পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こbr8

  • リエ○〜

SS8ు প্রচলিত আছে । ‘মড়ি-পোড়া' ব্রাহ্মণসম্প্রদায় এই কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিয়া থাকেন। এই অহাসকার্য নিৰ্ব্বাং ইটার পর শবাধারের মুখ বন্ধ করিয়া দিম। তাঁহাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। মঞ্চটিও অগ্নিসংযোগে ভস্মীভূত করা হইয় থাকে। মানবের শেষচিহ্নটুকুও যখন অগ্নিদাহে ভস্মীভূত হইয়ু যায় তখন মহিলাগণ দেহাবশেষ একত্র সঞ্চিত করিয়া হয়। অতঃপর ইহা চুধীরুস্ত ও নিষ্পেষিত করিয়৷ সেই ভস্মরাশি সারিকেলের মালায় পরিপূর্ণ করিয়া সমূদ্রতীরে লইয়া বাওয়া হয়। সেখানে শেষ মস্ত্রোচারণ করিতে করিতে ইহা জলগর্তে কিৰ্জন দেওধু৷ दग्न :- —sর্ম যত্নে পূড়াইয়। যথে ভষ্ম, অণুয়াশি হলে বিবৰ্জ্জিল। তাছে। এই অনুষ্ঠানকে ভদ্ধেশয়ের ‘অঙ্কনজুট বলে। কিন্তু এইখানেই উৎসবের শেষ হইয়া যায় না। ইহার পরেও নানা প্রক্ষার উৎসব-অনুষ্ঠানের রীতি-নীতি পালন করিতে दु ! ভূদেব মুখোপাধ্যায় শ্রীরমাপ্রসাদ চন্দ কয়েক বৎসর পূর্বে বাংলার অতিপ্রাচীন বা প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা লক্ষ্য করিখ একজন বিশিষ্ট পুরাবিং পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায়ু vহরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলিখছিলেন, “বাঙ্গালী একটি আত্মবিশ্বত জাতি।” আজ আমরা যে-স্বনামধন্য মহাপুরুষের স্মৃত্তিপূজার জন্য মিলিত হইয়াছি তাহার বহুপূৰ্ব্বে তিনি পুষ্পাঞ্জলিতে লিপিম্বাছিলেন— SttBBBBBBS BBBBBBBS BBBBDBB DDBB BBBB আঙ্গুধিৰ্ম্মত হইয়া নীচাযুকরণসুতা থাকিবেন " বিস্তুতি আমাদের বোধ হয় স্বভাবগত। “স্বভাবে যুদ্ধণি বস্তুতে।” স্বভাব অতিক্রম কর। বড় কঠিন। যেসকল মহারথ আমাদের অনেকের জীবদ্দশায়, উনবিংশ শতাব্দীর শেষপাদে, বাংলা দেশে অনেক স্মরণীয় কীৰ্ত্তির অনুষ্ঠান করি। গিয়াছেন, স্মরণশক্তির সহায়ক নানা প্রকার সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও বিংশ শতাব্দীর বাঙালী যেন তাহাদিগকেও বিশ্বত হইতে বদ্ধপরিকর। এই স্বেচ্ছাকৃত বিস্মরণের যুগে, চুচুড়াবাণী ষে ভূদেবভূতির বাৰ্ষিক পূজার আয়োজন করিখছেন, এই জন্য আপনারা বাঙালী মাত্রেরই ধন্যবাদার্হ। ভূদেব-স্মৃতি-পুঞ্জার এই আয়োজন, ভূদেবের দেবলোকগমনের চল্লিশ বৎসর পরে সংঘটিত হইলেও, বড় সময়োপযোগী হইয়াছে। ১৮৭৫ সাল হইতে ভূদেব বাবু এডুকেশন গেজেটে, এবং পরে গ্রন্থাকারে, বাংলার হিন্দুর সমাজনীতি এবং ধর্থনীতি ব্যাখ্যা করিতে আরম্ভ করেন। তখন বাঙালীর পারিবারিক জীবনের এক ভিত্তি ছিল বালাবিবাহ, এবং আর এক ভিত্তি ছিল একান্নবর্তী পরিবার বা তাহার অনুকল্প। তখন প্রায় ঘরে ঘরে নিত্যনৈমিত্তিক আচার অনুষ্ঠিত হইত। তপন অধিকাংশ হিন্দুই তাধিক বিধি অনুসারে কুলগুরুর নিকট দীক্ষা গ্রহণ করিত। ভদ্রসমাজের এখন আর সেদিন নাই। সকল দিকেই পরিবর্তন ঘটিমুছে বা ঘটিতেছে। সৰ্ব্বাপেক্ষা গুরুতর পরিবর্তন ঘটিস্থাছে বিবাহের ক্ষেত্রে। মাত্র চুয়াল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে । ১৮৯১ সালে ) সহবাস সম্মতি-বিষয়ক আইনের প্রস্তাবে এদেশে ষে আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল, তাহার বিবরণ এখন "স্বপ্নলব্ধ ইতিহাস’ বলিমা মনে হইষে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সেই প্রস্তাবের বিরোধী ছিলেন, ভূদেব বাবু ত ছিলেনই। ইদানীং জীবিকানিৰ্ব্বাহের উপযোগী অর্থে পার্জন দিন-দিন কঠিনতর হওয়ায় শিক্ষিত হিন্দু সমাঙ্গে বন-বিবাহ অনির্য হইয়াছে, এবং অনেক ক্ষেত্রে বিবাহের সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে না। সহসা এইরূপ পরিবর্তনের আচযঙ্গিক উচ্ছম্বলতাও দেখা দিতেছে। অনেকে হস্থত এইরূপ পরিরর্তন বাঞ্ছনীয় মনে করেন, কিন্তু উচ্চুম্বলতার