পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6לפי Rপ্রবাসী ; ఏ38ఏ এদেশে বাস করিতে পারেন, কিন্তু দ্বিজগণের এদেশে বাস কৰ্ত্তব্য নহে। অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ প্রভৃতি দেশে তীর্থযাত্রা ব্যতীত অন্য কারণে আসিলে দ্বিজগণকে পুনরায় সংস্কার - গ্রহণ করিতে হইত । “जल कत्र कणिरत्रजूcमौजtछे भर्णtषश क তীর্থযাত্রা বিনা গচ্ছন পুনঃ সংস্কারমর্থতি।" এ-সকল হইতে বুঝা যাইতেছে, বঙ্গ অপরিত্র দেশ, ম্লেচ্ছদেশ। মহাতি, বাসস্থতি, আঙ্গবন্ধ্যস্থতি প্রভৃতিতে ঘেসকল বিধিনিষেধের উল্লেখ আছে তাহ, যে-দেশে কৃষ্ণসার যুগ স্বভাবতঃ বিচরণ করে সেই দেশের জষ্ঠ কথিত হইয়াছে। ম্লেচ্ছদেশের জষ্ঠ নহে। মেচ্ছদেশের জষ্ঠ স্থতি णिज्रि इम्न नादे। श्उद्रोर डिब्र दिििरश्ष दऋमप्= প্রযোজ্য নহে। বাঙালী ঐ সকল বিধিনিষেধ মানিবে কেন ? যদি মানে সে পৃথক কথা। না মানিলে প্রায়শ্চিত্তই হয় না। বেদ সৰ্ব্বদেশে সৰ্ব্বকালের জন্ত বিশ্বমানবের হিতার্থে প্রচারিত হইয়াছে। খধেমাং বীচং কল্যাণী মাদানি জনেভা । ব্ৰহ্মরাজস্তাভ্যাং শূত্রায় চাৰ্যাচগ্ৰায়চারণায়। षष्ट्ः २७२ এই হেতু স্মৃতির ব্যবস্থা বেদানুগ হইলে ম্লেচ্ছদেশেও मामनौ क्षेउ छाप्रि, नर६९ नरश्। ব্যাস বলিতেছেন, বেদের অবিরোধী হুইলেই অর্থাৎ বোমুগত হইলেই স্থতি-পুরাণের প্রামাণিকতা। বেদের বিরোধী হইলে স্মৃতিপুরাণ গ্রহণীয় নহে। প্রতিস্থতি পুরাশানাং বিরোধে ধত্ব দৃপ্ততে। অত্র শ্ৰেীতং প্রমাণত্ত তয়োেৈধ স্মৃতিব্বর। ব্যাস সং ১le কিন্তু মন্থর মতে বিরোধী অবিরোধীর কোন কথা নাই । বেদে বাহা নাই তাঁহাই পরলৌকিক বিষম্বে নিষ্ফল ; কারণ তাহা পুরুষকৃত এবং অৰ্ব্বাচীনকালীম্‌। বেদ অপৌরুষে, অঙ্ক শাস্ত্র পুরুষকৃত। বেদ নিত্য, অন্ত শাস্ত্র অর্থাচীনকালীয়। বেদ সৰ্ব্বঙ্গের উক্তি, অষ্ণু শাস্ত্র অল্পঞ্জের কৃত । এই সকল হেতুবশতঃ বেদবাহ শাস্ত্রের উক্তি পারলৌকিক বিষয়ে নিষ্ফল। যা ৰেদ বাছাঃ স্মৃতয়ে যাশ্চ কাশ্চ কুদৃষ্টঃ । সৰ্ব্বাস্তানিীলা; প্রেতা তমোনিষ্ঠা হিতা: স্থতা: উংগ্যান্তে চাবস্তে চ যাগুতোংস্কানি ৰালিটিৎ । তাঙ্কর্যাঙ্কলিকতয়া মিখলাগুৰুতনি চ | भ* s२lss-se টীকাকার কুত্ত্বকভট