পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పినDBS স্থাপন করেন। বৰ্ত্তমানে এই সমস্ত উদ্যম গুটিকয়েক বলিঙ্ক এবং যুবকের উদ্যম। খাহাতে আমাদের চেষ্টা ফলবতী হয়, তাহার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা BBBB BB BBB BBBDBB BB BBB BBBB BBBS এই উদ্যম ও চেষ্টা যে প্রশংসনীয়, তাহা বলাই বাহুল্লা, ইংও বলা উচিত, যে, এই চেষ্টা যে ইতিপূৰ্ব্বে হয় না, তাহ আমাদের বাঙালীদের পক্ষে গৌরবের বিষয় নহে। যাত্রাওয়াল মুকুন্দ দাস ধাত্রা ও গানের ভিতর দিয়া স্বদেশপ্রীত্তি ও স্বদেশহিতৈষণা প্রচারের জন্য বিখ্যাত বরিশালের মুকুন্দ দাসের পরলোকগমনে বাংলা দেশ তাহার ধাত্র হইতে আনন্দ ও অসুপ্রাণনা আর সাক্ষাৎভাবে পাইবে না। তাহার পিতৃমাতৃদত্ত নাম ছিল যজ্ঞেশ্বর দে । তাহার গুরু অশ্বিনীকুমার ধন্তু তাহাকে মুকুন্দ দাস নাম দিয়াছিলেন। তাহার যাত্রার জন্য তঁহকে রাজস্থারে দণ্ডিত হইতে হইয়াছিল। অধ্যাপক সুরেশচন্দ্র রায় নাগপুরের মরিস বলেজের ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যাপক স্বরেশচন্দ্র রায়ের নাম বাংলা দেশে কম লোকই জানেন । মথন মধ্যপ্রদেশে উচ্চশিক্ষার কোন সুবিধা ছিল না, তখন র্যাহার তথায় তাহ বিস্তারের চেষ্টা করিয়াছিলেন তিনি তাহাদের অন্যতম। ধখন ১৮৮৫ সালে নাগপুর মরিস কলেজ স্থাপিত হয়, তখন তিনি ও অন্য দু-জন গ্রাজুয়েট উহার অধ্যাপক হন। তথায় তিনি ৩৬ বৎসর দর্শনের অধ্যাপকত। কল্পির অবসর গ্রহণ করেন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত র্তাহার ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল এবং তিনি তাহর নানা কমিটি, কোড ও সব-কমিটির সভা ছিলেন। তিনি নাগপুর দার্শনিক সভার প্রথম সভাপতি এবং ২৫ বৎসর দীননাথ বালকবিদ্যালয়ের সম্পাদক ছিলেন । তিনি চিরকুমার ছিলেন। প্রায় ৭৫ বৎসর বয়সে র্তাহার মৃত্যু হইয়াছে । সন্ত্রাসনের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভা সঞ্জাসনবাদ উচ্ছেদের নিমিত্ত কৰ্ত্তব্যনিরূপণের জন্য সম্প্রতি কলিকাতায় ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশুনে প্রধানত: জুমদারদের একটি সভার অধিবেশন হুইয়াছিল। বক্তৃতাগুলিতে যাহা বলা হইয়াছিল, তাহর প্রায় সব কথাই আগে আগে বলা হইয়াছে। প্রযুক্ত চারুচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বাগিতার স্বারা যদি সন্ত্রাসনবাদের উচ্ছেদ সম্ভবপর হইত, তাহা হইলে উহ। অনেক আগেই হইয়া যাইত। একাধিক বক্ত সন্ত্রাসনবাদের উদ্ভবের জন্য প্রেসকে ও কংগ্রেসকে খুব দোষ দেন। কোন বক্তাই এতাবৎপ্রচলিত শাসনপ্রণালীকে ও শাসনকৰ্ত্তাদের কৃত কোন কার্য ও অবহেলাকে সন্ত্রাসকদের উৎপত্তির জন্য বিন্দুমায়ও দায়ী করেন নাই। মিঃ আৰু হালিম গজনবী বলেন, সন্ত্রাসন-প্রচেষ্টা লুপ্ত না হইলে বাংলা দেশে “আইন ও *#ãi” (law and order) x#R হাতে হস্তাস্তরিত করা উচিত নহে। তাঁহাতে ষ্টেটসম্যামের বাৰু প্রিন্থনাথ গুহ বলেন, ওরূপ বলা অযৌক্তিক ; গবষ্মেটি সন্ত্রাসক প্রচেষ্টা নিমূল করিতে পারেন নাই বলিয়াই উহার ভার দেশ মন্ত্রীদের হাতে দেওয়া উচিত। ঐযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র সংবাদপত্র-সকলের তিক্ত ও কটু ভাষাকে কতকটা দায়ী করেন। তিক্ত ও কটু ভাষার সাফাই গাণ্ড৷ আমাদের পেশ নহে। কিন্তু ইংলণ্ডের বহু সংবাদপত্রে তথাকার গবষ্মেন্টকে যেরূপ তিক্ত কটু ও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা ও গালাগালি দেওয়া হয়, ভারতবর্ষের কোন কাগজে অনেক বৎসর হইল তাহ করা হয় নাই ; তথাপি এদেশে সন্ত্রাসন আছে ও বিলাতে নাই কেন তাহার অমুসন্ধান কঃ। প্রকার। জুমদাররা বিদ্যালয়াদি স্থাপন দ্বারা অনেক বেকার লোককে কাজ দিতে পারেন, কিন্তু ডাহা করিবেন বলিয়া কেহ বলেন নাই। দেথা যাকু তাহদের কমিটি কি উপায় নিৰ্দ্ধারণ করেন। সামুয়েল সংগ্রসের লক্ষ টাকা দান প্রায় ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে পরলোকগত মি: সামুয়েল সভাগ অনেক টাকা দান করিয়া ধান । দীনের সর্বে অনেক জটিলতা ছিল। হাইকোর্ট দ্বারা তাঁহার মীমাংসার পর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এক লক্ষ টাকা পাইয়াছেন । এই টাকার আয় হইতে ইংরেজ স্কচ বা আইরিশ বংশজাত এংলো-ইণ্ডিয়ান বা ইউরেশিয়ান বালক-বালিকার কয়েক জন আই-এ বা আই-এসসি পাসের পর আইন, চিকিৎস বা এঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুল্য বৃত্তি পাইবে । দাতার নাতিনী ও তাহার পিতামাতার মৃত্যুর পর টাকাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে আসিবে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজের এই প্রথম দান। তাঁহা হইতে উপকার হিন্দু মুসলমান দেশী খ্ৰীষ্টানরা পাইবে না বটে, তথাপি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে এংলো-ইণ্ডিয়ানদের যে দৃষ্টি পড়িবে, ইহাও ভাল । মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস কৰ্ম্মী সম্মেলন অসহযোগ আন্দোলনের সময় মেদিনীপুর জেলার লোকদের কর্মিষ্ঠত, ত্যাগ, দুঃখবরণ ও দুঃখভোগ বিশেষ উল্লেখযোগ্য । সেই জন্য অসহযোগ-আন্দোলন এইক্ষণে স্থগিত হওয়ার পর ইহার কর্মিসম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলি অবধানযোগ্য। সম্মেলনে গৃহীত যোলটি প্রস্তাবের মধ্যে আমরা তিনটি নীচে উদ্ধৃষ্ট করিয়া দিতেছি । }