পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ নীতি অবলম্বন ব্যঙ্গীত পথ নাই । সুতরাং লব্ধ অভিজ্ঞতার সংশোধন করিতে হইবে । আমরা জমি-বন্ধকী ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশু বিবৃত করিবার বলিয়াছি, জমি বন্ধক রাখিয়া বা ও গুরূপে গৃহীর ঋণ শাধ জন্য ব্যাঙ্ক হইতে টাকা দেওয়া হইবে । কিন্তু এখন .বচ্য—কিরূপ টাকা দেওয়া হইবে ? কাহারাই বা টাকা লইতে পরিবে ? ঋণগ্রহণ সম্বন্ধে অবগু নিয়ম হইয়াছে । সেনিম্নম যে বিশেষ সতর্কভার পরিচামুক তাহাও আমরা দেখিতে পাইতেছি । বিবুতিতে দেখা যায় (১) কোন সদস্ত ব্যাঙ্কে যে টাকার অংশ গ্রহণ করিয়াছেন, তাহার 00 gg BBD BBS BB BBBB BB BBBBBS BBB পরিমাণ ২ হাজার ৫ শত টাকার অধিক হইবে না এবং সমবায় সমিতির রেজিষ্ট্রীরের অমুমোদনে তিনি ৫ হাজার টাকা পৰ্য্যস্ত পাইতে পরিবেন। (২) যত দিনের জন্য ঋণ গৃহীত হইবে, ভতদিনে জমি হইতে উৎপন্ন শস্তের মূল্যের শতকরা ৭৫ ভাগ বা জমির মূল্যের অৰ্দ্ধাংশের অধিক টাকা কাহাকেও দেওয়া হইবে না । (৩) যিনি কুষিজ আয় হইতে নিজ প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করিয়া হ্রদ ও কিস্তিম ত টাকা দিতে পরিবেন না, তিনি ঋণ পাইবেন না । (৪) ঋণু কখন ২০ বৎসরের অধিক কালে পরিশোধ হইবে না । (৫) খা শুককে দুই জন সদস্য জামিনদার দিতে হইবে। (৬) জমির উপর ব্যাঙ্কের প্রথম অধিকার থাকিবে । কিন্তু পূৰ্ব্বকৃত ঋণ কি ভাবে পরিশোধ করা হইবে, তাহ জান যাইতেছে না । স্যর জন এণ্ডাসল বলিয়াছেন— ঋণ মিটাইবার ব্যবস্থা করিতেই হইবে । এ-বিষয়েও বিশেষ বিবেচ্য—ঋণের পরিমাণ কিরূপ ? ঋণ যদি পরিশোধযোগ্য হয়, তবে ব্যবস্থা একরূপ হইবে, তাহা পরিশোধাতীত হইলে ব্যবস্থা অন্তরূপ না করিলে চলিবে না । বাংলার মোট কৃষিঋণ যদি এক শত কুড়ি কোটি টাকা হয়, তবে তাহা জমি হইতে পরিশোধ করা সম্ভব কি-না ! অথচ ঋণ উপেক্ষ করাও সঙ্গত নহে ; মহাজনের স্বার্থ অৰজ্ঞ করা যাম না । যে ব্যৱস্থা করা হইয়াছে, তাহাতে কেবল ছুই শ্রেণীর কৃষক বা খাজনালাভকারী বা স্বল্প আয়ের লোকই ব্যাঙ্কের টাকায় উপকৃত হইতে পারিবে ঃ– (১) বাহারা অখণী ; ( ২ ) বাহাদিগের ঋণের পরিমাণ অল্প বলিয়া ব্যাঙ্ক হইতে টাকা লইয়া পরিশোধ করা যাইবে। কিন্তু বাংলার অধিকাংশ কৃষক ঋণভারপীড়িত—যতক্ষণ ইহুদ্বিগের ঋণ মিটাইয়া দিয়া তাহা পরিশোধ করা না হইবে, বাংলার জমি-বন্ধকী ব্যাঙ্ক કે ૨૪૦ ততক্ষণ তাহার অসহায় ও নিরুপায়। বিশেষ জাৰ্ম্মানী প্রভৃতি দেশের মত বাংলায় অনেক জমি লইয়। চাষের ব্যবস্থা নাই— কৃষকরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষেত্রে চাষ করিয়া কোনক্ষপে দিনপাত করে । যিনি পঞ্জাবের কৃষকের অবস্থা বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করিয়াছেন, সেই মিষ্টার ডালিং বলিয়াছেন,—তাহার মনও sista corzaz NS zistí (“as narrow as the plots he cultivates.”) এই অবস্থায় ঋণ মিটাইবার ব্যবস্থা না করিয়াই ব্যাঙ্কপ্রতিষ্ঠায় বাংলার অধিকাংশ কৃষকের – প্রায় সব কৃষকের উপকার হইবে না । তবে ইহার সুযোগ গ্রহণ করিয়া শিক্ষিত যুবকরা যদি কৃষিকার্য্যে প্রবৃত্ত হন তবে তাহাতেও মঙ্গল হইবে । র্যাহারা বলেন, বাংলায় একসঙ্গে অধিক জমি পাওয়া যায় না, তাহাবা বাংলার সকল ভাগের বিষয় অবগত নহেন । কারণ দেথা গিয়াছে নদীয়া, যশোহর ও মুর্শিদাবাদ জিলাত্রয়ে অনেক জমি পতিত আছে এবং সেচের ব্যবস্থা করিতে পারিলে বীরভূম ও বাকুড়া জিলাদ্বয়েও উপযুক্ত পরিমাণ জমির অভাব হয় না। এই জন্য ঋণ মিটাইবার ব্যবস্থা করিবার প্রয়োজন বিষয়ে আমরা বাংলা সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করিতেছি । সে ব্যবস্থা ন হইলে জমি-বন্ধকী ব্যাঙ্কের দ্বারা আশাকুরূপ ফললাভ সম্ভব হইবে বলিয়া মনে হয় না। শত কোটির অধিক টাকার ঋণভারে যে পিষ্ট সে মস্তক ' ' উন্নত করিয়া দাড়াইবে, তাহার সম্ভাবনা কোথায় ? কেবল তাহাই নহে - মহাঙ্গনের নিকট ও জমিদারের নিকট তাহার ঋণের প্রকৃত পরিমাণ কি, তাহাও অনেক কৃষক জানে না। এত দিন যে ব্যবস্থা চলিয়া আসিয়াছে তাহার “সৰ্ব্বাঙ্গে ক্ষত"। প্রজার জন্য শাসকদিগের সহানুভূতি যে ছিল না, তাহা বলা যায় না ; কিন্তু সে সহানুভূতি স্বপ্রযুক্ত হয় নাই বলিয়াই প্রজা তাহাতে উপকৃত হয় নাই । বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব বিষয়ক আইন শাসকদিগের সহানুভূতির পরিচায়ক সন্দেহ নাই, কিন্তু তাহাতে প্রজা যে আশানুরূপ উপকৃত হইয়াছে, এমন বলা স্বায় না। ইংরেজ এদেশে রাজস্ব সম্বন্ধে নিশ্চিত হইবার চেষ্টায় যে “চিরস্থায়ী বন্দোবঞ্চে” ভূমিরাজস্ব জমিদারের সহিত চুক্তি করিয়াছিলেন, তাহাতে ষে মধ্যবৰ্ত্তী সম্প্রদায়ের উদ্ভব হইয়াছে, তাহারা শিক্ষিত এবং সঙ্গতিপন্ন—স্বতরাং