• আষাঢ় বিবিধ প্রসঙ্গ-কংগ্রেসের পালেমেন্টারী বোর্ড t&3 পন্থীদের অন্য একটি গঠনমূলক কার্য। ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় হরিজনদের মন্দিরপ্রবেশে অনুমতি প্রদান এবং তাহাদের অস্পৃশ্বতা দূরীকরণের জন্য যে-ষে আইনের খসড়া ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভ স্থ উপস্থাপিত হইয়াছে, সেইগুলি বা তদ্রুপ অন্য কোন কোন বিল আইনে পরিণত হইলে কংগ্রেসের হরিজনসম্বন্ধীয় গঠনমূলক কর্ঘ্যের সহায়ত হুইবে । এইরূপ আরও কোন কোন দিকে কৌলিলে কংগ্রেসের কাজের পরিপোধক কাজ হইতে পারে । অবগু, কংগ্রেসওয়ালারা বলিতে পারেন, “যাহার। কৌন্সিলে ধান, তাহারাই ঐ সব কাজ করুন ; আমরা কেন্সিলগুলাকে "অশুচি মনে করি ; সেখানে আমরা যাইব না।" অর্থাৎ কিনা, তাহার ধেন কলিযুগের রাষ্ট্রনৈতিক ব্রাহ্মণ (“Political Brahmans”), są: c=\frīziszi ağềafs+ পামুপান । এই রাষ্ট্রনৈতিক পায়খানার কাজ করা আবশ্যক বটে, কিন্তু তাহারাষ্ট্রনৈতিক মেথরের করিবে, রাষ্ট্রনৈতিক ব্রাহ্মণরা করিবেন না। সব কংগ্রেসওয়ালার মনের ভাব সত্য সত্যই এইরূপ, তাহা আমরা বলিতেছি না । কিন্তু যদি তাহদের মধ্যে এমন কেহ কেহ থাকেন র্যাহার কৌন্সিলে কুড কোন কোন কাজের স্ববিধাটুকু গন অথচ অস্পৃশুবোধে কৌন্সিলের চৌকাঠ মাড়াইতে চান না, তাহাদিগকে পরিহাস করিলে তাহ শুমার্জনীয় না হইতে পারে । নিরুপদ্রব বা অহিংস আইনলঙ্ঘন, ও কংগ্রেস সমগ্রভারতীয় কংগ্রেস কমিটি গান্ধীজীর পূৰ্ব্ব পরামর্শ অনুসারে নিরুপদ্রব বা অহিংস আইনলঙ্ঘন হইতে বিরত থাকিতে রাঙ্গী হওয়াম উদারনৈতিক অর্থাৎ মডারেট দলের লোকদের ভারী স্মৃত্ত্বি দেখা যাইতেছে । তাহাদের কেহ কেহ বলিতেছেন,- “এখন পথে এস, বাপু আমরা ত আগেই বলেছিলাম, আইন অমান্ত-টমান্য করে কিছু হবে না।" উত্তরে কংগ্রেসওয়ালার বলিতে পারেন, “অসহযোগ প্রচেষ্টার দ্বারা যে স্বরাজ লব্ধ হয় নাই, তার কারণ এ নয় যে অসহযোগ পস্থাটাই খারাণ - তার কারণ এই যে, মহাশম্বের এবং মহাশয়দের মত 'চাচ আপনার্বাচা" ("safety first") নীতির অনুবর্তৃক লোকেরা কংগ্রেসের পথের অনুসরণ করেন নাই, পরন্তু অনেকে কংগ্রেসের বিরোধিতা করিয়াছিলেন।” উদারনৈতিক নেতা খ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী বলিয়াছেন, অসহযোগ প্রচেষ্টা ভারতীয় রাষ্ট্রনীতিকে গতিবেগ দিয়াছিল। আমাদের - বিবেচনায়, অন্ততঃ কৃতজ্ঞতার খাতিরে মডারেটদের কংগ্রেসকে আক্রমণ না-করা উচিত। কারণ কংগ্রেসেরই কল্যাণে র্তাহার গোলটেবিল বৈঠকে নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন এবং ভারতবর্গের প্রতিনিধি সাজিতে পারিয়াছিলেন। - বস্তুতঃ সমগ্রভারতীয় কংগ্রেস কমিটি গান্ধী ছাড়া আর সকল কংগ্রেসওয়ালাকে আইনলঙ্ঘন হইতে বিরত থাকিতে বলিয়াছেন বটে, এবং গান্ধীগ্ৰীও বলিয়াছেন বটে, যে, তিনি এরূপ ভাবে চলিবেন যাহাতে আইন অমান্য করিবার প্রয়োজন না-হয়, কিন্তু কমিটি বা গান্ধীজী একথা বলেন নাই, যে, অসহযোগ বা আইনলঙ্ঘন নীতিটাই খারাপ। বরং গান্ধীজী প্রয়োজনমত নিরুপদ্রব ৪ অহিংসভাবে আইন অমান্য করিবার জন্ত নিজের স্বাধীনতা এবং অল্পদিগকে তাহা করিতে পরামর্শ দিবার স্বাধীনত অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছেন। অর্থাৎ স্বরাজ-সংগ্রাম পরিত্যক্ত হয় নাই ; তাহা স্থগিত আছে, এবং রণকৌশল ( strategy ) পরিবর্তিত হইয়াছে ও হইবে । মণ্ডারেটদের অবলম্বিত ধে-সব উপায় জাতীয় আত্মসন্মান বজায় রাধিয়া কংগ্রেসওম্বালারা অবলম্বন করিতে পারেন, তাহা তাহারা করিবেন : অধিকন্তু নিরুপদ্রব ও অহিংস আরও কিছু করিবার স্বাধীনতা গান্ধীজী নিজের ও নিজের দলের জন্ত জিয়াইম্ব রাখিয়াছেন । ংগ্রেসের পালেমেণ্টারী বোর্ড কংগ্রেসের ষে বোর্ড সব প্রদেশ হইতে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রবেশাখী কংগ্রেসওয়ালাদিগকে মনোনীত করিয়া তাহাদের কেন্সিল-প্রবেশচেষ্টার সহায়তা করিবেন, সেই বোর্ডের নাম দেওয়া হইয়াচে পালেমেন্টারী বোর্ড। নামে বিশেষ কিছু আসে যায় না যদি তাহার দ্বারা ভ্ৰান্ত ধারণা ন-জন্মে। ব্রিটেনের পক্ষে ব্রিটিশ, পালেমেন্ট যেমন, ভারতবর্ষের পক্ষে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভাও তেমনি, এই ভ্ৰান্ত ধারণাটা বাহাড়ে ‘পালেমেণ্টারী’ বোর্ড নাম দ্বারা ন-জন্মে, তদ্বিষয়ে সাবধান থাকিলেই হইল। বস্তুতঃ বাংলা যে প্রবাদ আছে, "খৈও জলপান, আরস্কলাও পাখী" ইত্যাধি,
