পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ত উহাকে ভিত্তি করিয়াই রচিত, উহা শ্বেতপত্রের একটা অঙ্গ, স্বতরাং শ্বেতপত্রকে অগ্রাহ করিলে উহাকেও জাগ্রাঙ্ক করা হইল । তাই যদি হয়, তাহা হইলে পরিষ্কার ভাষায় বলুন না, যে, সাম্প্রদায়িক ভাগবাটোজারাও ছশমন, উহাকেও প্রত্যাখ্যান করিলাম। তাহ তাহার বলিতেছেন না। তাহার কারণও আছে। সাম্প্রদায়িক ভাগবাটো আরাট মুসলমানদের খুব পিয়ার । তাহাকে দুশমন বলিলে প্রায় সব মুসলমান বাকিয়া বসিবে । তাহা হইলে হিন্দু-মুসলমানের মিলন হইবে না। কিন্তু সাম্প্রদায়িক ভাগবাটো আরাটাকে দুশমন মা বলিলেই কি ঐ মিলন হইবে ? হইবে না। কারণ, অধিকাংশ মুসলমানের দাবি শুধু এ নয়, যে, “ওটাকে দুশমন বলিও না” তাহার চায়, বল, যে, "ওটা খুবই স্তাযা জিনিষ ।” অন্যদিকে ওটাকে দুশমন মা বলিলে হিন্দুর, এমন কি বিস্তর কংগ্রেসওয়াল হিন্দুও, স্বরাজীদের সহিত একমত হইবে না। বস্তুত:, ঐ ভাগবাটোজারটি যে কেবল বঙ্গের ও পঞ্জাবের হিন্দুদিগকেই লাঞ্ছিত অপমানিত ও হীনবল করিয়াছে তাঁহা নহে, উহ! সমগ্রভারতের হিন্দুদিগকে পদাঘাত করিয়াছে এবং অধিকন্তু উহা স্বাঞ্জাতিৰত (ন্যাশন্যালিজম্) এবং গণতান্ত্রিকতাকেও ( ডিমোক্র্যালীকেও ) অপমানিত, অগ্রাঙ্ক ও হীনবল করিয়াছে । হৃতরাং কংগ্রেস যদি স্বাঞ্জাতিক ও গণতান্ত্ৰিক বলিয়া নিজের পরিচয় বজায় রাখিতে চান, তাহ হইলে প্রত্যেক হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্ৰীষ্টিয়ান প্রভৃতি কংগ্রেসওয়ালার ঐ বাটেআরটি প্রত্যাখ্যান ও অগ্রাহ করা উচিত । আর একটা কথা এই, যে, ঐ বাটোয়ারা অনুসারে শ্বেতপত্রের একটা মাত্র অংশ, অর্থাৎ ব্যবস্থাপক সভাগুলাতে কোন ধৰ্ম্মাবলম্বীরা কত আসন পাইবে তাহার ব্যবস্থা প্রণীত হইয়াছে, বটে। কিন্তু শ্বেতপত্রে ভা ছাড়া আরও অনেক জিনিষ আছে ; সেগুলাই উছার অধিক অংশ । সেগুলাতে ভারতবর্ষের লোকদিগকে ক্ষমতা দিবার নামে বন্ধন, এবং অধিকার দিবার নামে জনধিকার দেওয়া হইয়াছে। যদি স্বরাজীদের বা অঙ্গ কাহারও চেষ্টায় ঐ বন্ধন কমে ও মুক্ততা বাড়ে, অনধিকার কমে ও অধিকার বাড়ে, কিন্তু যদি সেই সঙ্গে সঙ্গে খাটোঙ্গারাটা নাকচ মাহইয়া বজায় থাকে, তাহা হইলে ফলষ্ট কিরূপ দাড়াইকে? কল এই হইবে, যে, ইঙ্গ-ফেয়জ-মুসলমানের জারও ক্ষমতাশালী এবং হিন্দুর ময়িত্ব ও গাঙ্গল-পরিষদের সভ্যত্ব అe আরও হীনবল হইবে । হইতে পারে হিন্দুর ভূর্বল, কিন্তু কিসের মানে কি, কিসের ফল কি, তাহারা তাহা বুঝিতে সমর্থ। এই জন্য যখন আগা খান বলিয়াছিলেন, “এস, ভারতীয় বেরাদস্বর সব, সাম্প্রদায়িক ভাগবাটোঙ্গারাটার এখন আলোচনা না করিয়া শ্বেতপত্রের অন্ত দোষগুলা আমাদের সম্মিলিত চেষ্টা দ্বারা শুধরান যাকৃ” তখন হিন্দুরা সবাই না হোক অনেকেই তাহার মতলবট বুঝিয়াছিল এবং মুসলমান স্বরাজীদের চালও এখন তাহারা বুঝিতেছে। ভারতবর্যের সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের ও সকল জাতের ও শ্রেণীর লোকদের মিলন আমরাও চাই । কিন্তু যত জিন কোন কোন সম্প্রদায়ের, জাতের ও শ্রেণীর জানুগত্যের মূল্য নীলামের সৰ্ব্বোচ্চ ডাক অনুসারে দিবার ক্ষমতা ইংরেজদের থাকিবে এবং স্বদেশবাসী অদ্যান্য সম্প্রদায়ের, জাতের ও শ্রেণীর সহযোগিতা ও দেশের স্বাধীনতার পরিবর্তে, সেই মুল্য লইয়। ইংরেজের জাহ্নুগত্য স্বীকার করিতে কোন কোন সম্প্রদায় রাজী থাকিবে, তত দিন এই মিলন হইবে লা। এবং, সব সম্প্রদায়ের মিলন ভিন্ন স্বরাজ পাওয়া যাইবে না, এই বিশ্বাসে বা এই বিশ্বাসের বাহ ভাণে যত দিন আমরা ক্রমাগত সম্প্রদায়বিশেষের দ্বারস্থ হইতে থাকিব, তত দিনও মিলন হুইবে না । যখন হিন্দুরা নিজের চেষ্টা, মুসলমানরা নিজের চেষ্টায়, স্বরাজলাভে প্রয়াসী হইবে, অথচ অস্তের সহিত মিলনেও অনিচ্ছুক হইবে না, তখন মিলন হইতে পারে। - মস্তিত্ব ও শাসন-পরিষদের সভ্যত্ব বঙ্গের অন্যতম মন্ত্রী নাজিমুদ্দিন সাহেব শাসন-পরিষদের সভ্য হইলেন। বোম্বাইয়েও এক জন মন্ত্রী তথাকার শামনপরিষদের সভ্য হইয়াছেন । মন্ত্রীদের এইরূপ পদ গ্রহণ বাঞ্ছনীয় নহে। তাহারা প্রজাপক্ষের লেঙ্ক। গবশ্লেষ্টকে খুনী রাখিলে তবে শাসন-পরিষদের সভ্য হওয়া বায়: সুতরাং মন্ত্রীদের শাসন-পরিষদের সভ্য হইবার নিয়ম বা DB BBB DDBB gDDDD BBB BBBB BBBBBD BDDB BBD D BB BBBS DBBSBBDD DDDDHD DBB BBBBBS BDDS