পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| কোন লজ্জ ছিল না। গীতিনাট্যখন সতাই চমৎকার, | মরুপথে రిస్సి তবে অতি ছেলেমাহুষ ভিন্ন এ-রকম মিনিয কেইষ্ট লিখিতে পারে না, লে কথাও ঠিক । তাহার দীর্ঘকায় সহধারীটির মনের বুঝিতেই পারিতেছিল। স্বতরাং গাষ্ঠীর্থ হ্যাগ করিয়া এতক্ষণে সে ঐ ব্যক্তির দিকে তাকাইয় একটু হাসিল। লোকটি তৎক্ষণাৎ উঠিয়া আসিয়া সোমেন্দ্রের পাশে বসিয় কথা সোমেশ্র পড়িল, রুমাল দিয়া মুখ মুষ্টিতে মুস্থিতে বলি, আচ্ছা . ধুলে য-হোক মশায়। যু-হোক আমার সয়ে গেছে, এঅঞ্চলে বহুদিন ঘোরাঘুরি করছি কি না ? আপনাকে কোথায় যেন দেখেছি বোধ হচ্ছে, কিছুতেই ঠিক করতে পারছি না।” সৌমেন্দ্ৰ হাসিয়া বলিল, “আমার নাম সৌমেন্দ্র মৈত্র। আপুনি সম্ভবতঃ আমার দাদা তেজেন্দ্রকে দেখেছেন, তার আর আমার চেহারার খুব সাদৃপ্ত থাকাতে লোকে প্রাট একজনকে আয় একজন বলে ভুল করে ।” - লম্ব লোকটি নিজের হাটুতে প্রচণ্ড এক চাপড় মারিয়া বলিল, “ঠিক ধরেছি। এতক্ষণ কেবলই ভাবছিলাম আপুনি হয় তেন্ত্রেন মৈত্র, ন তার মুমঞ্জ-ভাই। তাকে দেখেছি বইকি । মূগনই তার কোনো নাটকের অভিনয় হয়েছে আমি ঠিক সেখানে হাজির হয়েছি ; তাকেও বহুধার থিয়েটাবে উপস্থিত দেখেছি। আমােদর ক্লাবে একবার তাকে নেমস্তন্ন করা হয়েছিল, তাতে তিনি দয়া করে বাসষ্ঠীর দু চারট। গান বাজিয়ে শুনিয়েছিলেন। আগে একগালা দৈনিকে কাঞ্জ করতাম, এখন ত নিঞ্চে ব্যবসা কেঁদেছি। ধাকু আপনি তাহলে তেজেন মৈ ত্ররই ভাই । আপনার সঙ্গে ট্রেনে বসে শেষে দেখা ? ঠিক যেন মাসিকের গল্পের মক্ত শোনাচ্ছে।" ভদ্রলোক হাসিতে হাসিতে একটি সোনার জল-করা সিগারেট কে খুলিয়া ধরিলে এবং ভেঙ্গেন্দ্রের বিষয় অনর্গল প্রশ্ন করিয়া চলিল। লোমেন্দ্রের সঙ্গে লোকে থালি এই এক বিষয়েই কথা বলে। কিছুক্ষণ পরে কামরাট খালি হইয় গেল। দীর্ঘারুতি লোকটি নামিয়া গেল মোগলপরাইয়ে, অন্য পুরুষ ৪ মেয়ে-যাত্রীটিও লাথিয় গেল। গেমেন্দ্ৰ কামরায় একই বসিয়া রহিল। , এলাহাবাদে গাড়ী আলিয়৷ পৌছিল, ঠিক দুপুরবেলা। সোমেন্দ্র এ-দিকে বিশেষ আসে নাই। কুলার মাথা জিনিষ পত্র চাপাইয়া বাহিরে আলিয়। সে ইতণ্ডতঃ করিতে লাগিল। কোথায় ধে সে উঠবে *িছুই স্থির নাই ; একটা হোটেলগোছের কিছু খুজিয়া লইতে হইবে আর কি ? এমন সমন্থ কিছু দূয়ে দণ্ডায়মান একটি ফাটন গাড়ীর দিকে তাহার झुष्टि পড়িল। গাড়ীতে একটি মেম্নে বসিয়া আছে। মেয়েটির পরিধানে শুভ্ৰ পরিচ্ছদ, শাড়ীটির পাড়ও অত্যস্ত সরু । পাথরে গড়া প্রতিমার মত ধীর গুন্ধ তাহার দেহ, কোন এক ভাবনার অতল সাগরে সে ঘুেন নিমজ্জিত । এমন সময় প্লাটফর্শ্ব ত্যাগ কয়িবার মুথে পাঞ্জাব মেলের এপ্লিনট তীব্র বংশীধ্বনি করিয়া উঠিল। মেন্থেটি চকিতভবে মুখ তুলিয় চাহিল, তাতার পর চীংকার করিয়া উঠিল। ঘোড়াটাও ভয় পাইয়া গিয়াছে দেগিয়া সোমেশ্র ছুটি। গিয়া সেটার মুখের রাশ চাপিম ধরিল। কিন্তু জানে স্বারটি স্বভাবতঃই শাস্ত, সে বেশী উৎপাত না করিয়া তখনই আবার স্থির হইয়া গেল। মেয়েটি দুই হাভে মুখ ঢাকিয়া আবার বসিয়া পড়িল । একটা বইমেয় ষ্টলের কাছে ধাড়াইয়া একটি মহিলা কিসের যেন দূর করিতেছিলেন, তিনিও ছুটি৷ আদিম৷ বলিলেন, "কি হয়েছে বোন, অমল করছ কেন ?" সোমেন্দ্র একটু অপ্রস্তুত বোধ করিতে লাগিল । . দুইটি অপরিচিত মহিলার সামনে এ-রকম বোকার মত ধাড়াইয়া থাকিতে তাহার ইচ্ছা করিল না। সে তাড়াতাড়ি একটা নমস্কার করিয়া সরিয়া পড়িল। মেমােটি৪ হয়ত তাহাকে পরিচিত ভাবিয়াছে। এরকম ঘটনা সোমেশ্রয় জীবনে অনেক ঘটিয়াছে, ইহা নৃতন কিছু নয়। ষ্টেশনের কাছেই একটা ছোট হোটেল আছে, কুলীর কাখে খবর পাইক্স সোমেন্দ্র আপাতত: সেখানেই গিয়া উঠিল। পরে ভাল জাম্বৰ্গ একটা থাছিয়া লৰা যাইবে। পরদিন সকালে সে সবে চা থাইতে বসিয়াছে, এমন সময় খান্দামাটা বলিল, নীচে এক ভদ্রলোক তাহার জন্ম অপেক্ষা করিতেছেন। সেমেক্স কিঞ্চিং বিশ্বিত হইল, এখানে আবার তাহার খোজ করে কে যাহা হউক, চাম্বেৰ পেম্বালাটা শেষ করিয়া সে নীচে নামিয়া গেল। বসিবার ঘরে ঢুকিয় দেখিল ধে একটি ভালোক একটু অসহিষ্ণু ভাবে পাশ্চারি করিতেছেন। লোকটি দেখিতে বেশ বলিষ্ঠ, কি কারণে ধে এতটা বিচলিত হইয়াছেন, তাহা গোমেন্দ্র