবং অন্যধারে এক ছোট নদী স্বর্ঘ্যের আলোয় ঝিকমিক্‌ করে। এই মনোহর পাহাড় আর ५३ cछ्प्ले ननौन्न মাঝে যে উপত্যক সেই স্থানে জাৰ্ম্মানীর নিজস্ব স্থপতিকলার নিরুপম রেখাটান। অনেকগুলি অনতিবৃহৎ বাডি, মনোরম বাগান, পবিষ্কার রুজু কুজু রাস্ত, মেরীর গীর্জা, স্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, বাজার, দোকান, হোটেল, নাচঘর, রেস্তোর , কাফে ইত্যাদি নিয়ে এই ছোট শহর তৈরি হয়েছে। জাৰ্ম্মান শহরের বিশেষত্ব প্রকাও প্রকাগু চিমনীওয়ালা কারখানা বা অতিকামু অট্টালিকা এর কোথাও দৃষ্টিগোচর হয় না। পাহাড়ের ওপরে উঠলে সমস্ত ‘কালো বনের" নৈসর্গিক দৃশ্বের অতুলনীয় সৌন্দর্ঘ্য প্রাণ মন ভরে দেয়। মনে হয় প্রকৃতি যেন এক আঁচল৷ জমিকে পট করে তার উপরে তুলির ডগা দিয়ে যত রঙের সমাবেশ, যত শিল্পের নিপুণতা, যত রূপের অনুভূতি সব বসে বসে ফুটিমে তুলেছে । এমন কি এই অতুল সৌন্দর্ঘ্যের ছাপ ঐ শহরের মেয়েদের ওপরও পড়েছে। মনে হয়, ওর গাছে গাছে যেসব পাখী গান করে তার স্বরের সঙ্গে এর স্বচ্ছন্দ-বিচরণশীলা তরুণীদের হাস্যমুখরিত আলাপের স্বয় একই তানে বাঁধ, ওর তরু-লতা-ফল-ফুলে যেসব রঙ ফোটে এর তরুণীদের

  • কালে রন :-দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানীর স্থবিখ্যাত অরণ্য, নাম schwarzwald T Black-forost . TT Badono छशुर्गठ ।। 4द्भ ীেপ ও এর জলহাওয়া খ্যাভয় জন্যে পৃথিবীর সকল স্থানের ধনীর এখানে বায়ুপরিবর্তনের উদ্বেপ্তে আসেন।

পোষাক-পরিচ্ছদ ও চক্ষু গণ্ডের রঙের সঙ্গে যেন তার কত মিল ! এই সব হাস্যময়ী সুন্দরীদের মধ্যে স্থঙ্করীশ্রেষ্ঠা ছিল ঐ সতের-আঠার বছরের লক্ষ্মীর মত দেখতে একটি মেয়ে-নাম তার লুইসে। লুইসের মা ছিল ফুলওয়ালী। তিনি বিধবা। লুইসের বাপ ছিল তুর্ণিবের্গের এক প্রকাণ্ড কারখানার মজুর । লুইসে জন্মাবার অল্প কাল পরেই তার হয়েছিল মৃত্যু । শহর থেকে পাহাড়ে ওঠার যে রাস্ত, তারই গোড়া ছিল তার মার ফুলের দোকান। দোকানের সামনেটায় আগাগোড়া কাচের দেওয়াল । এর এক অংশে ফুলের প্রদর্শনী। সেখানে সকল সময়ে প্রকাও প্রকাও ক্রিসানথেমা, কার্ণের্শন, মেরিগোল্ড, ভাস্কলেট ইত্যাদি বিবিধ ফুলের তোড়া বা বাসকেট মূল্যবান আধারে সাজানো থাকে। দেওয়ালের মধ্যখানে দোকানে ঢোকার দরজা, তারও সমস্ত পাল্লা কাচের। তার ভেতর দিয়ে এবং দরজার অপর পার্থের দেওয়ালের ভেতর দিয়ে দোকানের সবকিছু দেখা যায়। দোকানের ভেতরেও বড় বড় ফুলদানী বা চুবড়িতে ভরা চারিদিকে নানা বর্ণের, নানা গন্ধের, নানা গঙ্গার ফুল আর পাতা। এরই মাঝে ফুলরাণী হয়ে প্রায়ই দাড়িয়ে থাকত ও ফুল বেচত ঐ সৌন্দর্ঘ্যের রাণী লুইসে। এ শহরে স্কুলের আদর বড় বেশী, কারণ এখানে বাইরের লোক যে আসে তারই প্রাণে জাগে বসন্ত । আর এই ছোট শহরে সবচেয়ে প্রিয় ফুলের দোকান ছিল ঐট। বহু ব্যক্তি ওখানে ফুল কিনতে আসত—তার মধ্যে নিত্য বৈকালে আগত দুটি তরুণ, তারা ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ৰ । একটির নাম কাল, অপরটির নাম হানস । দু-জনে পরম বন্ধ এবং একই “বুর্শেন কোরের** সভ্য। তারা ভার

  • বুশেন কোর জার্মান-ছাত্র-সঙ্গ বিশেষ। এগুলি নেপোলিয়নের সময়ে বা তার জবাবহিত পয়ে গঠিত। জাৰ্ম্মান জাতীয় জীবনে ইহাদের ब्रॉम जठि मूलाबांन ।