পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ সকল ইস্কুলের অধিকাংশের আয় কম, শিক্ষকের মুথেষ্ট বেতন পান না, অনেক শিক্ষককে গৃহশিক্ষকতা ও অন্ত উপায়ে আন্ম বাড়াইতে হয়। স্বতরাং তাহারা পূর্ণ শক্তি ও মনোযোগ ইস্কুলের কাজে দিতে পারেন না । তা ছাড়া, সাধারণতঃ এই কথাও সত্য, ষে, উপযুক্ত বেতন দিতে না পারিলে খুব ৰোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায় না । বঙ্গের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের ভারতবর্ষে ঐ শ্রেণীর লোকদের মধ্যে দরিদ্রতম বলিলেও চলে। তাহারা ইস্কুলে ছেলেদের বেশী বেভন দিতে অসমর্থ, এবং বাংল-গবন্মেটিও অন্ত বড় বড় প্রদেশের গবন্মেন্টের চেয়ে শিক্ষার জন্য ঢের কম টাকা খরচ করেন। বঙ্গে স্কুলসকলের ভাল শিক্ষক না পাওয়ার ও ভাল শিক্ষা না-হওয়ার এইগুলি এক-একটি কারণ। আর একটি কারণ, বঙ্গের ইস্কুলসমূহে শিক্ষাদান-বিদ্যায় শিক্ষাপ্রাপ্ত অর্থাৎ ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষকের একান্ত অপ্রাচুর্ঘ্য । ওকালতী, ডাক্তারাঁ, এঞ্জিনীয়ারী প্রভৃতি অন্য নানা কাজের মত শিক্ষকতাও সাধারণশিক্ষাপ্রাপ্ত সকল লোকের দ্বার স্থচারু রূপে নিৰ্বাহিত হয় না। শিক্ষাদানকার্থ্যে ট্রেনিং পান নাই এমন মশিক্ষকের অভাব অবশু নাই। কিন্তু ওকালতী, ডাক্তারী ও এঞ্জিনীয়ারিং পাস না করিয়াও আইনঘটিত, চিকিৎসা-সম্বন্ধীয় এবং ঘরবাড়িনিৰ্ম্মাণসম্বন্ধীয় কাজ অনেকে ভাল করিয়াছে ; তাহাতে যেমন প্রমাণ হয় না, ম্বে, ওকালতী, ডাক্তারী ও এঞ্জিনীয়ারী শিথিবীর দরকার নাই, তেমনি ট্রেনিং কলেজে না-পড়া ভাল শিক্ষক অনেক থাকার দ্বারা প্রমাণ হয় না, ধে, শিক্ষাদানকাৰ্য্য শিখিবার আবশ্যক নাই । শিক্ষণ-বিজ্ঞানে আবিক্রিয় ও শিক্ষাদান-বিদ্যায়ু উপায় উদ্ভাবন আধুনিক সময়ে অনেক হইয়াছে, যাহা জানা শিক্ষকদের পক্ষে একান্ত আবশ্যক । বঙ্গের সহিত মান্দ্রাজের তুলনা করিলেই বুঝা যাইবে, বঙ্গে ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক কত কম। বাংলা দেশের নূতন পঞ্চবার্ষিক শিক্ষা-রিপোর্টের ৩৭ পৃষ্ঠায় এই তালিকাটি দেওয়া আছে । ইহা ১৯২৬-২৭ সালের । তাহার পর বিশেষ কিছু পরিবর্তন হস্থ নাই । বাংলা গালাজ প্রতি স্কুলে গড়ে শিক্ষক-সংখ্যা .ty ఫి ఆ. a - , ট্রেলিংপ্রাপ্ত শিক্ষক-সংখ্যা s.ty 3 R. H. *छकच्च कछ णिचहक <भि१थखि 令德。袭 ጫማ ....” ५dहे डोनिकाठिं झडेटङ बूक्ष याकेट्य, याथ cझेनिष्यांश्च שכ-אפי fৰবিধ:প্রসঙ্গ—প্রেতিযোগিতHপুলক পরীক্ষায় বাঙালী ছাত্র