বিশদরূপে বুঝাইয়া দিয়াছেন যে, পুরুষকৃত শাস্ত্র পৌরুষোত্বাং অর্থাৎ ঐ হেতুতেই এবং অৰ্ব্বাচীনকালিক বলিয়া অর্থাৎ ইদানীগুনত্বাং উৎপন্ন হইতেছে এবং বিনষ্ট হইতেছে। কারণ উহা অনিতা, স্বতরাং উহা নিফল এবং অনুত । ইহাতে বেদবাহ শাস্ত্রকে বৃথা এবং মিথ্য— দুই-ই বলা হইল। বেদোক্ত ধৰ্ম্ম প্রকৃত ধৰ্ম্ম বলিয়া যখন সৰ্ব্বত্র আচরণ করিবার যোগ্য তখন বঙ্গাদি দেশে অল্প শাস্ত্রসন্মত ধৰ্ম্ম ও আচরণ প্রচলিত বাকিলে কি হইবে ? সে-সকল ড মন্থর মতে নিষ্ফল ও মিথ্যা। পায়লৌকিক বিষয়ে সে-সকল কিছুই নহে। বেদবাহ স্থতি পুরাণ মাননী নহে। ঘদি বা স্বীকার করেন যে স্মৃতিশাস্ত্রের বিধিনিষেধ বঙ্গদেশেও প্রযোজ্য, তাহা হইলেও বলিতে হুইবে যে বঙ্গদেশে অধুনা দ্বিজবর্ণের অথবা ব্ৰাক্ষণের "অত্যন্তাভাব হওয়ায় ঐ সকল এদেশে প্রযোজ্য হইতে পারে না। মনু, ব্যাস, বশিষ্ঠ প্রমূখ ঋষিগণকে যদি শ্রদ্ধা ও মান্ত করেন তবে অবশুই স্বীকার করিবেন যে, এই দেশে ব্রাহ্মণ নামে খ্যাত গ্রাম সকলেই পুত্রত্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন, স্বতরাং শূদ্র বর্ণ। কেই কেহ বা অসং শুঞ্জেও পরিণত হইয়াছেন। যেখানে সকলেই শূদ্র, সেখানে অস্পৃশ্বতা কথার অর্থই নাই। মনু বলিতেছেন, যৌহলধীতা দ্বিজে বেদানগুত্র কুরুতে শ্রম। স জীবয়েৰ শুক্রামাণ্ড গচ্ছতি সাৰ । મદ્ રાકહજ বেদ অধ্যয়ন না করিলে সবংশে শূন্ত্রতথাপ্তি হয়। অধ্যয়ন করা চাই। দুই একটা বেম্বমন্ত্র আওড়াইলে হইবে না। অর্থ না বুঝিয়া আওড়াইল ড হুইবেই না, মোটামুটি একরকম বুঝিয়া আওড়াইলেও হইবে না। গুরুগৃহে নির্দিষ্ট কাল অধ্যয়ন করিতে হইবে। নচেৎ মহুর মতে শূদ্রতপ্রাপ্তি ঘটিবে। কুত্ত্বকভট বাঙালী ছিলেন, এইরূপ পরলোকগত ঐমান অক্ষয়কুমার মৈত্র আমাকে বলিখছেন । ফুল্লুক বাঙালী থাকুন বা না-থাকুন তিনি তথাকথিত ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণত্ব বজায় রাখিবার নিমিত্ত বলিতেছেন, মধু অভাবে গুড় দিলেই হুইবে অর্থাৎ স্মৃতি অথবা বেদাঙ্গ পড়িলেও ব্রাহ্মণত্ব টিকিয়া বাইবে। তিনি শঙ্খলিথিঙের প্রমাণও দিয়াছেন। এসকল নিঃসন্দেহ সেই সময়ের কথা ঘে-সময়ে বেদের পঠনপাঠন অনাদৃত হইয়া আসিতেছিল অথবা