পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిarty "প্রবাসী ; ఏ98S{ আসিয়াছে। তাহাঙ্ক এতদিনের সঙ্গী, তাহার ছাত্রী, তাহার প্রাণাধিককে তাহার জীবনের সবচেয়ে গভীরতম লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর করাইমা দিবার সমঃ আসিয়া পৌছিল । এত বড় সঙ্কটের মুহূর্ভে তিনি কি কারবেন, কে উহাকে পথ দেখাইবে । অজানা ভবিষ্যতের পথ চিরিয়া কেমন করিম একটা দিব্য আলোক উদ্ভাসিত হইয় উঠবে লাহাতে তিনি দেখিতে পাইমেন যে তাহার চিয়শ্নেহময়ী জীবনে কোনদিন কোন বেদনা, কোন মনঃক্ষোভ পাইখে না, ঙ্কোনও জটিলতার আবর্ষে পড়িয়া তাহার শাস্ত ললাটের নিৰ্ম্মল আলোটুকু মান হইছা যাইবে না। নিৰ্ম্মল যদি কোন রকম ভাবে নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কথা জানাইত, তাহা হইলেও তিনি যেন অনেকটা ছাড়া পাইতেন। এমন কি এখন ঠিক এই মুহূৰ্ত্তে তিনি কামনা করিতেছিলেন, স্বশীলাও ধর্মি মেয়ের বিবাহ লইম্বা ভূ-কথা বলিতেন, তাহা হইলে তিনি তাহার প্রতিও কৃতজ্ঞ হইতেন । মোটের উপর এই কথাটাই তাহার মনে জাগিতেছিল যে এই অনন্ত দায়িত্বের ভার একলা বহন করিতে আজ সত্যই তাহার ভয় হইতেছে। সকলে মিলিয়৷ নানা দিক হইতে ভাবিশ্ব-চিন্তিয়! আলোচনা করি। যদি সে-ভারটাকে কিঞ্চিং লঘু করিম ভি, ওবে তিনি বঁচিয়া ধাইতেন। কিন্তু কেহই কিছু বলিল না। স্বশীল মেয়ের বিষয়ে চিরকাল যেমন নিরপেক্ষ ছিলেন তেমনি রছিলেন এবং নির্ণল প্রশান্ত ধীরভাবে তাহার প্রতিদিনকার কাজগুলি করিয়া ধাইতে লাগিল। তাহার সেতার বাজানে, তাহার কলেজ যাওয়া, এমন কি রোজ সন্ধ্যার সময় তাহার বাবাকে উাগের কোন প্রিন্থ বই হইতে খানিকট ক্ষরিক্ষা পড়িম্বা শুনানে —সকল কাজই নিমমিত ভাবে হইয়। যাইতে লাগিল। এই যে আর কয়েক দিন পরেই তাঁহার বিবাহ হইতে চলিয়াছে, এত বড় ব্যাপারেও যেন তাহার অতল গষ্ঠীর স্থির মৌন যৌবনের উপর হইতে একটা পদ্ধ উঠিয়া যায় নাই। কোন আবেগ কোন চাঞ্চল্যের ঢেউ যেন সেখানে লাগে নাই। তাহার চিরদিনের গুহকে ছাড়িয়া যাইবার বেদন ছাপাইয়া কোনো আনন্দের ছায়া তাহার মনে যেন পড়ে নাই । সেদিন কলেজ যাইবার একটু আগে নিৰ্ম্মল বাহিরের ঘরে চুপ করিয়া বসিয়া ছিল, চন্দ্রনাথ চোখে চশমা টিম কি একটা বইয়ের উপর ঝু কিয়া পড়িয়াছিলেন। আজকাল কোন কাজ কোন প্রয়োজন না থাকিলেও নিৰ্ম্মল যতক্ষণ পারে তাহার বাবার কাছে থাকে। তাহার মন বলিতেছিল বাবার সঙ্গে এই যে একটা বিচ্ছেন তাহার ঘটিতে চলিয়াছে এ কেবল তার নিকট হইতে দূর দেশে চলিয়া যাইবার ব্যাপার নয়। পিতার সহিও এতদিন সে যেমন সকল কাজ ভাগ করিয়া লইড, তাহার সঙ্গে জ্ঞানের আলোচনাম যোগ দিত, তাহার হালি-তামাশার সঙ্গী হইম্বা ও উহার অন্যমনস্ক স্বভাবের সকল ত্রুটি সৰ্ব্বদা সংশোধন গুরিয়া চলিত, ইহার পর আর তেমন চলিবে না। এক কথায় তাহার জীবনের ছোটবড় সমস্ত কাঙ্ক এবং আশা-আকাঙ্ক্রর সহিত এতদিন সে নিজেকে ধে শত লক্ষ বন্ধনে জড়াইয়াছিল আজ সে-সকল হইতে নিজেকে ছাড়াষ্টয়া লইতে হুইধে। ইচ্ছা না থাকিলেও কোন নিষ্ঠর জীবনদেবতা তাহাকে যেন জোর করিয়া বিচ্ছিন্ন করিম লইবে । ঠিক এই সমস্ত কথাই অতিশয় স্পষ্ট করিম হয়ত সে বুঝিত না, কিন্তু এমনই ধরণের কোন তীব্র আহভূতি, এমনই আসন্ন কোন বিদায়ের নিষ্ঠর জাভাস তাহার মনকে ভারাক্রাস্ত করিম রাখিত। তাই আঞ্জকাল সে পিতার নিকট ধখন থাকে, কথা বলিতে বলিতে জন্যমনস্ক হইয়া যায়। মাঝে মাঝে কোন শক্ত বইয়ের কোন জায়গা বুঝিয়া লইতে লইতে তাহার মন সেখান হইতে কতই ন দুরে সরিষা যায় । চক্সকান্ত আত্মভোলা অন্যমনস্ক প্রকৃতির লোক হইলেণ্ড মেয়ের এই ভাবাস্তর তাহার চোখে পড়ে। অনুসময় হুইলে হুমুত পড়িত না, কিছু নিৰ্ম্মল যেমন পিতার সম্বন্ধে অত্যস্ত সচেতন হইম্বা আছে, তেমনি পিতারও মেয়ের সম্বন্ধে সমস্ত চেতন এবং হৃদয়-মন এমন করিয়া জাগ্রত ছইম্বা উঠিয়াছে যে তাহার সামান্য এতটুকু পরিবর্তনও চক্ষু এড়ায় না। তাহারও মন ভারী হইম উঠে, চক্ষের পাতায় একটু জলের আভাস দেখা দেয়। তিনি সে-সমর্মট भूथ cउाप्णन न. भूक्ष नाभाहेब्र थोरक्न । झ-छप्ने श्र-छप्नत्र কাছে নানা ছলে আগের চেয়ে অনেক বেশী সময় থাকেন, কিন্তু কধা থামিম্বা গিয়াছে। দু-জনেই পরস্পরের কাছে হৃদয়ভার লুকাইতে ব্যস্ত। সেদিন বেলা দশটার সময় চন্দ্রকান্ত চোখে চশমা দিয়া একটা বই পড়িবার ভাণ করিয়া বখন মুখ নীচু করিয়া বসিয়াছিলেন আর নিৰ্ম্মলা বিন কারণে আঁচলের পাড় হইতে অনর্থক স্বত টানিয়া টানিয়া বার করিতেছিল, সেই সময়ে