পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ8Հ ক্ষেত্রের ও অপেক্ষাকৃত অল্পবয়ে চাষের সুবিধা হয়, সে স্থানে নূতন জমি ক্রয় । বাংলার কৃষকের ঋণভার বহুদ্ধিনের এবং দুৰ্ব্বহ । ১৭৮৪ খৃষ্টাব্দে বিখ্যাত অর্থনীতিক এডাম স্মিথের ‘ওয়েলথ অব নেশুন্স’ গ্রন্থ প্রচারিত হয়। তাহাতে তিনি বলিয়াছিলেন, বাংলায় ফসল পূৰ্ব্বেই বন্ধক রাখিয়া কৃষক শতকরা ৪•, ৫০, ও ৬০ টাকা স্বদে টাকা ঋণ লয় । ইহার অল্পদিন পূৰ্ব্বে, ১৭৭২ খৃষ্টাব্দে কমিট অব সার্কিট বাংলায় ঋণু ও স্বদ পরিশোধ সম্বন্ধে নিম্নলিখিত নিয়ম করেন – “পুরাতন ঋণ পরিশোধ জর্থাৎ মহাজনের প্রাপ্য নিৰ্দ্ধারণ সম্বন্ধে এই নিয়ম হুইবে যে, একবার মোট টাকা স্থির করিবার পর তাহার আর স্বদ চলিবে না এবং খাতকের অবস্থা বিবেচনা করিয়া ঋণ কিস্তিবন্দী ছিসাথে পরিশোধ করা হইবে । তদ্ভিন্ন এতদিন সুদের যে হার চলিয়া আসিয়াছে, তাহা অত্যধিক স্বলিয়া পুৰ্ব্বকৃত ঋণের ও ভবিষ্যতে গৃহীত খণের স্বদের হার নিম্নলিখিতরূপ হইবে (ক) আসল একশত টাকার জমধিক হইলে, শতকরা মাসিক ৩ টাকা ২ অলি বা টাকায় ২ পয়সা । (খ) আসল এক শত টাকার অধিক হইলে, শতকরা মাসিক ২ টাকা । [ জাসল ও স্বঙ্গের টাকা দলিলের সর্ব অনুসারে শোধ করা হইবে এবং মধ্যবৰ্ত্তী সময়ে কোন ব্যবস্থায় চক্রবৃদ্ধি হারে স্বদ চলিবে ন—তাহ আইনবিরুদ্ধ ও অসঙ্গত বুলিয়া বিবেচিত হইবে । মালিশে যদি দেখা যায়, নির্দিষ্ট হার অপেক্ষী উচ্চ হারে হ্রদ দেওয়া হইয়াছে, তবে স্বদের সব টাকা বাজেয়াপ্ত ও খাতকের প্রাপ্ত ধলির সেরূপ স্থলে কেবল আসল টাকাই আদায় হইবে। যদি কেহ জাইনের ব্যতিক্রম চেষ্টা করিয়াছে, প্রতিপন্ন হয়, তবে জাসলের জৰ্দ্ধেক টাকা সরকার ও অর্ধেক খাতকের প্রাপ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।” ব্যবস্থার কঠোরতাতেই বুঝা যায়, মহাজনরা অত্যন্ত অধিক স্বদ লইত এবং খাতককে মহাজনের অত্যাচার হইতে রক্ষা করা সরকার কর্তব্য ও প্রয়োজন বলিয়া বিবেচনা করিয়াছিলেন । স্বদের হার যে হ্রাস হইয়াছে, তাহাও বলা যায় না । কোন কোন স্থানে “আধা বাড়ী* হিসাবে যে ধান্ত দাদন করা হয়, তাহার নামেই শতকরা ৫০ টাকা স্বদ প্রকাশ । আবার উহাও চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়িয়া যায়। সরকার স্বদের হার কমাইবার জন্ত মধ্যে মধ্যে চেষ্টা করিয়াছেন ; কিন্তু আইনের সঙ্গে সঙ্গে আইনের বিধান অতিক্রমের নানা উপায়ও অবলম্বিত হইয়াছে। যে স্থানে খাতৰ বিপন্ন ও বর্ণজ্ঞানশূন্ত, সে স্থানে চতুর মহাজনের পক্ষে নানারূপে প্রাপ্যের অতিরিক্ত টাকার জন্ত অহাকে স্বাক্ট করা হলধ্য হয় না।

