পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سويډهيډهي٠ ફ્રકારઃ ઇંr —l ఏ38> (lens) অনুকরণে, টেলিফোন হ’ল কানের সরু পাণ্ডল চামুড়ার (diaphragm ) অনুকরণে এবং এরোপ্লেনের ধে ওড়ার শক্তি-সে পেল ঐ পার্থীর ওড়ার মধ্য থেকে। ঠিক তেমনি করে সম্ভব হয়ে ধাড়িয়েছে আজ টেলিভিশন, মাহবের চোখের পর্দার (retina) অনুকরণ করে। এটাকে সম্পূর্ণ করে তুলতে অব দরকার হয়েছে ফেটো-টেলিগ্ৰাফী ফোনটা মূখের কাছে তুলে ধরে কথা বলতে থাকি তখন আমাদের মুখের কথা থেকে শব্দের ঢেউন্থের (sound waves) স্বষ্টি হয় এই ঈথারে। সেই ঢেউ গিয়ে লাগে একটা পাতলা ষ্টীলের গোল চাকৃতিতে যার তলায় আছে অসংখ্য ছোট ছোট কারবনের গুড়ে আরও একটা ঐ রকম পাতলা চাকৃতির ওপর। তার ফলে কি হয়। সেগুলো নাচতে স্বল্প করে দে– কোনটা জোরে কোনটা বা আস্তে। জোর অবগু নির্ভর করছে আমাদের শব্দের মাত্র উচ্চারণের ওপর । তাতে ক'রে ওর ধে প্রতিবন্ধকতা ( resistance), সেটকে বাড়ায় বা কমায়, স্বতরাং ওর বৈদ্যুতিক প্রবাহটাও সেই অনুপাতে কমে বা বাড়ে। শঙ্কট বেশী দূরে পাঠানে অসম্ভব বলে তাই শব্দের ঢেউ থেকে স্বষ্টি হ’ল বৈদ্যুতিক প্রবাহের ( current)- যা অনেক দুর পর্যন্ত সহজেই পাঠানো যায়। এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, বিদ্যুৎপ্রবাহটা না হয় শেষ পর্যন্ত পাঠালুম, কিন্তু তার থেকে আবার শব্বই বা হবে কি ক’রে ? তার উত্তরে বলা যেতে পারে যে, এই ধে প্রবাহ এটা তো তারের ভিতর দিয়ে এবং টেলিফোনের। এই জিন মিলে গড়ে উঠেছে আধুনিক চলুলা চলতে চলতে গিয়ে পড়ল সেইখানে যেখানটায় আমরা কান - টেলিভিসন। ওট স্পষ্ট করে জানতে হলে ঐ তিনটে বিশেষ করে জান চাই। টেলিফেনটা কি এবং কেক্ষ করেই বা তার থেকে ৯৭ বের হয় তাই আমাদের প্রথম জানা দরকার। আমরা যখন দিয়ে শুনি। তার মধ্যে আছে কেবল দুটো ছোট লম্ব অথচ গোল নরম লোহার গায়ে জড়ানো খুব সরু নীল তার। ভর ইংরেজী নাম ইলেকট্রো-ম্যাগনেট (যদি কোন বিদ্যুৎ-প্রবাহ এর ভিতর দিয়ে যেতে দেওয়া হয় তবে সেই সময়টুকুর জন্য এটি হয়ে যাবে চুম্বক অর্থাৎ আকর্ষণ করার গুণ পাবে)। তারই ঠিক গানে আছে একটা ষ্টীলের পাতলা গোল চাকৃতি বিদ্যুৎ মাণ্ডস্থার ফলে ঐ পাতটা কাপতে স্বরু করে দেয় আস্তে ও জোরে এবং তারই থেকে আবার স্বষ্টি হয় শব্দের। তখনই আমরা শুনতে পাই। পাশের ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন শব্দের ঢেউ কার্বনের উপর গড়ে কেমন করে প্রবাহের বেশী-কম করছে আর সেই প্রবাহু গ্রাহক-যন্ত্রে পড়ে চাকতিটাকে কঁাপিয়ে কেমন করে আবার শব্দের উৎপত্তি করছে । এ ত গেল টেলিফোনের ব্যাপার পাশেই বে ছবিটা