পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যত্বপূর্বক আহার করাইবে। eషి অর্থাৎ আর্বদিগের গৃহে শূদ্রগণের পরিচর্য (সংস্কারকাধী ) কৱিবে । ইহাতে সৰ্ব্বপ্রকার পরিচর্য্য-কাৰ্যই বুঝিতে হইবে। শূত্র আমাদিগকে রাধিম পরিবেশন করিয়া ব্ৰাহ্মণবর্ণ পাকাদি কাৰ্য্য করিয়া শূত্রের সেবা করিবে না। আধুনিক স্বতি মানিতে হইলে ব্রাহ্মণের হস্তে পাকাদি সেবা গ্রহণ করা পূত্রের অসঙ্গত। গোরক্ষপুর জেলা নিবাসী আমার একজন ধরকম্বাজ আছে; আমি তাহার নিকট শুনিয়াছি যে, তাহার সমাজে ( গোয়ালা সমাজে) ব্ৰাহ্মণ পাকাদি করিয়া দিলে তাহারা ভোজন করে না। ইহাই সঙ্গত। বঙ্গদেশে সম্পূর্ণ বিপরীত ব্যবস্থা। ব্রাহ্মণই পাকাদি কাৰ্য্য করিবে এবং শূত্রগণ তাহার পাকাদি সেবা গ্রহণ করিবে। মহারাজ যুধিষ্ঠিরের রাজস্বয় যজ্ঞে সৰ্ব্ববর্ণের পাককার্য শবর-জাতীয় ব্যক্তিগণ করিয়াছিলেন । ঋষিরাও তাঁহা ভোজন করিয়াছিলেন। শবর-শবরীগণ অস্ত্যজ জাতি গণ্য হইত, তখন পৰ্যন্ধও অস্ত্যঙ্গ-জাতীয় ব্যক্তিগঃ অস্পৃশ্ব অথবা অনাচরণীয় হয় নাই, কিন্তু হইতে আরম্ভ হইয়াছে। ভারত-যুদ্ধের সময় হইতেই আর্য জাতির অধঃপতন আরম্ভ হইয়াছে। সে দুঃখের কাহিনী এস্থলে উল্লেখ করা নিম্প্রয়োজন। যাহা হউক সং অসৎ উভয় প্রকার সূত্রই অস্পৃগু হইতে পারে না। যদি বা বর্তমান শাস্ত্রানুসারে তাহাদিগকে অস্পৃশু গণ্য করা সঙ্গত বোধ করেন তাঁহা হইলেও হিন্দু সংগঠন কার্যের প্রতি লক্ষ্য রাখিলে কি করিতে হুইবে ? কলির ধৰ্ম্মশাস্ত্রকার পরাশরের পদামুসরণ করিতে হইবে । তিনি বলিতেছেন, চত্বরে যাত্রয়ো বাপি যন্ত্রস্তুৰ্ব্বেদ পারগাঃ । স ধর্ণ ইতি বিজেয়ো নিতরৈস্তু সংশ্রশ: ॥ পরাশর ৮১৫ ইহা হইতে প্রতীয়মান হইতেছে যে, তিন অথবা চারি জন বেদপারগ ব্যক্তি যাহা ব্যবস্থা দিবেন তাহাই ধৰ্ম্ম বলিয়া গণ্য হইবে । ইহাই যখন এ-যুগের ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারের বিধান তখন অস্পৃশুকে স্পৃশ্ব করিয়া লইতে এবং অনাচরণীয়কে আচরণীয় করিয়া লইতে অধিক বিলম্বের কোন কারণ দেখা যায় না। পঞ্চাশ-যাট বৎসরের পূর্ব হইতে তিন চারি জনের অধিক বেদপারগ ব্রাহ্মণ অস্পৃশ্বতার বিরুদ্ধে মত দিয়াছেন। চারি শত বৎসর পূৰ্ব্বে মহাপ্ৰভু গৌরাঙ্গ বহু অনাচরণীয়কে ভেক দিয়া వన983 আচরণীয় করিয়াছিলেন । স্বতরাং পরাশরের এই মত গ্রহণ করিলে অস্পৃশ্বকে আচরণীয় করিয়া লণ্ডা অতি সহজ কার্য। তারপর, আর এক কথা। দ্বিঙ্গবর্ণ বাদ দিলেও দেখা যাইতেছে ধে, সাগং পূদ্রবণ পরম্পর মধ্যেও অস্পৃক্ততার নিয়ম পালন করিয়া থাকেন। ইহা ত হইতেই পারে না । তাহার একে অন্যের স্পৃষ্ট অল্প পানীয় গ্রহণ করেন না। এ কি ! ব্রাহ্মণ: ক্ষত্রিয়ো বৈহু স্ত্রয়োধর্ণ রিজাতঃ। চতুর্থ এক জাতিন্তু শূদ্রো নাস্তি তু পঞ্চমঃ।

  • *-is দ্বিজবর্ণ ব্যতীত অঙ্ক সকলেই এক জাতি । তাহাদিগের মধ্যে স্পৃশ্বাস্পৃশ্বের কথাই উঠিতে পারে না। আর দ্বিজবর্ণের পরস্পরের মধ্যে অস্পৃশ্বতা পালন করা এবং দ্বিজ ও শূদ্রবর্ণের মধ্যে অপুখ্যতা পালন করা বেদবিরুদ্ধ। উতবে অবহিতং দেবাউল্লরথা পুন: । উতাগশ্চক্রব সেবা দেবাঙ্গীকধাপুনঃ ॥

גורכאצן "צ "א অর্থাৎ হে বিধান্‌! যে পতিত হইয়াছে তাহাকে পুনরা উঠাও। যে পাপ করিয়াছে অথবা যাহাঁদের জীবন ময়ল হইয়া গিয়াছে তাহাদিগকে পুনরায় জীবন দাও অর্থাৎ উন্নত কর। এই বেদবাক্যে অনুন্নত অস্পৃগু, অনাচরণীয় জনগণকে কি ঐকুপই রাখিতে আজ্ঞা করিতেচ্ছ, না কি তাহাদিগকে যত প্রকারে সম্ভব উন্নত ও স্পৃগু করিতে বলিতেছ ? এ মহাবাকা নিশ্চয়ই তাহাদিগকে পুনঃ জীবন দিতে বলিতেছে। তাহাদিগের আচার, ব্যবহার মত ও অসুষ্ঠান পরিবর্তন করিয়া লইয়া তাহাদিগকে যেন নুতন জীবন দান করিতে বলিতেছে। এ চেষ্টা সকলেরই কৰ্ত্তব্য । মোটামুটি সংশূত্র ( বর্ণ) ও অলং শূদ্র ( জাতি) চারি প্রকারে গঠিত হইয়াছে। ( ১ ) চতুবর্ণের অগ্নতম। (২) কুকশ্বের ফলে দ্বিজবর্ণের শূদ্রতপ্রাপ্তি। ( ৩ ) আৰ্য্যসমাজের বাহির হইতে আনীত ব্যক্তির শূন্ত্রত। (৪) অসবর্ণ বিবাহের ফলে শূন্ত্রত্ব। এই চারি প্রকার শৃত্রের মধ্যে চতুর্থ প্রকারের সঙ্গেই এ-প্রসঙ্গে আমাদের অধিক সংস্রব। প্রথম শ্রেণী বৈদিক চতুর্থ বর্ণ। বেদে অস্পৃশ্যতা নাই। দ্বিতীয় শ্রেণীর সম্বন্ধে এই বলিলেই প্রবাসনা"