  • 登空正エリー

دSO3Sه কয় বৎসর পুৰ্ব্বে ষে ব্যাঙ্কিং-অনুসন্ধান-সমিতি নিযুক্ত হইয়াছিল, তাহার নির্ধারণ—বাংলার কৃষিখণের পরিমাণ— একশত কোটি টাকা । যখন এই হিসাব হয়, তাহার পর যে কল্প বৎসর গত হইয়াছে, সেই কয় বৎসরে ব্যবসামন্দাহেতু কৃষিজ পণ্যের মূল্য হ্রাস প্রভৃতি কারণে খাতক যে অনেক স্বলে স্বদও দিতে পারে নাই তাহা সকলেই জানেন। সেই জন্য এই কয় যৎসরে এই ঋণের পরিমাণ আরও বাড়িয়াছে । ইহার জন্য জমিই অনেক স্থানে দায়ী , স্বতরাং জমি বন্ধক হইতে থালাস করিতে ন পারিলে, তাহার উন্নতিসাধনে কৃষকের কোন উপকার হইবে কি-না সন্দেহ এবং তাহাতে তাহার উৎসাহও থাকিতে পারে না । এই ঋশের ভার হইতে বুঝা যায়, কিছুকাল পূৰ্ব্বে কৃষককে সাহায্য করিবার জন্য যেসমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহাতে আশানুরূপ ফল ফলে নাই । না ফলিবার যে অনেক কারণ ছিল ও আছে, তাহ বলাই বাহুল্য । কিন্তু আজ সে সকল আমাদিগের আলোচ্য নহে। তবে সেই সব কারণের মধ্যে আমরা প্রধান দুইটির উল্লেখ করিব— প্রচারকার্য্যে অমনোযোগ, সমিতিগুলিকে স্বাবলম্বী করিতে আবখ্যক চেষ্টার অভাব । সমবায়-প্রথার মূল নীতি এদেশের কৃষকের নিকট নূতন নহে। কিন্তু তাহ ষে বিদেশী বেশে দেখা দিয়াছিল, তাহাতে কৃষকের পক্ষে তাহাকে আপনার মনে করা অসম্ভব হইয়াছিল । এই নীতি যে তাহাদিগের পরিচিত এবং তাঁহাতে যে স্বফল ফলে, তাহ কৃষককে বুঝান হয় নাই। সরকারী কর্মচারীর ডাকবাংলায় বা থানায় গিয়া দুই দিনে কাজ করিলে তাছা কখনও ফলপ্রদ হয় না—হইতে পারে না । বর্তমানে পল্লীগ্রামে উপযুক্ত লোকের অভাব যে সমিতি গঠনের ভার প্রাপ্ত কৰ্ম্মচারীরা উপযুক্তরূপ অনুভব করেন নাই, তাছা সপ্রকাশ । তাছার প্রতীকারোপীয় করা হয় নাই। তাহার পর কাজের ভার সমবার সমিতির সম্ভাদিগের প্রতিনিধিবিগকে না দিলে কি হইবে ? এই সব সমিতি সরকারের বিভাগের খণ্ডই হইয়া গাড়াইয়াছিল এবং সরকারের কৰ্মচারীরা দরিদ্র রুকের সামান্য কথা তুলিয়া পাট বিক্রম সমিতির মত বিরাট প্রতিষ্ঠানগঠনের চেষ্টায় সমবায় সমিতিগুলির সর্বনাশ সাধন করিয়াছেন বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। অথচ সমবায়