পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o আষাঢ় একাদশ শতালী হইতে তান্ত্রিক যুগের ধাতুঘটিত নানাবিধ ঔষধের ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে রদবীধাবিপাক স্বারা বায়ুপিত্ত কফের চিকিৎস। গৌণীভূত হইয় বস্তুপ্রভাব বলে বিভিন্ন ধাতুঘটিত ঔষুধগুলি বিভিন্ন রোগের বা বিভিন্ন রোগ-লক্ষণের উপশমক বলিয়া ব্যবহৃত হইতে লাগিল। বর্তমান কালের আয়ুৰ্ব্বেদীয় চিকিৎসালমের মধ্যে একদিকে যেমন বায়ুপিত্ত কফের চিকিৎস দেখা যায়, অপর দিকে তেমনি ধৌগিক পদার্থের প্রভাবগুণে রোগচিকিৎসার ব্যবস্থা দেখা যায়। এই জন্য মনে হয় যে একাদশ শতাব্দী হইতে চিকিৎসা-রাজ্যে একটা বিরাট পরিবর্তন আরম্ভ হয়। নাড়ী মেথিস্থা রোগ-নির্ণয়ের ব্যবস্থাও আমরা প্রাচীন চরক সুশ্ৰুতাদিতে পাই না। ইহাও সম্ভবতঃ এই পরবর্তী অস্ত্রিক যুগে আবির্ভূত হয়। তান্ত্রিকের নাড়ীবিজ্ঞানে অসাধারণ ব্যুৎপন্ন ছিলেন এবং নানাবিধ নাড়ীচক্রের সংশোধন দ্বারা তাহারা পরমার্থসাধনে ব্যাপৃত ছিলেন । সেই জন্য র্তাহাজের গ্রন্থে নাড়ীচক্র-সম্বন্ধে নানা নৃতন তত্ব দেখিতে পাওয়া যায় । সেগুলির সহিত প্রাচীন চরক স্বশ্ৰতাদির নাড়ীবিজ্ঞান যে সকল সময়ে মেলে একথা বলা ধায় না। ইহা ছাড়া যৌগিক উপায়ে রোগ আরোগা করিবার এই প্রথ যে পরবর্তী কালে কোন এক সময়ে প্রচলিত হইয়াছিল তাহার বহু নিদর্শন আছে। অতি প্রাচীনকাল যুক্তি ●¢ጳ হুইতেই হঠধোগাম্বিারা ও নেতি ধোঁড়ি, বন্তি ও শাসন প্রাণাঘামাদি দ্বারা রোগ আয়োগ্য হইতে পারে ইহা প্রমাণিত হইয়াছিল। সম্বোহন-বিদ্যাও (Hypnotism) wo দেশে মহাভারতেরও পূর্বকাল হইতে প্রচলিত ছিল এবং ইহাস্বারাও যে রোগ জারোগ্য হইতে পারে তাহাও লোকের জানা ছিল। যোগানন্দ্রনাথ কৃত ভাষা সহিত শায়ুৰ্ব্বেদের স্বত্র পড়িলে দেখা যায় ধে প্রাচীন যোগশাস্ত্রের সহিত আয়ুৰ্ব্বেদের বায়ু পিৰ কঙ্কারি রোগকারণত প্ৰৰিত করিম যোগের স্বারা বাস্থ পিণ্ড কঙ্কারি প্রশমনে একটা নৃত্তন আয়ুৰ্ব্বেদের ধার প্রবর্তিত হইবার চেষ্টা হুইয়াছিল। বীরসিংহাবলোকন গ্রন্থ পড়িলে দেখা যায় যে জ্যোতিঃশাস্ত্রের সহিত অম্বিত করিয়৷ আয়ুৰ্ব্বেদ-চিকিৎসার আর একটি নুতন দ্বার প্রবপ্তিপ্ত হইছিল। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে আয়ুৰ্ব্বেম্বের শল্যশাস্ত্র বুদ্ধের পরবর্তী কাল হইতেই ক্রমশঃ মীভূত হইয়া খৃষ্টীম্ব ৮ম ৯ধ শতাব্দীতে প্রায় নিঃশেষ হইয় আলিমাছিল। হয়ত সাধারণ লোকের মধ্যে বা বৈদ্য-বিশেষের মধ্যে বা নাপিতদের মধ্যে ইহার কিছু কিছু প্রচলন ছিল । কিন্তু তাহারা কেন্দ্রই শাস্ত্রপদীতে আরোহণ করিতে পারে নাই । এই প্রসঙ্গে চাদপীর চিকিৎসকদিগের চিকিৎসাপ্রণালীর কথাও উল্লেখযোগ্য ৷ -= মুক্তি ঐআশালতা দেবী Se যুখন হুইজে নিৰ্ম্মলার বিবাহ ঠিক হইয়াছে, চন্দ্রকান্ত আগাগোড়া কেমন আচ্ছল্পের মত ছিলেন । এই ধে ব্যাপারটা এত তাড়াতাড়ি অনিবার্ধ্যরূপে খাটয়া যাইতেছে, ইহা যেন সমকৃরূপে ধারণা কঃ তাহার ক্ষমতার বাহিরে । একদিন বিকালবেলাকার স্নিগ্ধ আলোক্ষ নিৰ্ম্মলার মাথায় হাত রাথিয় তিনি কহিলেন, “নিৰ্ম্মল, মা, তোমার কিছু বলবার নেই তো ? মনে তো কোন সন্দেহ হচ্ছে না, যে, তোমার জীবনে এই যে একটা প্রকাও পরিবর্তন হ’তে চলেছে এতে তোমার কোন ক্ষতি হবে ?” নিৰ্ম্মলা একান্ত নিস্টরের ভাবে তাহার ক্ষনপঙ্কগ্নিগ্ধ চক্ষু দুইটি পিতার মুখের পানে তুলিয়া ধরিস্থ কহিল, “না বাৰ, আমার মনে কোন বিধা নেই। তুমি জামার জন্তে বা ক্ষয়ছ তাতে আমার ভালই হবে। এই আমার বিশ্বাস।” চন্দ্রকাস্তের ব্যাকুলত৷ ইহাতে বাড়িয়াই গেল। তাহাঙ্ক মনে হইতে লাগিল, বিধাতার চেয়েও বেশী দায়িত্ব কে যেন তাহার মাথার উপর ফেলিয়া দিয়াছে। নির্খলার সহিত তাহার সম্বন্ধ-ক্ষেত্রটি তিনি এমন ভাবে একলা ঘিরিয়া লইয়ছিলেন, যে, এতদিন সেখানে বিশ্বজগৎ প্রবেশপথ পায় নাই । আজ তাহার চিরদিনের সেই আশ্রয় হইতে জ্বলিত হুইস্কার দিন