পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"שצפא "প্রবাসীস্টr - দিয়ে বললেন-৪ ছেলেটি কে ? রোজ দেধি দাড়িয়ে থাকে। এস, এল বাব, এদিকে এস । প্রথমটা আমার বড় লজ্জা হ’ল কিন্তু কেমন একটা আনন্দও হ’ল। একটু এগিয়ে গেলাম। জ্যাঠাইম বললে— ও আমার এক খুড়তুতো দেওরের ছেলে । ওরা এখানে থাকতো না, চী-বাগানে ওর বাবা কাজ করতো। এখানে এসে অম্লখ হয়ে মারা গেল ; আর ত কেউ নেই, ওরা এ বাড়িতেই থাকে । গুরুদেব বললেন—এস দেখি বাবা, হাতটা দেখি, সরে এস । তারপর জ্যাঠাইমাদের দিকে চেয়ে বললেন—খুব লক্ষণযুক্ত ছেলে। এর বয়স কত ? আমাক্ষ লক্ষণযুক্ত বলাতে-বিশেষতঃ আত ছেলের মাঝ থেকে—জ্যাঠাইমা কাকীমার নিশ্চয়ই খুব খুী হন নি। জ্যাঠাইমা প্রমাণ করবার চেষ্টা করলেন আমার বমেধ নাকি পনের বছর–আমি ওঁর ছেলে হাবুর চেয়েও দেড় বছরের বড় আসলে আমার বয়েস তেরো--জ্যাঠাইমার বড় ছেলে হাবুকে আমরা হাবুদ বলে ডাকি, সে আমাদের সবার চেয়ে স্থ-বছরের বড়। স্কুলে তার যা বয়েস লেখানো - আছে, তাই ধরে বলটি। তারপর শুরুদেব আমায় জিজ্ঞোস করলেন—ৰি পড় বাবা ? - - আমি কোন ক্লাসে পড়ি বললাম। ধাতুরূপ কতদূর পড়েচ ? লুপ্ত, লিট বোঝে । এই শোনে একটি শ্লোক— সোধৈাই বেদাদিশা ন খঃ পিতৃনতাঙ্গীং সমমন্তে ৰত্ন

यूरेअ* शफूषणैमब्र:रा नौtठी সমূলধাতং স্থাবীদরাংশ । হেসে বললেন—কওরকম ধাতুর ব্যবহার দেখেচ । এ হ’ল ভটিকাব্যের শ্লোক— আমার বেশ ভাল লাগলো, গুরুদেবকেও এবং তার শ্লোককেও । আমি এর আগে সংস্কৃত শ্লোক বেণী শুনিনি। H-বাগানে কেউ বলতে না। শ্লোকটা আমি মুখস্ত করে নিলাম। একদিন তিনি বাড়ির পাশের মাঠে শুকনে পাতা দিয়ে জাগুন জেলেচেন। আমার দেখে বললেন—এসে জিতু— S38) আমি বললাম—কি করবেন আগুন জেলে ?... —তামাক পোড়াবে!— আমি বললাম আমি পুড়িয়ে দিচ্চি। গুরুদেব অনেক সংস্কৃত শ্লোক আমায় শোনালেন । । কুবেরের শাপে এক স্বক্ষ গৃহ থেকে বহুদূরে কোন পৰ্ব্বতে নিৰ্ব্বাসিত হয়েছিল, বাড়ির জন্মে ভেবে ভেবে তার হাতের সোনার বাল ঢল হয়ে গিয়েছিল, তারপর আষাঢ় মাসের প্রথম দিনে সেই পাহাড়ের মাথায় বর্ধার নতুন কাল মেঘ নামূল এই রকম একটা শ্লোকের মানে। আমি তো সংস্কৃত পড়ি মোটে ঋজুপাঠ, কিন্তু আমাকেই তিনি আগ্রহের সঙ্গে । এমুনি ভাল ভাল অনেক শ্লোক শোনাতে লাগলেন—বেন। আমি কত বুঝি । এবার মনে হ’ল আমার নিজের কথা-বা কাউকে কখনও বলিনি এ-পর্যস্ত-ৰ্তার কাছে খুলে বলি, আমার মনের সন্দেহ, আমার ঐ সব অভূত জিনিষ দেখার ব্যাপার, জ্যাঠাইমাদের সঙ্গে আচার-ব্যবহার নিম্বে আমার মত না মেল,—সকলের ওপর ঠাকুরদেবতা সম্বন্ধে আমার অবিশ্বাস —এসব খুলে বলে তিনি কি বলেন শুনি। তার ওপর এমন একটা শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস হয়ে গেল আমার r যেন মনে হ’ল এর কাছে বললে ইনি সব বুঝিয়ে দিতে পারবেন আমাকে । এত বড় লোক ইনি, এত পণ্ডিত, কত কথা জানেন । কিন্তু স্ববিধে হ’ল না। বলি-বলি করেও বলতে আমার কেমন লজ্জা হ’ল। তিন দিন এমুনি কেটে গেল, তারপর তিনি চলে গেলেন । আমার কিন্তু বলতে পারলেই ভাল হ’ত ৷ এক জল ভাল লোককে আমার সব কথা বলা দরকার। আখচ এখানে তেমন কোনো লোককে আমি বিশ্বাস করিনে— - কারও ওপর আমার ভক্তি হয় না । আমি আজকাল নির্জনে বগলেই অদ্ভুত জিনিষ সৰ দেখি। যখন তখন, তার সময় নেই অসময় নেই, রাত নেই, দিন নেই। এই তো সেদিন বসে আছি জ্যাঠাইমাদের পুকুরধারের বাগানে একলাটি–হঠাৎ দেখি পুকুর-পাড়ের আমগাছগুলোর ওপরকার নীল আকাশে একটা মন্দিরের চূড়ো—প্রকাও মন্দির, রোদ লেগে ঋক্‌মক্‌ করচে-সোনা