পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

موجهة সাম্প্রদায়িক বিষয়েই খুব জোর দেন। শিক্ষার উৎকর্ষ বিধান করিবার মত শিক্ষাই তাঙ্কাদের অধিকাংশের নাই, সুতরাং প্তাহার। সে দিকে কী দৃষ্ট দিবেন ? সাম্প্রদায়িকতা শুধু সরকারী ইস্কুলে আবদ্ধ নহে। বঙ্গের অধিকাংশ বেসরকারী বিদ্যালয় হিন্দুদের দ্বারা স্থাপিত ও পরিচালিত, কারণ শিক্ষায় আ গ্রহ তাহদেরই বেশী। অথচ সরকারীসাহায্যপ্রাপ্ত হিন্দুদের ইস্কুলগুলিতেও মুসলমান শিক্ষক নিয়োগ ও ম্যানেজিং কমিটিতে মুসলমান সভ্য নিয়োগ করাইবার নিমিত্ত শিক্ষা-বিভাগ জেদ করিতেছেন । যাহার শিক্ষায় বেশী আগ্রহাম্বিত, শিক্ষার জন্য ত্যাগস্বীকার বেশী জ্ঞকরে, শিক্ষায় বেশী অগ্রসর, তাহাদিগকে জোর করিয়া শিক্ষণক্ষেত্রে তাহা জ্বর মাধ্য স্থান হষ্টতে—শিক্ষকভ হইতে, পরিদর্শকত হইডে এবং স্কুলপরিচালক সমিতির সভ্যত্ব হইতে- কতকট ৰঞ্চিত রাখা হইতেছে। সুতরাং বঙ্গে শিক্ষার অবস্থা খারাপ হওয়া বিচিত্র নহে । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলি সহজ করাতেও ( প্রমাণ, প্রথম বিভাগেই সবচেয়ে বেশী পাস হয়, যদিও পুথিবীতে কোন কৰ্ম্মক্ষেত্রেই প্রথম শ্রেণীর লোক সংখ্যায় বেশী নম্ন ) স্কুল ও কলেজে ভাল শিক্ষা হয় না। আর একটি কারণ প্রধান প্রধান কলেস্কে ছাত্রবাহুল্য । তাহার দরুন প্রত্যেক ছাত্রের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মন দেওয়া হয় না। বাংল। দেশের শত শত ছাত্র ও যুবক বিন বিচারে যন্দী আছে । তাহাদের মধ্যে বেশ বুদ্ধিমান যুবক অনেক আছে । তাহার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষ দিলে হয়ত উচ্চ স্থান অধিকার করিতে পারিড । কিন্তু তাহারা তাহা দিতে পারে না, হয় ত দিতে চায়৪ ন । বোধ হয় বাংলা দেশের ছায়দের মধ্যে রাঞ্জনৈতিক উত্তেজনা এবং নেতাদের দ্বারা রাজনৈতিক কাজে ছাত্র ও অন্ত যুবকদিগকে নিয়োগ ( অবশু বিনা বেতনে ) অন্ত প্রদেশের চেয়ে বেশী। ইহাও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাঙালী ছাত্রদের প্রায়ই পরাজয়ের একটা কারণ হইতে

  • /tग्न !

জাজিজানি না, এই পরীক্ষাগুলি এটি প্রতিযোগিতামূলক, ন, ইচ্ছায় জাগে মনোনয়ন বা নমিনেঞ্চল ছয় । যদি নমিনেগুন {జాiణి ఏ98) হয়, তাহা হইলে সাৰ্ব্বজনিক কাজে উৎসাহী অর্থাং পরিকস্পিরিটেড অনেক ভাল ছেলে বোধ হয় পরীক্ষা দিতে পায় না। আজকাল বাঙালী অনেক ছেলে চাকুরী করিতেই চায় না। সেই কারণেও কতক বুদ্ধিমান ছেলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেয় না । আধুনিক নানাবিধ শিক্ষালাভ ও জ্ঞানলাভ অর্থসাপেক্ষ । বাঙালীদের মধ্যে--বিশেষতঃ মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকদের মধ্যে— অর্থকষ্ট বেশী হইয়াছে। এই জন্য তাহাদের ছেলেরা ভাল ভাল পুস্তক ও মাসিকপত্রাদি কিনিয়া পড়িবার স্থযোগ ততটা পায় না. যতটা অন্যান্য প্রদেশের ঐ শ্রেণীর ছেলের। পায় । এটাও বাঙালী ছেলেদের আকৃতিত্বের একটি করণ হইতে পারে । প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাসমূহে ভারতবর্ষের ও সমগ্র জগতের চলতি ঘটনা ও সমস্ত এবং আধুনিক ব্যাপারসকল সম্বন্ধে সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষ হয় । মৌখিক পরীক্ষায় এই সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এই সকল বিষয়ে ইংরেজী নানা বহি ও সাময়িক-পত্র পড়া দরকার । বাঙালী ছেলেরা অন্যান্য প্রদেশের -যেমন মাস্ত্রীজের-ছেলেদের চেয়ে ইংরেজী যহি কম পড়ে—বিশেষতঃ গল্প ও উপন্যাস ছাড়া অন্ত বহি যাহা জ্ঞানগর্ত। গল্পের মাসিক ছাড়া অন্য ইংরেজী মাসিকও, জ্ঞানগর্ভ মাসিকও, বাঙালী ছেলেরা কম পড়ে। মডার্ণ রিভিউ বাংলা দশ হইতেই বাহির হয়। ইহার উৎকর্ষ, পৃথিবীর অন্যান্ত সমুদয় মাসিকের তুলনায় উৎকর্ষ, স্তর মাইকেল স্যাডলারের মত জ্ঞানী বিদেশী । ধিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সভাপতি ছিলেন ) স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়। স্বীকার করিয়াছেন । তিনি বলিয়াছেন, “It is one of the live periodicals of the world” “es on জীবস্ত সাময়িক-পত্রগুলির মধ্যে একখানি ।” তাহার বহুপূৰ্ব্বে বিখ্যাত সাংবাদিক ও গ্রন্থকার নেভিন্সন সাহেব কলিকাতা-দর্শনকালে ঐক্সপ কথা বলিয়াছিলেন । আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বন্ধ আমাকে একবার বলিয়াছিলেন, “তোমার মষ্ঠাণ রিভিউ মান্দ্রাচীর গস্পেলের মত করিয়া পড়ে ।” কিন্তু ইহার পাঠৰু বাংলা দেশ অপেক্ষ বঙ্গের বাহিরে বেশী, বিশেষতঃ মাম্রাজ প্রেসিডেন্সীতে ও ছাজমহলে। সেদিন