পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ শিলালেখের মধ্যের অংশ নষ্ট হইয়া যাওয়ায় পাঠোদ্ধার অসম্ভব। শেষের অংশে প্রথম যুবরাজদেবের যুদ্ধযাত্রা এবং মত্তময়ুর সন্ন্যাসীদিগকে গ্রামদানের বিবরণ খোদিত আছে । ‘. গুগাঁর ঐ পাহাড়ের ཉི་ཌི না ভূ চারিধারে পুরাতন মন্দির ও অট্টালিকার ভঞ্জ রেওয়-রাজ্যের বঘেল-ব শীয় " রাজগণ, যখন বাধোড়গড়ের পুরাতন ক্টো} ছাড়িয় রেওয়া নগর প্রতিষ্ঠা করেন তখন ঐ সকল প্রাচীন মঠ ও মন্দিরের মালমশলা দ্বারাই নগরের অৰ্দ্ধেক । নিৰ্ম্মিত হয় । ঐ নগরের পুরাতন গৃহমাত্রেই গুগীর কারুকার্য্যখচিত প্রস্তর আজও দেখা যায়। গুগীর মত্তময়ুর মঠের চারিদিকে উচ্চ প্রাচীর ছিল ; সেই প্রাচীরে প্রায় দুই তিন মাইল ব্যাপী অংশ আজও বর্তমান। প্রাচীরের পাশে চড়াই উৎরাই দেখিলে মনে হয় যে, প্রাচীরের পরে প্রশস্ত পরিখা ছিল । ইহা হইতে বুঝা যায় যে, মত্তময়ুর সম্প্রদায়ের মঠ দুর্গের ধরণে নিৰ্ম্মিত হইত। ষাট বৎসর পূৰ্ব্বে স্তর আলেকজাণ্ডার কানিংহাম ঐ প্রাচীরের ভিতরের ভূমিখণ্ডে দুই-তিনটি মন্দিরের ভিত্তি দেখিয়াছিলেন, কিন্তু পরে রেওয়া-রাজ্যের লোক তাহাও উঠাইয়া লইয়া গিয়াছে। গুগজ টিলার উত্তর-পূর্ব দিকে এক প্রাচীন বিশাল জলাশয়ের তটে চন্দ্রেহীর মন্দিরের স্থায় একটি মন্দির আছে, কিন্তু তাহার শিখর নষ্ট হইয়া গিয়াছে। এই মন্দিরটির গর্ভগৃহও গোলাকার এবং ইহার সম্মুখে আটটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত মণ্ডপ আছে। মত্তময়ূর সম্প্রদায় মন্দিরনিৰ্ম্মাণের যে রীতি প্রচলন করেন তাহার সহিত চন্দেল (বুন্দেলখণ্ডি ) এবং পরমার বা মালবীয় মন্দিরনিৰ্ম্মাণ-পদ্ধত্তিতে অনেক প্রভেদ আছে । চন্দেল-মন্দিরের গর্ভাগারের সম্মুখে একটি বৃহৎ মণ্ডপ এবং গর্তাগারের অল্প তিন পাশ্বে ছোট ছোট “অৰ্দ্ধমওপ” নিৰ্ম্মিত হইত। চন্দেঞ্জ-মন্দিরমণ্ডপের একটি দ্বার থাকে এবং জ। ইহার মত্তময়ুর ও শৈব সন্ন্যাসী

  • t

ఇ*> উহার সম্মুখে একটি অৰ্দ্ধমণ্ডপ থাকে। গর্ভগৃহের উপর উচ্চতম শিখর । চূড়া ) নিৰ্ম্মিত হুইত, প্রধান মণ্ডপের চুড়া উহা অপেক্ষা নীচু এবং চারটি অৰ্দ্ধমণ্ডপের ছাদ সৰ্ব্বাপেক্ষা নীচু হইত। - চন্দেল এবং মালবীয় রীতির প্রভেদ এই যে, মালধীয় মন্দিরের গর্ভগৃহের তিন পার্থে অৰ্দ্ধমণ্ডপ স্থাপিত হয় না এবং লক্ষ্মণসাগর ( খু: সন ৯৫• ) কাটনীর নিকটবৰ্ত্তী বিলহরি গ্রামে রাঞ্জ কর্ণদেব দাহরিয়ার প্রপিতামই রাজ। লক্ষ্মণ রাও কত্ত্বক প্রতিষ্ঠিত মণ্ডপ হইতে গর্ভগৃহ প্রদক্ষিণ-পথও থাকে না। মালৰীয় মণ্ডপের তিনদিকে দ্বারপথ থাকে এবং প্রধান মণ্ডপের সম্মুখে আট, বারো অথবা ষোলটি স্তম্ভযুক্ত, চতুর্দিক উন্মুক্ত,ছোট মণ্ডপ থাকে । মালবরাজ পরমার-বংশীয় অবনীজনাশ্রয় কবিবল্লভ ভোজদেব মন্দিরনিৰ্ম্মাণের এই রীতি প্ৰবৰ্ত্তন করেন এবং এই পদ্ধতিতে নিৰ্ম্মিত মন্দির নৰ্ম্মদ-নদীতটে হোলকররাজ্যের অন্তর্গত নেমাওর নগরে এবং রামপুৱা-ভানপুর জেলার অখুনা মৌজায় আছে । নাসিক নগরের চার ক্রোশ পশ্চিমে সিন্নার গ্রামের মন্দির, আহমদনগর জেলার রতনবাড়ি গ্রামের মন্দির এবং খাদেশ অঞ্চলের বহু মন্দির এই মালবীক্ষ্ম প্রথায় নিৰ্ম্মিত । মত্তময়ুর সম্প্রদায়ের পদ্ধত্তিতে নিৰ্ম্মিত মন্দিরে প্রধান