পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- আষাঢ় জল কি কাল তুমি তুলেছিলে ? আমি না কতবার তোমাক্স বারপ করেচি ছোট জালায় তুমি জল ঢালবে না ? বড় জঙ্গিায় বেশী ন পার তে তিন কলসী করে ঢেলেও তো বেগার শোধ দিলে পার ? ছোট জালার জল জ্যাঠামশায়, জ্যাঠাইম বা কাকার। शन। शlyहेशद्र ५-कथा दणशत्र उकश v३ cए, भ গুরুমন্ত্র নেন নি, মায়ের হাতে জল অতএব শুদ্ধ নয়, সে-জল ওঁরা থাকেন কি করে । সত্যিই তো জ্ঞাঠাইমা পুণ্যবতী। নইলে তিনি ঠাকুরঘরে পবিত্র দেহে পবিত্র মনে এতক্ষণ জপ আহ্নিক করছিলেন, আর মা মরছিলেন বেল বারোটা পর্যন্ত গোয়াল-ট্রান্তাকুড় | ঘেটে -যু নাস্তিক মাতাল কেরাণীর স্ত্রী, ডার ওপর আবার - - মেমের কাছে লেখাপড়া শিখে জাত খুইম্বোচন, কেন ওঁরা জ্বল খেতে ঘাবেন মার হাজের ৈ আমার মনে হ’ল ঠাকুরও শুধু বড় বহুষের, পুণিাও বড় মাছুষের জন্যে – নইলে মায়ের, ভল্পেবোঁধের, ভুবনের মায়ের সময় কোথায় তারা নিশ্চিন্ত মনে, গুচি হয়ে, গরদ পরে ওঁর পাধে ফুলতুলসী দেবে ? | বোধ হয় এই সব ন্যন কারণে জ্যাঠাইমাদের বাড়ির গৃহদেবতার প্রতি আমি অনেকটা চেষ্টা করেও কোনো ভক্তি স্থানতে পারলাম না। এক-একবার ভেবেচি হয়ত সেট। আমারই দোষ, আমার শিক্ষা হয়েচে অন্তভাবে, অন্ত ধৰ্ম্মাবলী লোকদের মধ্যে, তাদের কাছে যে দয়া, যমজ পেয়েচি, আর | কোথাও তা পাই নি বলেই। ছেলেবেল থেকে যীশুখৃষ্টের কথা পড়ে আসূচি, তার করুণার কথা শুনেচি, তার কত ছবি দেখেটি। আমার কাছে একথানা ছবি আছে খৃষ্টের, মেমের বড়দিনের সময় আমায় দিয়েছিল—বকের পালকের মত ধপধপে শাদা দীর্ঘ টিলে আলখেল্প-পরা ধীশু হাদি-হাগি মুখে দাড়িয়ে-চারি ধারে তার ছোট ছোট ছেলেমেম্বের ভিড় করেচে, একটি ক্ষুদ্র শিশু তার পা ধরে উঠে দাড়াতে চেষ্টা কল্পচে, আর তিনি তাকে ধরে তুলতে যাচ্চেন নীচু হয়ে–মুখে ব্ধি অপূৰ্ব্ব জ্যোতি, কি স্বন্দর চাউনি-আমি এ ছবিধান বইয়ের ভেতর রেখে দি, রোজ একবার দেখি - এত ভাল লাগে " । কিন্তু ধীশুখুষ্ট্রের সম্বন্ধে কোনো তাল বই পাইনে— وليس By দৃষ্টি-প্রদীপ সীমার আরও জাম্বার ইচ্ছে হয় তঁর কথা-থাকে যে মেমেরা পড়াত চ-বাগানে, তারা একখানা মথিলিখিত স্বসমাচার ও থানকতক ছাপানে কাগজ বিলি করেছিল,সেইগুলো কতবার পড়া হয়ে গিয়েচ, তা ছাড়া আর কোনো - বই নেই। এখানে এসে পর্যন্ত আর কোনাে নতুন বই আমার চেপে পড়ে নি। আমাদের স্থলে একটা ছেলে নতুন এসে ভর্তি হয়েsে আমাদেরই ক্লাগে। তার নাম বনমালী, জাতে গোপ, রং খুব বলে, কিন্তু মুখের চেহার বেশ, বয়স আমার .ை কিছু বড়। সে অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে, এখানে একটা ধর - ভাড়া করে থাকে, বামুনে রাধে। অনেক দূরের পাড়াগাঁয়ে তার বাড়ি, সেখানে লেখাপড় শেখার কোনো স্ববিধে নেই, তাই ওকে ওর বাপ-ম এই গায়ে পাঠিয়েচ। किस्त्र লেখাপড়ার দিকে বনমালীর মন নেই, সে বাগার উঠোনে এক ੋਂ পুতে বধিয়েচ, দিনরাত জপ করে, একৰেলা খায়, মাছমাংস ৷ ছোয় না, শ্ৰীকৃষ্ণ নাম তার সাম্নে উচ্চারণ করবার যে নেই, তা হলেই তার চোখ দিয়ে জল পড়বে। রাত্রে - গুপের যাঘাত র বলে বিকেলে স্কুল থেকে গিয়ে খেছে । দেরে নিশ্চিন্ত হয়ে বামুন-ঠাকুরকে ছুটি দেম্ব—তার পর বসে বসে অনেক গুড় পর্যস্ত জপ করে, হরিনাম করে। (H সময় কেউ কাছে গেলে সে ভারি চটে। অদ্ভুত দরণের - ছেলে বলে তাকে সবাই তার খেপা –স্থলের ছেলের । তার সামনে ক্লিষ্ট ৰিষ্ট বলে চেঁচায় তার চোখে জল বেয়ের কি না দেখবার জন্তে, এই নিয়ে মাষ্টারের পর্যস্ত খিচুনি দি.ত বাকী রাখে না। সেদিন তো এ্যালজেব্রার জাক ন পারার দরুণ আমাদের সামুন থেকেও মাষ্টর ওকে বললে—“তুমি তো শুনিচি কেষ্ট নাম শুনলে কেঁদে ফেল— ভা যাও, পয়গা আছে বপের, মঠ বানাও, মচ্ছবদেওলেখাপড় করবার সব কেন । এসব তোমার হবে না বাপু " আমি একজন বনমালীর কাছে সন্ধার সময় গিয়েছি । - ও তখন একটা টুলের ওপর বলে একমনে দেওয়ালের দিকে । চেয়ে বােধ হয় জপ করচে-আমায় দেখে উঠে দোর খুলে দিলে, - হেসে বসতে বললে। ওকে অদ্ভুত মনে হয়, সেজন্তেই দেখা করতে গিয়েছিলাম - ধে তা নয়—আমার মনে হয়েছিল ও যে-রকম ছেলে, ও বোধ হয় আমার নিজের - - - -