পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - - ডাক্তারের ডায়েরীর দুটো পাত - শ্ৰীঅমিয় রায়-চৌধুরী BBB BB BBB BBBS BBB BB BBB BB BB BS BBBB BB BBS B BBB BBBBBB BBB ডাকতাম। এককালে তাদের অবস্থা ভালই ছিল, কিন্তু আজ দুরবস্থায় পড়ে তাকে স্বতে-তোল আর লেস-বোনার কাজ করেই পেট চালাতে হয়। স্বামী তার কিছু নগদ ষে রেখে ধাননি তা নয়। তবু সেটাকা সে রচ করত না, বলত—থাক না টাকা ক'টা । ছেলেট মানুষ হ'লে কাজে লাগবে। আর খরচ করলেই তো ফুরি গেল। টাকা ত আর ফেরেন । বার্থক্যে সব লোকের যে অবস্থ হয় দিদিমাবও তাই হয়েছিল। মুখের চামড় পড়েছে ঝুলে, শরীরেথ ঠামটা গেছে যুণ ধরে, তাই চলতে হয় তাকে কুঁজে হয়ে আর ছাপানি ও অশ্বক্সের অস্বথ ত লেগেই আ চে । তার শিল্প-কুশলতার কথা ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে, তার রেশমী ফুলের কাজ নাকি সকলের ভারি পছন্দ লেসগুলি তার বেশ ধামেই বিকোষ। যদিও কারুর সে সত্যিকারের দিদিম নয় আৰু সবাই তাকে দিদিমাই বলে। অঙ্ক কিছু ব'লে ভাগে ডাকূলে কেমন যেন বেমানান শোনাত মনে হয়। লেখাপড়া সে শি েfeল কিছু _ ऊँ এক কালে সে মেয়ে-পড়িয়েও টাকা মিয়েছে । এগনষ্ট -না-হয় বয়স বেশী হয়েছে, তাই আর পারে না। সাধারণ বাঙালী.ম্বরের মেয়েদের যে-বক্ষসে বিয়ে গুয়, তাৰ বিষে যেছিল তার অনেক পরে । পচিশ ছর বয়সে ও ব বিয়ে গুwেছিল, শুনেছি তিরিশ না যেতেই তার হাতেও নোয় থসে ’গল্পে'চল । তার একটি মাত্র ছেলে, সে নাকি এখন ডাক্তাব । ছেলেটিকে একবারটি দেখেছিলাম, কিন্তু কেন জানি না প্রথম দৃষ্টতেই তার প্রতি মন বিরূপ হয় উঠেছিল। সে মোটা স্কলারশিপ পেয়েছিল, তাতেই তার পড়া খরচ চলত কোন রকমে। ছেলেটির সত্যিই পড়াশোনা ভারি মন ছিল। কিন্তু সংসার চালাবার জন্ম মা যে অবিরাম খেটেই চলেছে, সে-খোজ সে একেবারেই রাখত না, ইচ্ছাও তার বড়ী লেস-বোনার সঙ্গে সঙ্গে কল্পনারও জাল কুত— ছেলে তার বিখ্যাত ডাক্তার হবে, তাকে বাকী দিনগুলো স্বর্থে রাথৰে । % 效 용. একদিন সে মনের দুঃখ চাপতে না পেরে আমায় বলুল - ডাক্তার বাৰু ! বুড়ে বয়সে আর এ হাড়ভাঙা খাটুনি ভাল লাগে না, তা ছেলেটার মুখ চেয়ে সব সন্ধ করি, আর কট দিন গেলেই সে বড় পাস দেবে, তারপর- শেষের কিট বুদ্ধার গলার স্বর ভারী হয়ে এল, বলে, সে আমার সব ছপ খুদূর করবে, ভগবান যদি বাঁচিয়ে রাখেন। ছ-মাস পরে একদিন দিদিমা আমার কাছে কঁদিতে কাতে এসে হাজির, বললে—ণ্ডাক্তার বাৰু, একটা ব্যবস্থা করুন। চোখ আমার দিনকে দিন থার প হয়ে যাচ্ছে। দেখতে না পেলে কাজ করব কি ক’রে, আর পেটই বা চালাব কেমন করে ? আমি বললাম, দিদিম| তোমার এখন খাটবার কি দরকার ? তোমার ছেলে ত ডাক্তার, শুনেছি ছু-পক্ষসী উপাম্বও করে । দিদিমা বললে—ত অল্পদিনেই বাছার আমার হাত-যশ হয়েছে বেশ । শু-পাড়ার মতির মা'র কলেরা হ’ল, সাহেব ডাক্ত"র • লি ছেড়ে দিলে, কিন্তু অতু আমার তাকে ভাল আশ্চর্যা শিখেছে সব । বলতে বলতে বুদ্ধার মুখ সস্তানগর্কে দীপ্ত হয়ে উঠেছিল। আমি বললাম—“তা অমন ছেলে, সে তোমায় দেয় না কিছু "ি জিব কেটে বৃদ্ধ বলুল,—আমি -কারুর প্রত্যাশা করিনে ডাক্তার বাবু, তার কাছ থেকে নেব কি ? বাছাকে টাকার অভাবে গাড়ী কিনে দিতে পাচ্ছি না। সত্যিই ত ডাক্তার হলে একটা মটর না-হলে চলে না। আমুর আমার বরাত-জোর অাছে, পাস করেই হাসপাতালে কাজ পেল। সেখানেও সাহেবের নেকনজরে পড়েছে, করলে ।