পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ,8Հ "ੇ পাঠাবার সময় একই জিনিষের তিন-রঙের ছবি পাওয়া যাবে। সেই পাঠাবার হারটা বদি আমরা বাড়িয়ে দিই, অর্থাৎ প্রতি সেকেণ্ডে বদি আমরা কুড়ি-বাইশটা ছবি পাঠাতে থাকি, তবে গ্রাহকযন্ত্রেও আমরা সেই কুড়ি-বাইশট ছবিই পাব। এই তাড়াতাড়ি পাঠানোর জন্য ঐ তিন রং থেকে বাকি, রংগুলো হয়ে যাবে, কারণ এই তিনটেই আসল রং, যাদের পরস্পরের সংমিশ্রণে তৈরি হয় বাকী আর চারটে রং । তাই পদ্ধার ওপর ধে ছবি পড়ে তা স্বাভাবিক রঙে রঞ্জন হয়ে স্বন্দর হয়ে দেখা দেয়। এরই সংস্কার করতে করতে টেলিভিসন আজ কোথায় এসে দাড়িয়েছে দেখুন । মামুষের আশার আর শেষ নেই। যত পাততই সে উন্মুখ হয়ে, বাথ হয়ে দুটি হাত বাড়িয়ে মারও চায়। এই ছবির সঙ্গে বাকশক্তি যোজন করা যায় কি-না তাই হয়ে ধাড়িয়েছিল এক আন্দোলনের বিষয়। অনেক চেষ্টার পর তা’ও সম্ভব হয়েছে। গ্রাহকযন্ত্রের পর্দার ওপর ছবি না ফেলে—তা কেলা হয় ফিল্মের ওপর। ছবির তলায় খানিকট করে জায়গা থাকে যেখানে শস্ব বা কথাবাৰ্ত্তার দরুণ দাগ ওঠে। এই ফিল্ম দেখানোর সময় ছবি ও শব্দ একই সঙ্গে বের হয় । এই ফুন্ত্রের নাম 'টেলি-টকি ? ষে-কোন একটা জিনিৰ এৰ তার ফোটে। যদি পাশাপাশি রাখা ঘাম তবে তাদের মধ্যে পার্থক্যটা সবার চোখেই পড়ে । ফোটােটা মনে হবে নেহাতই চেপ্ট ও অগভীর, কিন্তু জিনিযট ধে গভীর বলে মনে হবে, সে-বিষয়ে কোন সন্দেহই নেই। তার কারণ আমরা বাচোখ দিয়ে যতটুকু দেখি, ডান-চোখ দিয়ে ঠিক ততটুকু দেখি ন}–একটু তফাৎ হয়-ই। এই যে তফাৎ তার ফলে গভীরতার ছাপ জেগে ওঠে আমাদের মনে । ষ্টিরিয়োস্কোপ নামে এক যন্ত্রে ঐ রকম খাবস্থাই করা হয়। তাই তার নাম ষ্টিরিম্বোস্কোপিক টেলিভিসন। একটা বাক্সের ভিতর ছুটে ক্যামেরা আঁট থাকে। তাই থেকে একই সময়ে একটা জিনিথের ছুটে ছবি ওঠে। ক্যামেরার লেন্স ছুটে আমাদের চোখের সমান দূরত্বে রাখা হয় ( অর্থাৎ ২৫ ইঞ্চি)। তারপর এই ছবি ছুটে পাশাপাশি কাগজের গাম্ব লাগিয়ে দিয়ে আড়াই ইঞ্চি তফাৎ দুটো লেন্সের ভেতর দিয়ে দেখা হয় । তার ওপর ছবি দুটো যদি রঙীন করা হয় তা হলে ত কথাই নেই। বেয়ার্ড সাহেব৪ ঠিক তাই করলেন । তিনি একটা গোল চাকৃতি নিলেন। তার ধারের দিকে একসারি গঞ্জ এবং সেগুলো থেকে কেন্দ্রের দিকে ২২ ইঞ্চি দূরে আরও এক সারি গওঁ। এই চাকৃত্তিটাকে জোরে ঘোরানো হুম্ব । ওর এক পাশে আছে দুটে আলে। তার থেকে আলো ঐ ঘু-সারি গর্তের ভেতর দিয়ে গিয়ে পড়ে সেই জিনিষের গাম্ব ধার ছবি পাঠানো হয়। সেই অালো সেলের ওপর পড়ে যে প্রবাহ স্বষ্টি করে তাই পাঠানো হয় চতুর্দিকে। এই বিদ্যুং-প্রবাহ আবার গ্রাহকযন্ত্রে ধরে তার ছবি পাণ্ডস্থা যায়। বেয়াড় সাহেব কিন্তু শুধু এই করেই গাপ হলেন না। তিনি এর থেকে তৈরি করলেন এক যন্ত্র বা দিয়ে খুব ঘন অন্ধকার বা কুয়াশার মধ্যেও বেশ স্পষ্ট দেখা যায়, অর্থাৎ অন্ধকারের মধ্যে লুকিয়ে আছে এমন জিনিষ বা লোকের ছবি উঠে যাবে এই দিয়ে। গত মহাসমরের সময় এটা অনেক কাজে ఎంు | লেগেছিল । কোথায় কোথায় রাত্রের অন্ধকারে গা-ঢাক - দিয়ে আছে শত্ৰু-সৈন্য তার ঠিকান মিলেছিল এরই সাহাধে। এ ঘগ্গট টেলিভিশন যন্থের মতই, কেবল বা এতে বলবের বদল অদৃশ্য 3f ( invisible rays) sjąera *ai za I প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক নিউটনের নাম আপনারা সবাই শুনেছেন। স্থধ্যের পাদ আলো ম্বে সাতটা রং দিমে তৈরি তা তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন। বেগুনী, খন নীল, সীল, সবুজ, হলদে, কমলা ও লাল এই সাতটি রং দিয়ে হয়েছে শাদ আলোর স্বষ্টি । এর দু-দিকে আলো ক্রমে ক্রমে ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর হয়ে অদৃপ্ত হয়ে গেছে, তাই তাদের নাম অদৃশ্ব রশ্মি। তলার দিকটার নাম 'অস্ট্রভাম্বলেট বা অতি বেগুনিরা, আর অপরটার নাম ইনফ্রা-রেড রে' বা উন-রক্ত। এই যন্ত্রে বেষ্কার্ড সাহেব ঐ ইনফ্রারেড রে ব্যবহার করেছেন। টেলিভিসনের বে প্রেরক ও গ্রাহক যন্ত্র আছে সেই দুটো একই সঙ্গে লাগানে থাকে ; কেবলমাত্র গ্রাহকযন্ত্রের বলবের বদলে এই ইনফ্রা-রেড, শ্যাম্প বসানে থাকে। অন্ধকার বলতে সাধারণতঃ আমরা বুঝি আলোর অভাব। সতি কিন্তু আলোর অভাব আমাদের একেবারেই হয় না। দিনের বেলায় বাইরে থেকে একট দরজা-জানাল বন্ধ অন্ধকার ঘরের ভেতর ঢুকলেই কিছুক্ষণের জন্য আর আমর