পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| vෂඳ8 5প্রবাসী38 না করিলেও ইঙ্গাদের স্বারাই যে শরীরের সর্থবিধ প্রাণক্রিয়া সম্পন্ন হইখা থাকে তাহা বলিয়াছেন। চরক বলেন যে গর্তের আরম্ভ হইতে বায়ু পিত্ত কফ ও মল ওtহার সত্যটন কার্ঘ্যে ব্যাপৃত থাকে এবং ইহাদের প্রত্যেকের শক্তিপ্রকাশের নৃনাধিকাবশতঃ কেইবা পিত্তল কেহ বা বতল কেহ বা শ্লেষ্মল হইয়া থাকে। এই দোষ-প্রকৃতি আর ধাতুবৈষম্যজনিত দোষবুদ্ধি একবস্তু নহে, দোষবৃদ্ধি রোগের কারণ হইলেও দোষপ্রকৃতি রোগের কারণ নহে। একটি প্রাকৃতিক, অপরটি আগন্ধক। কিন্তু বায়ু পিত্ত কফের স্বরূপ কি, বায়ু পিত্ত কফ কি বিবিধ উপদ্রধের একটি সমষ্টাত্মক নাম, না বায়ু পিত্ত কফ নামক কোনও বস্তু আছে ? চরক প্রভৃতি গ্রন্থের কোনও কোনও স্থান দেখিলে মনে হয় যে বায়ু পিত্ত কফ কেবলমাত্র কতকগুলি বিকারের সমষ্টিভূত নাম মাত্র । কিন্তু এমন স্থল আছে যেখানে বায়ু পিত্ত কফকে মূর্ত বস্তু বলিয়া মনে করা যায়। মহামহোপাধ্যাম্বু গণনাথ সেন মহাশয় তাহার সিদ্ধান্তনিদানে স্থল ও স্বশ্ন রূপে ইহাদের বিভাগ করিয়াছেন। কিন্তু শাস্ত্রে এইরূপ বিভাগ পরিদৃষ্ট হয় না এবং চিকিৎসায় ইহার যে কোনও উপযোগিতা আছে তাহা মনে হয় না। কোনও দোষ প্ৰকুপিত্ত হইল বলিলে, সেই দোষের সকল গুণই যে প্রকুপিত হইল ইহা বুঝায় না। কোন দোষের কোন গুণ যে কি পরিমাণে বিকৃতি প্রাপ্ত হইল, অংশংশবিকল্পের দ্বারা তাঙ্গর নির্ণয় করা স্ববৈদ্যের কার্য। ইহা হইতে এইরূপ মনে করা যাইজে পারে, যে, দোযগুলি শরীরজ কোনও প্রকারের আম্রাব, এবং এই প্রত্যেক আম্রাবের মধ্যে নানাজাতীয় পদার্থ সঞ্চমের নানাজাতীয় গুণ থাকতে কোনও গুণের প্রকোপপ্রযুক্ত বিশিষ্ট ব্যাধির উৎপত্তি হইতে পারে। এই বায়ু পিত্ত কফের ক্রীড়া মানুষের পূর্বঞ্জন্মার্জিত কৰ্ম্মের উপর নির্ভর করে এবং শরীর ও মন উভয়কে বিকৃত করিয়া তুলিতে পারে। চরকের মতে শরীর ও মন উভয় লইয়াই জীব । “পত্নীরমপি সত্ত্বমসুবিধীয়তে সৰঞ্চ শারীরস্থ।” —মশর উপর শী ও শীরের উপর মন নির্ভর করে। সেই হেতু বায়ু পিত্ত কফের জন্য কেবল ধে শারীর কার্ঘ্য চলে তাহা নহে, ইহাঙ্গের দ্বার) মানস কাৰ্য্যও নিম্পন্ন হুইম্বা থাকে। বর্তমান যুগের প্রাণতত্ত্ববিদের শরীর সম্বন্ধে ধে সমস্ত আলোচনা