পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سارSe শোন ! আমাদের জন্মগত অধিকার আছে এই-সব ছোটলোকের মেয়েদের যে উপায়ে হোক উপভোগ করা— কাল হানসের গণ্ডদেশে সজোরে চপেটাঘাত করলে। হানস প্রথমটা স্তম্ভিত হ’ল, কিন্তু পর মুহূর্ভেই তার বজ্রমুষ্টি কালের মুখে পড়লো ! কাল দূরে ছিটকে পড়ল, কিন্তু তৎক্ষণাৎ উঠে, ছুটে এসে হানসকে উপযুপিরি ঘুষি মারতে আরম্ভ করলে। হানস তাকে জাপটে ধরলে, তারপরই আরম্ভ হ’ল ধ্বস্তাধস্তি । ঘরের যত আসবাব, যত কাচের S38S জিনিষ, ড্রেসিংটেবিলের আয়না, চেয়ারের পাম, আলমারির কবাট, জানলার সাবৃষি, খাটের ব্যাটন, সোফার র্কাধ, বইয়ের আলমারি ইত্যাদি সব ভাঙতে আরম্ভ হ’ল ! দু-জনে উম্মত্তের মত কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধস্তি করবার পর কালকে হানস মেঝের উপর চিৎ ক'রে ফেলে দুই হাত দিয়ে তার গলা চেপে ধরলে এবং শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে টিপতে আরম্ভ করলে ! এক চাপ—দুই চাপ-তিন চাপ—কালের প্রাণ-বায়ু নির্গত হ’ল ! জাগ্রত রাখিও মোরে শ্ৰীহরিধন মুখোপাধ্যায় জানিতে চাহি না আমি-কত যুগ ধরি কত ক্লেশে, কি অপার তিমির সন্তরি এসেছি এ ধরণীর স্নেহ-স্নিগ্ধ ক্রোড়ে। জানিতে চাহি না আজ—কোথা পুন মোরে যেতে হবে আয়ুশেষে । আমি শুধু যাচি হে ঈশ্বর, জাগ্রত রাথিও মোরে। বঁচি যেন বঁচিবার মত চির-অনুক্ষণ । বিমুখ না হয় কভু উদাসীন মন আকণ্ঠ করিতে পান উদ্বেলিত ফুলে ফুলে জীবন-জাহ্নবী-বারি। কোনো ভুলে কন্তু যেন, হে ঈশ্বর, ভুলিয়া না যাই রয়েছি বাচিয়। — রয়েছি বাচিয়া তাইবক্ষে আজি জাগে মোর উদধি-উচ্ছ্বাস ; রম্বেছি বাচিয়া তাই ধরণী, আকাশ, আবরেছি মোর প্রাণ-বৰ্ণ-গরিমায়। তরু-তৃণে, শস্য-শীর্ষে ধূলি-মুভিকায়, ব্রততী-বিতানে, পুষ্পে-সৰ্ব্বঠাই পরে বৃষ্টি-সম লক্ষধারে নিয়ত যে ঝরে মোর স্নেহ-ভালবাসা। নিখিল গগনে আমারই মমতা বুঝি পবনে পবনে সুমেন্ত্রর মেঘ-রূপে হেরি সঞ্চারিতে দিকে দিকে নব নব দেশেরে রেটিতে ! প, বঁচিয়া রয়েছি তাই—জল-ধারা প্রায় অনায়াসে অধোলোকে চিত্ত মোর ধায় স্তরে স্তরে ভেদিয়া পৃথিবী। স্বৰ্গবাসী দেবতার মত চিত্ত সৰ্ব্ববাধা নাশি ভ্ৰমিয়া বেড়ায় স্বথে জ্যোতিষ্ক-সভায় । তাই যাচি, হে ঈশ্বর, দিবস নিশামু এমনি জাগ্রত যেন রহি অমুক্ষণ এমনি বাচিয়া যেন থাকি আমরণ পূর্ণ প্রাণ লয়ে। দিও দুঃখ, দিও ব্যথা অযুত আঘাত হেনে- কহিব না কথা, করিব না অভিযোগ—শুধু, দেখো হামু হাসি-অশ্র-উৎস মোর কভু না শুকায় ! শুধু দেখো, হে ঈশ্বর, এমনি জাগ্রত যেন রহি চিরকাল। এমনি নিম্নত পরম উল্লাসে চলে জীবন-ভুঞ্জন । তারপর, অকস্মাৎ যে-দিন মরণ চাপিয়া ধরিয়া কর অতিদৃঢ় করে আকৰ্ষিবে রন্ধ হীন তিমির-জঠরে— সে-দিনও তোমার পানে আর্দ্র আঁখি মেলি শুধাব না, হে বিধাতা, দীর্ঘশ্বাস ফেলি এ আকাশ, এ পৃথিবী—চন্দ্র, গ্রহ, তারা, সাগর, ভূধর, বন-কেহ গো ইহার ধাইয়া চলিবে কি-না মোরে অনুসরি সে-আঁধার পথে। শুধু এ-মিনতি করি এমনি জাগ্রত মোরে রেখে আছুক্ষণ এমনি বঁাচিয়া যেন রহি আমরণ । ,