পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫০ ততটা পারে না। ভাল ভাল ছবি-দেওয়া বইয়ের অভাব হওয়াতে অনেক সময়ে স্থলিখিত বইয়ের মূল্য কমিয়া যায় । পাশ্চাত্য দেশে এইভাবে শিক্ষা দিবার যে আয়োজন হইয়াছে তাহা আমাদের দেশে প্রবর্তন করা একান্ত প্রয়োজন । পড়িতে গেলে নানা ইন্দ্রিয়ের যে সমবাম্বের (co-ordination ) প্রয়োজন শৈশবে তাহার একান্ত অভাব ; তাই তখন ইন্দ্রিয়গুলিকে পৃথক পৃথক ভাবে লইয়া তাহাদের বিকাশ চেষ্টা করা প্রয়োজন হয়। চোখের ব্যবহারের কথা কিছু বলিমাছি । এইবার কানের কথা বলি। এককালে আমাদের দেশে নানারকমের ছড়া প্রচলিত ছিল, শিশুরা সে গুলি শুনিত, তাহদের মনেয় অলক্ষ্যে তাহার রস আস্বাদ করিত ; ধীরে ধীরে তাহার ভিতর দিয়া কাব্যবোধ ছন্দবোধ জন্মাইত। আমার এই কথাটির মধ্যে কিছু পরিমাণ অত্যুক্তি থাকিতে পারে, কিন্তু ইহা যে আংশিকভাবে সত্য এ-বিষয়ে সন্দেহ নাই। আজকাল ছড়াগুলি আমরা হারাইয়াছি, কিন্তু তাহাদের স্থান অধিকার করিতে পারে এমন কিছুর স্বষ্টি করি নাই। • শিশু-কবিতার নামে প্রচলিত কবিতাগুলি নীতিশিক্ষার জন্য রচিত হইয়াছে, তাহদের অধিকাংশের মধ্যে ছন্দ নাই, শব্দসঙ্গীত নাই, আছে শুধু নীরস নীতিকথা ; সেগুলি শিশুচিত্তকে স্পর্শ করিতে পারে না । এক ‘ঘুমপাড়ানি গান’ বাদ দিলে শিশুদের উপযোগী গান আমাদের দেশে কোনদিনই বেশী ছিল না। অথচ সকল পিতা-মাতাই জানেন শিশুরা ছন্দ ও গান কত ভালবাসে । ইহার কোন আয়োজনই কি আমাদের গান-রচয়িতা ও সাহিত্যিকগণ করিতে পারেন না ? শৈশবে ছেলেমেয়েরা গল্প বলিতে আমরা যাহা বুঝি তাহা ভালবাসে কি-না সন্দেহ ; তাহার যে-শ্রণীর গল্প ভালবাসে তাহ অত্যন্ত সরল ; তাহায় মধ্যে প্লট আছে কি-না চরিত্র-চিত্রণ আছে কি-না সে-বিষয়ে তাহারা দৃষ্টি দেয় না। বোধ করি এই বয়সে কথার একটা মোহ আছে, সেই মোহের জন্যই শিশু ছড়া গান কবিতা গল্প শুনিতে চায়। তাই দেখি একই গল্পের পুনরাবৃত্তিতে শিশুচিত্ত ক্লান্তিবোধ করে না। শিশু যে রূপকথা ভারণে সে-ভালবাসাও তখন পরিণতি লাভ করে না, বলে গেভালবাসা গতাই ভালবাসা ఎం8ు কল্পলেকে বিচরণ করার শক্তি শিশুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আছে । তাহারই উপাদান হয় এই রূপকথাগুলি । যে ভাষা শিশু বলে ও শোনে তাহা ছাড়া যে একটি মনগড়া সাধুভাষা আছে শিশুর পক্ষে তাহা একান্তই অবাস্তব ; সুতরাং শিশুর কণ্ঠে তাহা দিবার চেষ্ট অন্যায় । ইহার জন্তু যে মানসিক পরিশ্রম প্রয়োজন শিশুর পক্ষে তাহা কঠিন ; তাহাতে যে সময় যায় তাহার মূল্যও কিছু নাই। আর সেই চেষ্টা করিতে গিয়া শিশুর সামান্ত শক্তির যে অপব্যয় হয় তাহার ফলে অন্যত্র যেখানে তাহার শক্তিপ্রয়োগ স্বাভাবিকভাবে প্রয়োজন সেখানে তাহা সম্ভব হইয়া উঠে না । সুতরাং শিশুসাহিত্য লিখিতে হইবে তাহাদেরই ভাষায় । পাশ্চাত্য দেশে দেখিয়াছি শিশুদের শব্দসংগ্রহের তালিকা করা হইয়াছে ; অর্থাৎ কোন বয়সে শিশু কি কি শব্দ ব্যবহার করে বা কোন কোন শব্দের তাহার প্রয়োজন হয় তাহ স্থির করা হইয়াছে ; তাহার পর সেই শব্দগুলি দিয়া শিশুদের উপযোগী গ্রন্থ রচিত হইয়াছে । ফলে সে-সকল গ্রন্থ শিশুরা সহজে পড়িতে পারে, পড়িয়া আনন্দ লাভ করিতে পারে। অযথা অপ্রয়োজনীয় শব্দের ভারে শিশুচিত্ত ভারাক্রাস্ত হয় না। আমাদের দেশে শিশুরা পড়া আরম্ভ করিয়াই “মানের বই” খোজে। দোষ দিব কাহাকে ? এ-বিষয়ে আমাদের দেশের শিক্ষাতাত্বিক ও সাহিত্যিকগণের দৃষ্টি দেওয়া একান্ত প্রয়োজন । এই প্রসঙ্গে আর একটা কথাও বলা উচিত। বর্ণপরিচয়ে বর্ণবোধের ধে প্রণালী অনুস্থত হইয়াছে, তাহা বিকলনমূলক (analytical) e osobi off-worstät (phonetic ) ধ্বনির ও কথার এইরূপ বিচার শিশুর পক্ষে স্বাভাবিক নহে । বর্তমান মনোবিজ্ঞানের মতে এইরূপ বিকলন (analysis) শিক্ষার দ্বিতীয় ধাপ ; প্রথম ধাপে আমাদের ইন্দ্রিয়ানুভূতি সমগ্রভাবে দেখা দেয়, পরে শিক্ষিত জন তাহাকে ভাঙিম-চুড়িয়া বিশ্লেষণ করিতে শেখে । বর্ণপরিচয়ের প্রথম ধাপ বর্ণবোধ নহে, কথাবোধ । সুতরাং "বর্ণপরিচয়”ও নূতন করিয়া লেখার সময় হইয়াছে * ,

  • চল্লিশ বৎসরের অধিক পূৰ্ব্বে আমি কথাবোধকে প্রথম ধাপ করিয়া সচিত্র বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ লিখি, এবং তাহা কিরূপে পড়াইতে হইবে, एकाँही७ निशिग्न लििहै । ॐ राई d}थम७ याथझऊ झग्न, किढ़ *ि*शोणाक (gश পড়ান হয় পুরাতন রীতিতে, অর্থাৎ বর্ণবোধকে প্রথম ধাপ করিয়া।– প্রবাসীর সম্পাৰ।