ఎ98S করিয়াছেন, তাহাতে র্তাহারা দেখাইয়াছেন যে শরীরের মধ্যে সৰ্ব্বদা নানাপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হইতেছে এবং আমরা শরীর বলিতে যাহা বুঝি তাঙ্গ কতকগুলি কোষসমষ্টি মাত্র। প্রত্যেক শারীর-বিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোননা কোনও কোষের ধ্বংস হইতেছে এবং কোন-না-কোনও কোষের উৎপত্তি হইতেছে এবং নিরস্তর এই ধ্বংস ও স্বষ্টির লীলা হইতেই সদাসৰ্ব্বদা শরীরের মধ্যে নানারূপ রাসায়নিক উৎপত্তি হইতেছে। কিন্তু জীবন বলিয়া পদার্থটি কি তাহা কেটে নির্ণয় করিতে পারেন নাই। কেহ বলেন জীবশক্তি একট স্বতন্ত্ৰ শক্তি, কেহ বলেন ইহা সমগ্রের একটা মিলিত শক্তি, কেহব বলেন ইত্য তড়িৎশক্তির অনুরূপ একটি শক্তি। কিন্তু সমস্ত শরীর যে-জীবশক্তির দ্বারা উৎপন্ন, তাহার স্বরূপ সম্বন্ধে এখন পৰ্য্যন্ত বৈজ্ঞানিকদিগের কোনরূপ নিশ্চয়জ্ঞান নাই। কবিরাজের ইহাই বলিবেন যে এ-অবস্থায় জীবশক্তিকে একশক্তি না বলিয়া বায়ু পিত্ত কফাত্মক শক্তিরিতদের দ্বারা জীবশক্তির প্রকাশ হয় এবং তাহদের বৈষমো রোগ উৎপন্ন হয় ইং স্বীকার করিলে অবৈজ্ঞানিকত হয় । যে-উপায়ে সমগ্র জীবসমাজ পশু পক্ষী তরু গুল্মলতা প্রভৃতি উৎপন্ন হইয়াছে, বৰ্দ্ধিত হইতেছে ও সংহারপ্রাপ্ত হইতেছে, সেই উপায়েই মানুষও উৎপন্ন, বৰ্দ্ধিত ও সংহারপ্রাপ্ত হয়— “পুরুসোহর; লোকমতি:’ —মমুগ্ধদেহ সমস্ত বিশ্বব্যাপারের একটি প্রতিচ্ছবিমাত্র । সমস্ত বিশ্বের যা নিয়ম, মলুখের মধ্যেও ঠিক-ঠিক সেই নিয়মগুলিই কাজ করিতেছে। আধুনিক কালে শরীরের উপর ঔষধের রাসায়নিক ক্রিয় সম্বন্ধে নানাবিধ বিস্তৃড় আলোচনা ও নানা শাস্ত্র রচিত হইয়াছে। কিন্তু প্রাচীনকালে ঔষধের বায়ু পিত্ত্ব । কঞ্চ প্রভৃতি প্রশমনের গুণ বিচার করিতে হইলে প্রধানত: দেখা হইত যে তাহাতে কটু তিক্ত কথা অম্ন লবণ মধুর এই ছ। রসের কোন রস আছে। ঔষধের । শক্তির পরিচয় তাহার রসের পরিচয় দ্বারা পাওয়া যায় | বলিয়া তাহারা মনে করিতেন। স্বাছ অক্স লবণ রসের দ্বার। বায়ু প্রশমিত হয়, তেমনি কাম স্বাদু তিক্ত দ্বারা পিত্ত এক কথা কটু তিক্ত দ্বারা কফ নির্জিত হয়। কটু তিক্ত কৰা দ্বারা বায়ু উৎপন্ন হয় আর কটু এম ও লবণের দ্বার পিত্ত উৎপন্ন এবং স্বাছ আম লবণদ্বারা কফ উৎপন্ন হয়। ভিকেরা