পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ "বোমী • - S,328N, নিৰ্ম্মোক সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত না হইলে সর্প অঞ্চস্থ হইয় পড়ে। এই কারণে অনেক সময় ইহাদের দেহ ঈষদুষ্ণ জলে . সিক্ত করিম এবং বস্ত্রণও দ্বারা ধীরে ধীরে ঘর্ষণ করিস্থা দেহসংলগ্ন নির্গোক উঠাইয়া দিতে হয় । ইহাদের যৌনসম্মিলনের মধ্যে কোনও বৈচিত্র লক্ষিত হয় না। শরৎকালেই ইহাদের যৌনসন্মিলন ব্যাপার সংঘটিত হইয় থাকে। এই কালে ইহাদের অঙ্গ হইতে এক - প্রকার অনুগ্র গন্ধ নিঃশ্বত হয়। এই গন্ধের স্বারাই ধোঁধ হয় ইহার পরস্পরের নিকট আকৃষ্ট হয় । ইহাঙ্গের গর্ভধারণের কাল নিশ্চিত করিয়া বলা কঠিন। কয়েক মাস পূৰ্ব্বে আলিপুর চিড়িয়াখানায় একটি ময়াল কতকগুলি অণ্ড প্রসদ করিয়াছিল। এই মালটি দাসীমের জঙ্গল হইতে ধুত হইয়াছিল এবং পশুশালায় আসিবার পর উনচল্লিশটি অণ্ড প্রসব করিয়াছিল। এতগুলি অণ্ডের মধ্যে মাত্র উনিশটি অণ্ড হইতে চারি সপ্তাহ কাল পরে শাবক নির্গত হইয়াছিল। অবশিষ্ট অগুগুলি নষ্ট হুইম্বা যায় । দক্ষিণ-আফ্রিকার একটি সর্পশালামু ময়াল সপকে প্রায়ই ডিসেম্বর ও জানুয়ারী বসেই অও প্রসব করিতে দেখা গিয়াছিল। অও হইতে শাবকগুলি সকল ক্ষেত্রে ঠিক এক সময়ে নির্গত হয় নাই। অনেক স্থলে শাবক নির্গত হইতে দুই হইতে তিন নাস অবধি সধৰ্ম লাগিয়াছিল। লণ্ডন পশুশালায় একবার জুন মাসে আফ্রিকার মাল-মিথুনের যৌনসম্মিলন সংঘটিত হইতে দেখা গিয়াছিল। পর ধংসর জানুয়ারী মাসে স্ত্রী-ময়াল প্রায় একশত অণ্ড প্রসধ করিয়াছিল এবং এপ্রেল মাস অবধি সেই সকল অণ্ডের উপর অঙ্গতাপ প্রয়োগ করিয়াছিল। কিন্তু এত অধিক দিন অঙ্গতাপ প্রয়োগ করিবার পরেও অগুগুলি পরিপুষ্ট হয় নাই। আফ্রিকার জঙ্গলে মম্বালের 'পিপীলিকাভুকৃদের পরিত্যক্ত বিবরগুলি অণ্ড প্রসব করিবার জন্ত খুজিয়া লয়। এতদ্ব্যতীত পাহাড়-পৰ্ব্বতের গহ্বরে, বৃক্ষমূলের কোটরে, কোপের মধ্যে, ঝুৱা লতাপাতার স্তুপের ভিতর, ইক্ষুক্ষেত্রে, নদীর ধারে, নলবনে ইহারা অণ্ড প্রসব করিয়া থাকে। সগু হইতে ষে সকল শাবক নিষ্ক্রান্ত হয় তাহীদের মধ্যে অনেকগুলি আবার গোসাপ, বেজী, শৃগাল ও বৃহৎ মূষিক দ্বারা ভক্ষিত হইয়া থাকে। ইহাদের অণ্ডগুলি দেখিতে যেশ শুভ্র । এই অণ্ডের আধরণ সাধারণ অণ্ডবেরণের মত কঠিন নছে । ইহার আবরণ কোমল চৰ্ম্মের মত ও কুঞ্চিত । আবরণ-ত্বক এইরূপ । হওয়ামু অংগুলির আকারও প্রায় চোপপান ভাবের । হইয় থাকে। পক্ষীদের অণ্ডের মত ইহাদের অণ্ডের মধ্যে কুহুম ও আওলালা পৃথকভাবে থাকিতে দেথা যায় না। ওজনে এক একটি অণ্ড ৫ আউন্স হইতে ৫ং আউন্স অবধি হইঙ্গা থাকে। ময়ালের আকার অনুসারে অণ্ডের সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি হইয় থাকে। এগার ফুট দীর্ঘ স্ত্রী-মালকে তেইশটি অণ্ড প্রসব করিতে দেখা গিয়াছে এবং তের ফুট দীর্ঘ সৰ্গ আটত্রিশটি অং, পনের ফুট দীর্ঘ সপী একাল্পটি হুইতে বাষট্টিটি অণ্ড, ষোল ফুট দীর্ঘ সর্ণ সাতানুটি এবং সতের ফুট দীর্ঘ সপী উনষাটটি অণ্ড প্রসব করিয়াছে। এই সকল অণ্ডের রক্ষণ ও পরিপালনে স্ত্রী-মস্কালের মধ্যে কতকটা অপত্যস্নেহের আভাস পাওয়া যায়। অগু প্রসব করিবার পর স্ত্রী-মস্কাল উহুদিগকে বেষ্টন করিয়া পড়িয়া থাকে। এই সময় ইহাদিগকে আহাঙ্গাদি করিতেও দেখা যায় না। অগু হইতে শাধক নির্গত না-হওয়া অবধি ইহার অগুগুলিকে বেষ্টন করির পড়িয়! থাকে। রক্তের বিশেষ তাপ না থাকিলেও অং-বেষ্টনের কালে স্ত্রীময়ালের অঙ্গের তাপ ৯০ হইতে ৯৬ ডিগ্রি অবধি বৰ্দ্ধিত হইয় থাকে। অণ্ড হইতে শাবক নির্গত হইলেই ইহাদের রক্তের এই তাপ তিরোহিত হইয়া থাকে। সপাঁর দেহের এই স্বল্পবৰ্দ্ধিত তাপেই অগুমধ্যস্থ ভ্রণের পরিপুষ্টি হইছা থাকে। অনেক সময়ে আবার ইহাদিগকে অণ্ড বেষ্টন করিয়া অঙ্গতাপ | প্রয়োগ করিতে বা অগুরক্ষণ বিষয়ে বিশেষ যত্ন লষ্টতে দেখা ঋয় না। অগু হইতে শাবক নির্গত হইলে ইহারা তাঁহাদের পালনে আর কোনও বড় লয় না। এ-বিষয়ে এদেশের উীষণ শঙ্খচূড় সর্প বিশেষ উল্লেখযোগ। এই শঙ্খচূড় যে কিরূপ ভয়ঙ্কর বিষধর তাহ অনেকেরই জানা আছে। ইহারা দৈর্ঘ্যে প্রায় দশ-বারে ফুট পৰ্য্যস্ত হইয় থাকে এবং সকল প্রকার সপ বরিয়া আর্থর করে। বর্তমানে আলিপুর পশুশালা দুইটি বৃহৎ শঙ্খচূড় বৃক্ষিত হইয়াছে। অগু-সংরক্ষণে ইহারা , অপত্যস্নেহের বিশেষ পরিচয় প্রদান করে। বনের মধ্যে ।