পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠার কারণ আর কিছুই নয়। আষাঢ় দিলুম তার থেকে বুঝতে পারবেন ষে টেলিভিসনট অনেকটা টেলিফোনেরই মত। একটু তফাৎ হচ্ছে এই যে, ওটার বেলায় শব্দের থেকে বিদ্যুৎ-প্রবাহের স্বষ্টি হয়েছিল, এবার কিন্তু আলোর থেকে বিদ্যুৎ-প্রবাহ করা হচ্ছে। শব্দের থেকে বিদ্যুং-প্রবাহ যত সহজে হয়েছিল আলোর থেকে তত সহজে হয়নি । কি ক’রে অল্প আলোর থেকেও বিদ্যুৎপ্রবাহ করা যায় তাই হয়ে দাড়িয়েছিল এক সমস্কার বিষয়। এই প্রশ্নের মীমাংসা হ’ল কিন্তু এক অদ্ভূত উপায়ে। বৈদ্যুতিক প্রতিবন্ধকশ্বরূপ আমরা সাধারণতঃ তামার তার ব্যবহার ক’রে থাকি । অনেক আগে কিন্তু সেলেনিয়মের তার ব্যবহার করা হত। এই তারের বিশেষত্ব হচ্ছে যে, অন্ধকারে এর প্রতিবন্ধকতার ক্ষমতা প্রবল থাকে, কিন্তু আলোতে আনলে তার শক্তির হ্রাস হয় । আয়লণ্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ভ্যালেণ্টিন্থ নামে এক গ্রামে আটলাণ্টিক কেবল (cable) ষ্টেশনে এর প্রথম ব্যবহার দেখা যায়। এমনি করে কড় দিন কেটে গেল। তারপর ১৮৭১ সালের এক রৌপ্রদীপ্ত দিনে সেই ষ্টেশন-পরিচালক ধে সাহেব হঠাৎ দেখলেন যে, সেলেনিয়ম তারের সঙ্গে যোগ আছে ধে যন্ত্রের স্বচটর-পেই স্বচটি কখনও বা বিক্ষিপ্ত হচ্ছে আবার কখনও বা স্থির থাকৃছে। প্রথমে এর কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ তিনি খুঁজে পেলেন না। ভাবলেন, হয়ত বা যন্ত্রপাতি নড়ার জন্য ওটা নড়ছে। কিন্তু তাতে বড় লাড় হ’ল না। সুচটি আগের মতই ক্রমাগত ল’ড়ে বা থেমেই চলল। অনেক খোজের পর তিনি দেখলেন ধে কাচের জানলার ভেতর দিয়ে স্থধ্যের আলো ওর ওপর এসে যখনই পড়ছে তখনই সেই যন্ত্রের স্বচটি বিক্ষিপ্ত হচ্ছে। তবুও কিন্তু তার মন থেকে সন্দেহ গেল না। রাত্রের অন্ধকারে স্বচটি ঠিক কোথায় আছে দেখলেন। তারপর হঠাৎ আলো জালুতেই দেখলেন যে, সেটা বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠল। এই - ওর প্রতিবন্ধকতার শক্তি ধেই কমে গেল, বৈদ্যুতিক প্রবাহ বেশী করে হল ওর মধে, তাই ওটা চঞ্চল হয়ে ফুল। এই খবরটা যখন বৈজ্ঞানিক সমাজে প্রচার হয়ে গেল তখন সবাই এই ভেবে তৃপ্ত হয়েছিল যে, এইবার ত আলোর থেকে বিদ্যুৎ টেলিভিসন ·ළුණෑ. প্রবাহ করা যাবে। বাগুধিকণ্ড হ’ল তাই। এর কয়েক বছর পরে উইলোৰি স্মিথ নামে একজন ইউরোপীয় সেলেনিয়ম "সেল” তৈরি করলেন, বা দিয়ে আলোর থেকে বিদ্যুৎ-প্রবাহ হ’ল। বৈদ্যুতিক কান পেয়ে অর্থাৎ টেলিফোন ('ಡ್ পৃথিবীর লোকে যেন সৰষ্ট হয়েছিল, গেলি বৈদ্যুতিক চোখ (টেলিভিসন) পেয়েও সারা জগতে তেমনি অভিনব আনন্দের সাড়া পড়ে গিয়েছিল। টেলিভিশনের জন্মের স্বচনা আমরা এই ঘটনার মধ্যে পাই। -কেমন क'८ग्न जांzनाग्न ८थtक बिछ्र-थदारश्ब्र श* श्ण पठ জানতে গেলে আগে আমাদের বুঝতে হবে বেশ করে আমাদেরই চোখের পর্দার্ট । এই તજજ્ઞ હે ના ૩ ছ-কোণা অসংখ্য "সেল” দিয়ে তৈরি। আর এর প্রজেক সেলটার সঙ্গে অসংখ্য নার্ড ফিলামেন্ট দিয়ে আমাদের মস্তিষ্কের যোগ আছে। যে-কোন জিনিষই আমরা দেখি না কেন তার ওপর সঙ্কল জায়গায় সমানভাবে আলো পড়ে না। কোথাও বেশী আলে, কোথাও থা কম আলো। এই যে আলোছায়ার খেলা—এর প্রতিচ্ছবি আমাদের চোখের পর্দাতে পড়ে লেন্সের ভেতর দিয়ে গিয়ে, উন্টে হয়ে । । আগেই বলেছি সেই পর্দার তলা আছে লা ও ছকোণ সেল। এই সেল-এর ভেতর আছে "ক্তিস্থাল পারগণ (visual purple) aka ow own won পার্থ টাে এই আলোককে বিদ্যুৎপ্রবাহে পরিবর্তিত করে দেয় একই অনুপাতে অর্থাৎ যেবে জায়গায় কম আলো পড়েছে তার থেকে কম প্রবাহের স্বষ্টি হয়, আর ঘেষে জায়গায় বেশী আলো পড়েছে তার থেকে বেশী প্রবাহের স্বটি হয়। তারপর এই বিদ্যুৎ-প্রবাহ চলতে থাকে ফিলামেন্টের ভেতর দিয়ে এবং শেষে হাজির হয় গিয়ে মস্তিষ্ক অনার বুঝতে পারি কি দেখছি। এই সেলেনিয়ম সেলগুলোও ঠিক এমনিভাবে তৈরি । তাই আলোর অনুযায়ী তড়িৎপ্রবাহের শ্বষ্টি হয়। কিন্তু এই যন্ত্রের কতকগুলো দোষ আছে, তাই আর আজকাল বড়-একটা ওর ব্যবহার দেখা যায় না। তার পরিবর্তে আলো-বিদ্যুৎ-পরিবর্তক ঘন্ত্র , Phot০-electric cell) ব্যবহার করা হয়। আলোর থেকে যে বিদ্যুৎপ্রবাহট পাওয়া গেল, প্রেরক যন্ত্র ( transmitter ) থেকে বেতারের - ঢেউখের সঙ্গে সেটা চতুৰ্দ্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং শেষৰালে - o