শিক্ষক নিতান্তই কম। জুতরাং মাম্রাজের তুলনায় এখামে ইস্কুলের শিক্ষা ষে নিকৃষ্ট হুইবে, তাৰ আশ্চর্ঘ্যের বিষয় লছে । বাংলা দেশে ইস্কুলের শিক্ষা খারাপ হুইবার আর একটি কারণ, গবন্মেন্টের ও সরকারী শিব -বিভাগের সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতিত্ব। সবাই জানেন, বঙ্গে মুসলমানরা হিন্দুদের চেয়ে শিক্ষায় খুবই পশ্চাৎপদ । অথচ গৰক্সেণ্ট ও শিক্ষা-বিভাগ চান, ষে, মুসলমানরা মোট লোক-সংখ্যার মত অংশ, শিক্ষা-বিভাগের চাকরীও তাহদের তত অংশ পাওয়া চাই ! যেন নিরক্ষর মুসলমান চাষীরাও সকল রকম স্কুলপরিদর্শক ও শিক্ষক হইবার ধোগ্য । ইংরেজী ইস্কুলের সকল শ্রেণীর শিক্ষক এবং সস্তু রকমের স্কুলপরিদর্শক সবাই গ্র্যাজুয়েট না হউন, অন্ততঃ কলেজে কিছু পড়িয়াছেন এরূপ শিক্ষিত হওয়া আবখ্যক । বাংলা দেশে যাহারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কলেজে পড়ে, তাহাদের মধ্যে ১৯২১-২২ সালে শতকরা ১২-৮ জন ছিল মুসলমান, ১৯২৬-২৭ সালে ছিল শতকরা ১৪-২ মুসলমান, এবং ১৯৩১-৩২ সালে ছিল শতকরা ১৩৩ জন মুসলমান । আমাদের প্রথম বক্তব্য এই, ষে, জন্তান্ত সরকারী বিভাগের মত শিক্ষা-বিভাগেও কেবল যোগ্যতমদিগকেই কাজ দেওয় উচিত জাতিধৰ্ম্মবর্ণনির্বিশেষে । দ্বিতীয় বক্তব্য এই, ষে, যদি একান্তই কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়কে অনুগ্রহ দেখাইতে হয়, তাহা হইলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রদের মধ্যে তাহদের ছাত্রেরা শতকরা যত জন, কেবল শতকরা ততটি চাকরীই তাহাদিগকে দেওয়া উচিত। এই হিসাবে মুসলমানরা শিক্ষা-বিভাগে মোটামুটি শতকরা ১৪টি চাকরী পাইতে পারে । কিন্তু পূৰ্ব্বোঙ্ক পঞ্চবার্ষিক রিপোর্টে দেখিতেছি বঙ্গের শতকরা ৪৬.৮ জন শিক্ষক মুসলমান এবং শতকরা ৫৪.২ জন পরিদর্শক কৰ্মচারী (inspecting oficer) Tinta ! Reta catal Niza এই, ষে, বিস্তর অপেক্ষাকৃত অধোগ্যতর ও অৰোগ্যতম মুসলমানকে মুসলমান বলিয়াই শিক্ষক ও পরিদর্শক করা হুইয়াছে এবং বিস্তর অপেক্ষাকৃত যোগ্যতয় ও যোগ্যতম হিন্দুকে হিন্দু বলিয়াই কাজ দেওয়া হয় নাই । স্বতরাং বঙ্গে ষে শিক্ষাদান ভাল করিম্ব হয় না, তাহ মাশ্চর্ব্যের বিষয় নহে । আমরা এক জন প্রাচীন অধ্যাপকের নিকট গুনিয়াছি এবং জাগেও জানিতাম, মুসলমান পরিদর্শক কৰ্ম্মচারীরা স্কুল দেখিতে त्रिब ऊथाङ्ग भूगलमाम झोक्क छ किक कब जन हेछानि