পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লুই পাস্তয়র ও র্তাহার গবেষণা আচার্য শ্রীপ্রফুল্লচন্দ্র রায় ও ঐসত্যপ্রসাদ রায় চৌধুরী, ডিএসসি 令 টাকা দিবার প্রথা এবং তাহার ক্রমোন্নতি ও - বিকাশ পাস্তম্বরের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে বিভিন্ন রোগ মিভিন্ন প্রকারের জীবাণু বার সংঘটিত হয়। কি প্রকারে এই ক্ষুদ্র (অর্থাৎ অম্বুবীক্ষণ যন্থের সাহাবে যাহার সত্ত্ব উপলব্ধি হয় ) অথচ অমিতপরাক্রমশালী শত্রুর হস্ত হইতে রক্ষা পাওয়া যায়, তিনি সৰ্ব্বদাই সেই চিন্তা করিতেন । এই সময়ে ফরাসী দেশে দুরন্ত বিস্তুচিকা গেগে অনেক কুকুটখাবক মারা যাইতেছিল। পাস্তয় সৰ্ব্বপ্রথমে কুকুটখাবকগুলির বিশ্বটিক রোগের জীবাণুর প্রকৃতিনির্ণয়ে মনোনিবেশ করিলেন। বিস্তুচিকা-পীড়াক্রাস্ত কুকুটশাবকগুনির রক্তের মধ্যে স্বীপশহরের সাহায্যে কতকগুলি জীবাণুপ্রাণীভূক্ত করা গিয়াছিল বটে, কিন্তু পাস্তরের রেশমী পোকা সম্বন্ধে গবেষণা বাহির হইবার পূৰ্ব্বে তাহাম্বের যথার্থ প্রকৃতি নিৰ্ণয় করা সম্ভব হয় নাই । রেশমী পোকার রোগের জীবাণু সুম্পর্কে গবেষণা করিবার সময়ে পাস্তর অণুবীক্ষণ-স্ত্রের উপকারিতা দেখাইয়াছিলেন। অণুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা গবেষণা বিষয়ে পান্তর যে সকলের অগ্রগামী ছিলেন, তাহ নয়। তাহার *E*cos critsz ( Guérin-Menneville) catsitariz রেশমী পোকার শরীরের ভিতরে আণুবীক্ষণিক কণা প্রত্যকীভূত করিয়াছিলেন। এতদ্ভিয় লাবের (Lebert) এবং ফ্রে (Frey) রোগাক্রান্ত মশার রক্তের মধ্যে এবং নানাপ্রকার ডিমের মধ্যে উপরিউক্ত স্কৃত ক্ষুদ্র কণাগুলির অস্তিত্ব দেখাইয়াছিলেন। যাহার জীবাণুর প্রকৃতি সম্বন্ধে পরীক্ষাগারে গবেষণা করিয়াছেন তাহারা জানেন যে গবেষণাকার্য নিরবচ্ছিন্ন হওয়া অবশ্যক। রসায়নবিদের নিকটে অবকাশের সময়গুলি তাঁহাদের গবেষণাকার্ঘ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বিশেব সাহায্য করে। কারণ র্তাহারা সমস্ত সময় একমনে গবেষণাকার্যে নিয়োaিত করিতে পারেন। ইহা ব্যতীত ছুটির সময় রসায়নবিদগণকে পরোক্ষভাবে এক অভিনব উপায়ে সাহায্য করে। অনেক সময়ে পরীক্ষালব্ধ তরল পদার্থ হইতে কঠিন দানা বাহির হইয় আসা বিশেষ সময়সাপেক্ষ। দীর্ঘ অবকাশের পরে রাসায়নিক পরীক্ষাগারে ফিরিয়া আসিয়া তাহার স্বদীর্ঘ পরিশ্রবলব্ধ ধানাগুলির আকৃতি দেখিয় আনন্দে উৎফুল্ল হন এবং নূতন উদ্যমে কাজ করিতে পারেন। কিন্তু জীবাণুতত্ত্ববিং পণ্ডিতদিগের (Bacteriologist) পক্ষে এই হিসাবে অবকাশের সময় বিশেষ অনিষ্টকারী, কারণ হয়ত তাহার মধের পর মাস ধরিয়া অক্লাস্ত পরিশ্রমসহকারে ধে-সকল জীবাণু কালচার* করিয়াছেন, দীর্ঘ অবকাশের পরে হয়ত আসিয়ু দেখিবেন, ধে, তাহার কোনও অলস সহকারীর যত্বের অভাবে সেই সকল জীবাণু মৃতপ্রায় এবং মীভূত হইয়। আসিয়ছে। সম্ভবতঃ এইরূপ কোনও কারণবশতঃ -৮৭৯ খৃষ্টাব্দে দীর্ঘ অবকাশের পরে পান্তর গবেষণা-গৃংে আসিয়া দেখিলেন, যে, অবকাশের পূৰ্ব্বে তিনি কুকুটশাবকের বিশ্বটিক রোগের যে-সকল জীবাণু লইয়া পরীক্ষা করিতেছিলেন সেগুলি মৃতপ্রায় । তিনি কৌতুহলাক্রান্ত হইয়া কতকগুলি পশুপক্ষীর শরীরের ভিতরে এই মীভূত জীবাণু প্রবেশ করাই দিলেন। পাস্তর আশা করিয়ছিলেন যে, এই জীবাণু মন্ত্ৰীভূত হইলেও জ্বস্তুগুলি জীবাণুর প্রভাবে পীড়াক্রান্ত হইবে। কিন্তু তিনি দেখিয়া আশ্চর্যাম্বিত হইলেন যে, জন্তুগুলি বেশ স্বচ্ছনে, স্বস্থ শরীরে তাঁহাদের fश्रीश्चtब्रद्ध ভিতরে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। ভিনি পুনরায় কতকগুলি তীব্র জীবাণু সংগ্ৰহ করিম ঐ প্রাণীগুলির শরীরের মধ্যে প্রবেশ করাইয়া দিলেন। ভাবিলেন, দেখা যাউক, কি হয়। যখন তিনি দেখিলেন যে প্রাণীগুলির শরীরে এই সকল তীব্র জীবাণু

  • কুমিম উপাত্ত্বে প্রস্তুত করা