পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి$్చు “কেন তোমার কি মনে হয় এতে ভাল হবে না ?” চন্দ্রকান্ত ব্যাকুল হুইয়া প্রশ্ন করিলেন । "ভাগমনের কথা ভগবান জানেন । আমি আগে থেকে তার কি বলব ? কিন্তু ধামিনীর সঙ্গে বিয়ের ঠিক হওয়া অবধি আমি অনেক কথা ভাবছি । এই যে সেদিন খামিনীর বৌদি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ওঁর কাছে ভিতরের কথা সব শুনলুম । শুনে অবধি ভাবছি। ভাবনার কোণই কারণ ঘটত না । কিন্তু তুমি যে আমার নির্শ্বলাকে সাধারণ মেয়ের মত ক’রে মানুষ করতে মিলে না। মেই জন্মেই জারও জুবিন । যামিনীর পীচ ভাই। বাড়িতে মা আছে, বাব আছে, বোনের বৌদির আছে । ছিন্ন বাড়ি, পাল-পাৰ্ব্বণ, পাড়-প্রতিবেশী -এ সবই আছে । সে কি এরই মাঝে নিজের জামুগা করে নিতে পারবে না এসবের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে?" চন্দ্ৰকান্ত উত্তরে কি বলিবেন ভাবিয়া না পাই। অবশেষে কহিলেন, “ম, ন, তুমি দেখে নিও নিৰ্ম্মলা সবাইকে স্বর্থী করবে। ওর মত লক্ষ্মী শাস্ত মেয়ে ক’জন আছে ?” মুশীলা বলিলেন, "লক্ষ্মী শাস্ত মেয়ের তো কথা হচ্ছে না। ও ম্বে গায়ে পড়ে কোদল করবে, স্বাৰ্থপরতা করবে, এমন কথা কখনও আমি বলিনি। জানি, নিৰ্ম্মল ভা কোনদিনই পারবে না । কিন্তু ওকে তুমি কেনন করে মানুষ করেছ সেই কথাটা নিজের মনে একবার ভাব দেখি ! আজি আঠারে। বছর বয়স পৰ্য্যস্ত খালি ডাকে বঙ্গ পড়তে শিথিল্লেছ আর তোমাদের নিজেদের সমবয়সীদের মধ্যে ফুট তর্কাতর্কি গুলিছে। বইপড়া ছাড়াও যে একটা লোকালয় আছে, সেখানকার ভাল-মন্দ, অভাব-অভিযোগ, চাওয়পাওয়া আছে , তার কোন খবরই সে আজও জলবার জুযোগ পেলে না । তাই আমি ভাবছি আঠারো বছর বয়স পৰ্য্যস্ত যে নিজের মধ্যে নিজে আবদ্ধ হয়ে বইয়ের ভিতর ডুবে কাটালে আজই সে হঠাৎ কি করে অনেক লোকের ভাল-লাগা মন্দ লাগ, অনেক লোকের স্বর্থদুঃখের মাঝে নিজেকে মানিম্বে লেবে ?" চক্সকান্ত বিহালের মত শুনিতেছিলেন। কোন কথাই তাহার মুখে আসিতেছিঙ্গ না। কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া মুশীলা পুনশ্চ আপন মনেই ধেন বলিতে লাগিলেন, “কিন্তু তার জন্যে ওকেই ব৷ আমি দোষ দিই কি করে । এ যে তোমারই দোষ। বাড়িতে ষপন রোগ তখন অস্বশ্বের সেবা করবার অধিকার বাড়ির মেয়েকে তুমি পাওনি। বাইরে টেনে নিয়ে গিছে মোট মেটা কেতাব "প্রবাসী; t ఎని83 ঘেঁটে বুঝিমেচ স্থাঞ্জোর রোগের ব্যাখ্যা—কি থেকে কি হয়, কিসের কি লক্ষণ । ওর ছোটভাইরা যখন ইস্কুল-কলেজ থেকে ক্লাস্ত হয়ে মূখ শুকিম্বে বাড়ি এসেছে তখন তাদের দিকে ওকে ফিরে তাকাতে বাওনি, সৌধীন তর্ক শুনিমেছ। ওর মা যখন অহনিশি ভেবেছে সকলের মুখ-সুবিধা বজায় রেথে এত অল্প আয়ে কি ক’রে সংসার চালান যায়, তখন সেই ভাবনার এতটুকু আঁচ তুমি তোমার মেম্বের গায়ে লাগড়ে দাগুণি । মেয়ে তখন আসরে বসে সেন্তার বাজাচ্ছেন।" নিৰ্ম্মলার সম্বন্ধে স্থশীলার মাতৃহৃদয়ের একটি মৰ্ম্মাস্তিক অভিমান ছিল। স্বীপকে একেবারে উপেক্ষা করি। চন্দ্রকান্ত এতদিন মেম্বর জীবনকে এমন করিয়া আছয় করিয়াছিলেন বলিয়। তাহার মনে ক্ষোভ ছিল । সেই এতদিনের চাপা অভিবান ও ক্ষোভ আজ যেন অকস্মাং কাটিমু পড়িল ৷ নিজের মনে এত ভাবনা কখনও তিনি জাবিয়াছেন সে-কথা লিঙ্গেই তিনি জানেন ন। চন্দ্রকান্ত স্তন্ধ হইয়া দ্ব.ড়াইয়াছিলেন। তাহার কানে ন ঢুকিতেছিল সব কথা, না ভাবিতে পারিতেছিলেন তিনি কিছুই স্থিরভাবে। কেবল র্তাহার বিমূঢ় মনে একটা ভয়ঙ্কর | সম্ভাবনার কথা উকিঝুকি মারিতেছিল। র্তাহার নির্খলা হয়ভ স্ট্রীবনে অমুণী হইতে পারে। কী ভীষণ আবিষ্কার } কী দুঃসহ চিন্ত ! কড়ার রসট ঠিক পাক,হইয়াছে কি-না দেখিবর জন্য স্বশীল উঠিং ডাহাতে হাত ডুবাইলেণ, এবং হইয়া গিয়াছে । বুঝিয়া সেট নামাইয়৷ আর একটা পাত্রে ঘি চড়াইলেন । বিমূঢ় চন্দ্রকাস্তের বিস্থিত বিহবল চোদের সমূপে এই সকল দুখ ছাথাব্যঞ্জীর মত ভাসি বেড়াইতে লাগিল। অত্যন্থ বিস্মষের সঙ্গে ঠাহীর বারংবার মনে হইতে লাগিল, এতবড় একটা নিদারুণ কথার পরেও মানুধে নিশ্চিন্তু হইয়। কেমন করিফ এ-সঞ্চল তুচ্ছ কাজে মন দিতে পারে । এত সন্ম ভয়ঙ্কর কথা অ লীলাক্রমে বলিয়া দিয়া ভাংরি ৪ পরে স্বশীল যে নিরুদ্বেগে চৌকির উপর বসিয়া ঝাঝাতে করিম মিঠাইমের গুৰু বেসন ভাজিতেছেন, সে-দৃশ্বট তাহার কাছে অভাবিত রূপে নিষ্করণ এবং অত্যাশ্চর্য লাগিল । অনেকক্ষণ চুপ করিম থাকিম। শেষে সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া মাথার চুলগুলী এক হাতে টানিয়া খ-গো চাল করতে করিতে তিনি কছিলেন, “কিন্তু যা হয়েছে এখন বোধ হয় আর তা ফেরাবার জোঁ নেই।” שהיא: