পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলঙ্ক-মোচন ঐবসন্তকুমার দাস > প্রিনাথ বাৰু তাহার পুত্র নিরুপম ও অনুপমের তবিষ্যৎ সম্বন্ধে যেরকম উচ্চাভিলাষ প্রকাশ করিতেন, সঙ্গতিপল্প পিতামাতা মাত্রেই সস্তানের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে হৃদয়ে সেরকম আশা পোষণ করিয়া থাকেন। প্রিয়নাথ বাবুর পত্নী একটু বেশী বয়সে সন্তান প্রসব করিয়াছিলেন। প্রথমে সকলেই মনে করিয়াছিল তাহার কোন সজ্ঞান জন্মিবে না। বন্ধুগণের অনেকে প্রিশ্বনাথ মাৰুকে দ্বিতীয়বার দ্বারপরিগ্রহণে পরামর্শ দিলেন, কিন্তু তিনি গৃহিণীর জন্য একটি সপত্নী আনিয়া জেনানা যুদ্ধের কুরুক্ষেত্র বাধাইতে ইচ্ছা করিলেন না। উপায়াঙ্কর না দেখিয়া ধর্থপরায়ণ বন্ধুরা পিণ্ডলোপের ভক্স মেধাইয়া প্রিনাথ বাবুকে পোষ্যপুত্রগ্রহণের পরামর্শ দিলেন। কিন্তু তাহুতে ফল উল্টা হইল, প্রিহ্মনাথ বাবু উইগ করিম ধনসম্পত্তি সমস্তই অনাথাশ্রমে দান কপ্লিবেন ইচ্ছা করিলেন, কাজেই পোষ্যপুত্র গ্রহণও হইল না। এমন সময় অকস্মাং - ড্রিশ বৎসর বয়সে প্রিয়নাথ-গৃহিণী যুগলতনয় প্রসব করিলেন। किछ नि७ फूशेछि छहे दर्नरब्र • *फ़िरडझे भाछशैन হইল। আগভা বিপত্নীক প্রিন্থনাথ বাবুই এই পুত্র দুইটিরনিরুপম এবং অকুপমের তত্ত্বাবধানে প্রবৃত্ত হইলেন । সংসারে একটি বিধবা ভগিনী ছড়ি আর কোনও পোষ্য ছিল না । ভগ্নী প্রিয়নাথ বাবুকে পুনরায় বিবাহ কংিতে অনেক অমুনমুবিনয় করিলেন, বন্ধুমহলের তরফ হইতেও অনেক অকুরোধউপরোধ আসিল, কিন্তু প্রিয়নাথ বাবুর পিগুলোপের ভয় আর নাই, সুতরাং শর্ত পীড়াপীড়ির মধ্যেও তিনি আচল ও অটল রছিলেন । নির ও অন্থর লালনপালনকার্বে, প্রিশ্বনাথ বাবুকে সাহায্য করিবার জঙ্ক দুই জন তৃত্য ও ফুষ্ট জন দাসী স্বতন্ত্র নিযুক্ত হইল। শিশু ছুটিকে তাঃাদের তত্ত্বাবধানে রাখিম৷ প্রিয়নাৰ বাৰু এক মুহূৰ্ত্তও স্থির থাকিতে পারিতেন না। একে বধল হইয়াছে তাহাতে আবার বিপত্নীক, কঙ্গেই প্রিয়নাথ বাৰু সকল বিষয়েই একটু বাড়াবাড়ি করিতেন। শৈত্যন্ত্রীতি তাহার একটি স্বাভাবিক দুৰ্ব্বলতা ছিল । কোন সময়ে কোন ছিদ্রপথে সর্দি নামক প্রবল শত্রু তাহার জীর্ণ দেহদুর্গটি অধিকার কfরস্থ বসে, এই ভয়ে প্রিয়নাথ বাবু শীত গ্রীষ্ম বার মাস মানেলের জাম পরিধান করিতেন এবং পদযুগল পশমী মোজায় মৰুত রাখিতেন । রাত্রিবেঙ্গ শয়নঘরের দরজা জানাল প্রভূতি এমন ভাযে শ্ৰাবদ্ধ করিয়া রাখিতেন যে, বায়ুপ্রবেশের ৪ কোন পথ থাকত না। fনরু ও অম্বর সম্বন্ধেও তিনি নিজেরই মত সতর্কতা অবলম্বন করিয়াছিলেন। ভূতাদিগের প্রতি কড়া আদেশ ছিল শিশুদের গাত্র সর্বদা আবৃত রাখিতে হুইবে এবং কোন সময়েই তাহাদিগকে শুধু মাটিতে উপবেশন করিতে দেওয়া হইবে না। অপরাঃে শিশু দুটিকে গাড়ীড়ে করিয়া রাজপথে বাহির করা হইত। এক দিন প্রিয়নাথ মাৰু দেখিতে পাইলেন শিশু ছটিকে মাটিতে বসাইম্বা দাগীয়া বৃক্ষতলে স্বখদু:খের কথা আরম্ভ করিয়া দিয়াছে। সেই দিন হুইতে নির ও অম্বর বায়ুসেবন নিষিদ্ধ। তাহারা চিরদিনের মত ঘুরে বন্দী হইল। স্বাগীদেরও যে সেই দিনই পলুচুক্তি হইখছিল, একথা বল নিম্প্রয়োজন ৷ শীতপ্রধান দেশের ধনী লোকেরা যেমন কাচের ঘরে গরম ধাতাস পুরিয়া গ্রীষ্মপ্রধান দেশী ফলফুলের চারাগাছ রক্ষা করেন, প্রিয়নাথ বাবুও তেমনি নান উপয় অবলম্বন করিয়া এই মাতৃহীন শাপভ্রষ্ট শিশুদেবতাদের বৰ্দ্ধিত করিতে লাগিলেন । গুৰুদুগ্ধপানে বঞ্চিত বলিয়৷ শিশুদের জন্য বিলাতী টিনের থাদা যথেষ্ট পরিমাণে সরবরাহ হইত। নানা জাতীয় ফুড, টনিক, সিরাপ প্রভৃতি পরিপা • করিষ্ক, এবং ডাক্তারী ঔষধের স্বাদ কতদূর তিক্ত ও কায় হইতে পারে তাহ পরীক্ষা করিয়া নির ও অক্ষ বর্ষ বর্ষে পদার্পণ করিল। ডাহাদের জন্য সৃহশিক্ষকে আবখ্যক হইল। পুত্রদ্বয়ের স্বশিক্ষার জন্য প্রিন্থনাথ বাবু এক শিক্ষকদম্পতি নিযুক্ত কkিলেন। বিদ্যালয়ে দশ