পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় বিৰাগী xOඑද් বঙ্কিয়া যায়। পথ চলিতে চলিতে ছোট ছেলে দেখিলেই কেমন মেল লিঙ্কেশ্বর হঠাৎ খামির খায়, একপৃষ্ট্রে তাহাজের পানে চাহিয়া থাকে। ছেলের তাহার অদ্ভুত চেহারা ও পোষাক দেখিয়া ভয়ে ছুটিয়া পালায় । সেই পুরাতন গ্রাম চণ্ডীপুর আধার অনেক বৎসর পরে তাহার বিবাণী ছেলেকে সস্নেহে আহবান করিল। সিদ্ধেশ্বর ঘুরিতে ঘুরিতে গ্রামে গিয়া পড়িল। নূতন, गय३ न्ऊन । किष्ट्रहे ७ cन ऽिनि:७ *tन न। ॐ न॥ জমিদার-বাড়ির ভাঙা মন্দির । সেই অনেক দিনের পুরানে কাহিনীগুলো চোখের উপর পিম্বা ছবির মত একে একে ভলিঙ্ক যায়। এইটি না সোলাপিসির বাড়ি ? এখানে আবার মাটির দালান উঠিল কৰে ? সমস্ত হৃদয় তাহার বিশ্বম্বে পূর্ণ হইয় উঠে। সিদ্ধেশ্বর যখন এই গ্রামে ছিল তখন সোনাপিসির বাড়ির সম্মুখে খানিকট খালি-জমি সে দেখিয়াছে। সেইখানে এককালে সোনাপিদির বড়ছেলে কত শাক-সঙ্গীর ক্ষেত করিয়াছে। তারপর ছেলেটি বিদেশে চাকরি করিতে গিয়া মরিস্কা ধাওয়ার পর আর কেহই সেখানে ক্ষেত করে নাই। সিদ্ধেশ্বরের মনে আছে—ছোটকালে পাড়ার ছেলেদের সাথে মিশিম্বা সে সেখানে হাডুডুডু, কাণামাছি খেলিয়াছে। আজ দেখে, সেখানে একটি পুকুর । তাহার চারি পাড়ে স্বপারী, কলা ও নারিকেল গাছ পারি সারি সাজান রহিমাছে। এতসব গৃহস্থালী করিল কে, সিদ্ধেশ্বর ভাবিয়াই ৰূল পায় না। সে দেখিল, সেই পুকুরের পাড়ে তালগাছের নীচে বলির একটি ছেলে বঁাশ ফুকিতেছে। সে দাড়াইয়৷ অনেকক্ষণ আহাঁকে দেখিল । ছেলেটি হঠাৎ সিদ্ধেশ্বরকে দেখিম! ভয়ে চমকিয়া উঠিল । পিন্ধেশ্বর ধীরে ধীরে তাহার কাছে গিয় তাহার পাশে বসিল । ছেলেটি কিছু দূরে সরিয়া গিম্বা ইতস্তত: করিতে লাগিল । সিদ্ধেশ্বর হাসিয়া বলিল,— "ও, তুমি বুঝি ভয় পেয়েছ খোকা। আমি ত বুড়ে মামুধ, ভয় কি ! এস আমার কাছে। এই মেবে কেমন স্বন্দর পুতুগ। বলিয়া সে স্থলি হইতে একট,হাতভাঙা পুতুল তুলিম নেয়। ছেলেটি দূর হইতে সতৃষ্ণনম্বনে সেটির দিকে চাহিমু রহিল। তারপর ভদ্ধে ভয়ে কাছে আসিয়া পুতুলটি লইল। এদিক-ওদিক দেখিয়া বলিল,—হাত একখানা তেv ভাঙা । সিদ্ধেশ্বর অনেক খুজিয়া বুলি হইতে একটি টিনের বাণী তাহার হাতে দিল। ছেলেটি ঘুণী হইয়া ব্যঙ্গতে ক্ষু দেয়। সিদ্ধেশ্বর একদৃষ্টি ছেলেটির আনন্দোজ্জল মুখের পানে চাহিয়া থাকে। এমনি করিয়া কিছুক্ষণের ভিডর তাহাজের উত্তম্বের বেশ ভাব হইছা গেল। ছোটখাট কয়েকটি কথাও হইল। সিদ্ধেশ্বর জানিতে পারিল, ছেলেটির নাম ৰিং, বাপের নাম মাণিক । নাম গুনিয়া সে • হঠাৎ চমকিয়া উঠিল। এ্যা, তাহার ছেলে মাণিৰ ! সেই ছয় মাসের শিশু মাণিককে সে লোলাপিলির হাতে তুলিয়া দিয়াছিল, তাহার ছেলে হইয়াছে । বহুদিনের স্বপ্ত পিতৃক্ষেপ্ত তাহার অস্তরে জাগিয়া উঠিল। আছা, ন-জানি তাহাৰ মাণিকে কি রকম চেহারা হইয়াছে। সে বলিঙ্গ-চw খোক, তোমায় তোমাদের বাড়িতে পৌছিয়ে দিয়ে গালি।" बिल श्%ा९ ७३ क५ खनिम्न छरा कॅनिश फेंटैिण } কিছুদিন আগেকার একটি ঘটনা তাহার মনে পড়িয়া গেল। ভাহাঙ্গের পাশের বাড়ির হারাণ একদিন স্থপুরে মাঠের ধারে বসিয়াছিল। কোথাকার একটি অচেনা অদ্ভূত চেহারার লোক নাকি তাহার কাছে আসিয়া অনেকক্ষণ গল্প করিয়া শেষটায় কোথায় যে তাহাকে লইয়া গেল, কেহই জানিতে পারিল না। তার পরদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাহাকে পাওয়া যায়। সেইদিনই সে মাস্থের কাছে শুনিছে, ইহার নাকি ছেলেধর, ছোট ছোট ছেলেৰে একলা পাইলে ধরিয়া লইয়া যায়। বিশু আর থাকিতে পারিল না। ভয়ে কঁাপিতে কঁাপিতে একদৌড়ে একেবারে বাড়িতে আলিয়া চুকিল । সিদ্ধেশ্বর বিস্মিত হইয় তাহার পানে তাৰাইম্বা রহিল। শেষে একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলিক্সা বিশুর বাণীটি ফুড়াইয়া লইয়। ধীরে ধীরে মাণিকের বাড়ির আঙিনায়ু আলিৱা দাড়াইল । মাণিক ঘরের দাওয়ায় বসিয়া জাল বুনিতেছিল। সন্দ্রেহপূর্ণ - দৃষ্টতে সে আগন্তকের দিৰে চাহিল। সিদ্ধেশ্বর জবাক হইয়া চারিদিকে তাকাইতে লাগিল । একটি মেয়ে ঘর লেপিড়েছিল, সিদ্ধেশ্বরকে দেখিবামাজ সে মাটি-মাখা হাতে ঘোমটাখানা মুখের উপর টানিয়া দিল। এইটি তাহার পুত্রবধু হইবে নিশ্চয়ই। সোনাপিলির লড়াশৰ