পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<ag উপবাসী থাকিলে লৌহশলাকা গোমাংসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র থও বিহু করিয়া ইংদের গলার মধ্যে প্রষ্টি করাইয়া দিতে হয়। এক পক্ষ অস্তুর পীচ সের মাংস প্রত্যেক মজ্জালকে আহার করান আবশ্যক হুইয়া থাকে ৷ শলাকার সাহায্যে খাওয়ানর পর গলদেশের নিয়ে মৃদু হস্ত চালনার দ্বারা আহারকে পাকস্থলীর দিকে নামাইয়া দিতে হয়। এক্সপ উপায়ে ভক্ষণ করান স্ববিধাজনক না হইলে ঈষদুষ্ণ দুগ্ধে কুঙ্কুটির অণ্ড ধিত্রিত করিম এবং তাঁহা পিচকারীতে পূৰ্ণ করিয়া গলনলীর মধ্যে টালিয়া দিতে হয়। এরূপ আহারের পর ইহার প্রায়ই কৃত্রিম আহার বমন করিখ ফেলে। এই জন্য কৃত্রিম আহারের পরেই ইহাদের গলদেশ ও পাকস্থলীর নিম্ন ভাগ রজ্জ্ব দ্বারা দ্বাদশ ঘণ্টা বধিয়া রধিতে হয় । কৃত্রিম উপাম্বে আহার করাইল্প কিন্তু ইহুদিগকে অধিক দিন জীবিত রাখা যায় না। এই প্রকার আহারের ফলে আবার অনেক সময় ইহাদের পাকস্থলী হইতে উপযুক্ত পরিমাণে পাচক রস নিঃস্থত হয়ন এবং সেই কারণে আহার ৪ পরিপাক প্রাপ্ত না হইয় পচিতে থাকে এবং ইহার ফলে শেষে ইহাদের প্রাণবিয়োগ ঘটিম্বা থাকে । কখনও কখনও কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস উপবাসী থাকিবার পর ধুত মস্কাল যেন সহসা প্রবুদ্ধ হইম উঠে এবং পিঞ্চরস্থ মূর্ষিক বা শশককে ধুত করিয়া অনশনত্রত ভঙ্গ করে। এইরূপে একবার ব্রতের উদ্‌যাপন ঘটিলে ইহারা আর উপবাস করে না । মালদের পিঙ্কয়ে সময় সময় আবার বিপরীত ব্যাপার সংঘটিত হইতে দেখা যায়। অনেক সময় ইহারা আবার ইন্দুরের দংশনে জীবলীল সংবরণ কfঃস্থ থাকে। দক্ষিণআফ্রিকার অন্তর্গত নেটাল শহরের জীধনিবাসে সতের ফুট লম্ব ময়ালের ঘরে একটি বৃহৎ ইন্দুরকে সৰ্পের আহারার্থ ছাড়ির দেওম্ব হুইয়াছিল। তিন সপ্তাহ কাল পিঞ্জরের মধ্যে থাকিলেও ময়াল ইন্দুরটিকে উরস্থ করে নাই, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে মূধিকটি মালের পৃষ্ঠের ৯ ইঞ্চি পরিমাণ মাংস ছিন্ন করিয় ভক্ষণ করিয়াছিল। আর এক সময় একটি বারো ফুট লম্ব ম্যালের ঘরে ধীরোটি ইন্দুর ছাড়িম্ব দেওয়া হইয়াছিল । ইন্দুরগুলি অজগরকে উহাদের ভক্ষক বলিয়া বুঝিতে না পারিম উহার দেহ হইতে মাংস ছিন্ন মধ্যেই মরিয়া গিয়াছিল। ইদুরের ঐ ময়ালটির দেহের মাংস ছিন্ন করিয়া উনসত্তরটি ক্ষভের স্মৃষ্টি করিয়াছিল। দেহে এতগুলি ক্ষত হইলেও ময়াল স্থিরভাবে থাকিয়াই মপ্লিম্বা গিছিল। ইহাতে বোধ হয় মালদের বেদন অমৃভব করিবার শক্তিটা কিছু কম। ইহাদের আগের সম্বন্ধে অনেক অদ্ভূত অলীক কাহিনী শুনিতে পাওয়া যায় । ভজন্য ইহাদের আগের বিষয়ে কিছু বিবৃত করা আবশ্বক। ইহারা শশক, গিনিপিগ, কুকুর, বানর, ছাগ, ক্ষুদ্র যুগ, বন্য বিড়াল, শৃগাল, বন্য কুকুট ও হংসাদি ভক্ষণ করে । ইহাপেক্ষা বুহদাকারের জন্তুকে ভক্ষণ করিতে গেলেই শেষে ইহাদের প্রাণধিয়োগ ঘটিক্সা থাকে। কয়েক বৎসর পর্কে দক্ষিণ-আফ্রিকা একটি ময়াল এক শূকরকে উরস্থ করিয়া এবং ব্রহ্মদেশের জঙ্গলে একটি ময়াল বৃহৎ শুঙ্গযুক্ত এক হরিণকে ভক্ষণ করিতে গিস্ক মরিস্থ। গিয়ালি। বৃহৎ জীবজন্তু হইতে এবংবিধ বিপদ ঘটিলেও ময়ালের সুধোগ পাইলে দেহবেষ্টনে ইহাদিগকে আকর্ষণ করিতে পর্যন্মুখ হয় না। আফ্রিকার জঙ্গলে এক সময় একটি ময়াল এক জেব্রাকে ধরিয়া পিষ্ট করিয়া দিয়াছিল । শিকারকে মুথে ধরিয়াই নিজের দেহু দ্বারা মমূলের উহার পীরের চারিদিকে বেষ্টন করিতে থাকে । ইহাদের বেষ্টনের আকর্ষণে শেষে ধুত প্রাণী শ্বাসরুদ্ধ হুইয়া প্রাণত্যাগ করে। এরূপ ক্ষিপ্রতার সহিত ইহারা শিকারকে ধরিয়৷ দেহের বেষ্টনে আকর্ষণ করে বে, শিকারকে ধরিবার রীতি এবং আকর্ষণের প্রণালী লক্ষ্য করাই কঠিন হইয় উঠে। শিকার ধরিবার উদ্দেশে ইহারা যে জলাশয়ের তীরে বৃক্ষশাখায় স্থির ভাবে বিলদ্বিত থাকে তাহা পূর্বেই বলা হইয়াছে। জীবজন্তু তুফাওঁ হইয়। জলপান করিতে আসিলে ইহারা অতি ধীরে এবং বিশেষ সস্তপণে নামিয়া উহাদিগকে ধরিম্ব ফেলে। ইহাদের ধৈর্য্যও অসাধারণ। শিকার ধরিবার নিমিত্ত ইহার এত অধিকক্ষণ এরূপ স্থিরভাবে অবস্থান করে যে, জীবজন্তুরা ইহাদের উপস্থিতি আদে অনুভব করিতে পারে না। গিনিপিগ, শশক, বহু কুকুট প্রভৃতি ধরিয়া ইহার দেহেয় একটি পাকে উহাকে বধ করে । হরিণ প্রভৃতি ধরিলে পাচ-ছয়টি বেষ্টলে আহাকে বধ করে। ইহাদের আকর্ষণ এরূপ ভীষণ ఏSD8) করিয়া ভক্ষণ করিয়াছিল এবং ইয়ার ফলে মম্বালটি দুই দিনের