পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় বিবিধ প্রসঙ্গ—“আঙ্গর কথা রাখিয়াছি” BBÉ থা রাজনীতিকুশলতার পরিচায়ক মনে হইতেছে না। ট্যাশ্নদাতাদের পয়সায় ১১০০ মাহুষকে জেলে থাইতেপরিতে দেওয়াটা স্থায্য বা আবশ্বক ব্যয়ও মনে হইতেছে না। খান আবদুল গফফর খান, বল্লভভাই পটেল, জওআহরলাল নেহরুর মত কম্বেীরাও কংগ্রেসের অভিপ্রেত কাজ করাতে বা কথা বলাতেই কারারুদ্ধ হইয়াছেন। অতএব উহাদিগকেও ছাড়িয়া দেওয়া উচিত। আমরা যদি কংগ্রেসপন্থী হইতাম, তাঁহা হইলে এ সব মন্তব্য করতাম না। কংগ্রেস ও গবন্মেটি বিরোধী পক্ষ । এক পক্ষে অষ্ট্যের প্রতি সদয় বা সদাশয় কেন হইলেন না, বিরোধী কাহারও মূখে এরূপ প্রশ্ন বা তদনুযায়ী দাবি শোভ পায় না । - ভোলানাথ দত্তের কাগজের ব্যবসা ভোলানাথ দত্ত এও সন্সের কাগঞ্জের ব্যবসার প্রতিষ্ঠাতা পরলোকগত ভোলানাথ দত্তের দৃষ্টান্ত বাঙালী বাণিজার্থীদের পক্ষে উৎসাহজনক। তিনি অল্প বয়সে পিতৃহীন হইয়া একটি কাগজের দোকানে সামান্য বেতনে চাকরীতে ঢোকেন। পরে তাহাতে সন্তুষ্ট না থাকিয়৷ মতামহের নিকট হইতে প্রোপ্ত সম্পত্তি আট শত টাকায় বিক্ৰী করিয়া ঐ সামান্ত পুঁজি লইয়া কাগঞ্জের ব্যবসাতে প্রবৃত্ত হন। পরিশ্রম ও ব্যবসাবুদ্ধির ঞ্জোরে তিনি ব্যবসাটিকে বৃহৎ কারবারে পরিণত করিম রাপিয়া যান। উহার পুত্রের উহার আরও প্রবৃদ্ধি করিয়া চীনাবাজারে নিজস্ব বাড়িতে উহ, গত মাসে লইয় গিয়াছেন। ভোলানাথ দত্তের মত উদ্যোগী লোকের যদি ৮০০ টাকা পুজি না জুটিত, তাছা হইলেণ্ড ব্যবসার প্রতিষ্ঠা হইতে পারিত উন্নতিকামী সেইরূপ প্রকৃতির লোকের সামান্ত বেতন হইতেও টাকা বাচাইয় তাহার দ্বারাই ব্যবস চালাইয়া ধনী হইয়াছেন, এরূপ দৃষ্টান্ত বাঙালীদের মধ্যেও আছে। নৌসেনাপতি টোগো নৌসেনাপতি টোগে আধুনিক জাপানের একজন প্রধুন পুরুষ। রুশজাপান যুদ্ধে তাঁহারই রণদক্ষতায় বৃহৎ রুশ রণতরীসমষ্টি বিনষ্ট হইছিল। তাহার মৃত্যুতে সমুদয় জাপানী জাতি শোকে মগ্ন হুইয়াছে। টোগোর রণদক্ষত রুশজাপান যুদ্ধের সময় অনেক বাঙালীর এমন ভাল লাগিয়াছিল, যে কোন কোন বাঙালী শিশুর আদরের নাম হইয়াছিল টোগো ! স্থলযুদ্ধ ও আকাশযুদ্ধ শিক্ষার্থী ডেরাড়নের সময়-বিদ্যালয়ে ও ইলেণ্ডের_ক্রানওয়েলের আকাশযুদ্ধবিদ্যালয়ে প্রবেশাখীদের যে পরীক্ষা কিছুদিন পূৰ্ব্বে গৃহীত হইয়াছিল, তাহতে উত্তীর্ণ ভারতীয় যুবকদের মধ্যে এক জনও বাঙালী নাই । - _ —- বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার আয়ুবৃদ্ধি ? গুঞ্জব রুটিমাছে, যে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার এক বৎসর বা তাহারও বেণী সময় ভায়ু বাড়িবে। তাহা হইলে মালশীদেরও আধুবুদ্ধি হইবে—যদিও আয়ুবুদ্ধায় হুইবে না। কিন্তু তাদের অনেকের যাতায়াত-ব্যয় ও ভীতাদিতে ষড় খরচ হইবে, তাহাতে শত শত চাষী ও শ্রমিকের অন্ধের সংস্থান হটতে পরিত। কারণ, দেখিতেছি ১৯৩৩ সালে উহাদের ও জনের মধ্যে ৩৫ জন হাজার টাকার কম, ৩০ জন হাজারের উপর কিন্তু দুই হাঙ্গরের কম এবং তিন জন দুই হাজারের উপর টাকা ভাতা আদায় করিয়াছেন। যাতায়াত-ব্যয় ও ভাতার আধিক্য অনুসারে তঁহাদের কয়েক জনের নাম দিতেছি। চট্টগ্রামের হাজী বাদী আহমেদ চৌধুরী ২৯৪৭y-, নদীয়া কৃষ্ণনগরের খান বাহাদুর আজিঙ্গল হক ২২•৮৪২॥৩. বর্ধমান ধুন্ধরার খান বাহাদুর মুহম্মদ আবদুল মোমিন ২•৮০e, যশোরের বাবু অমূলধন রায় ১৯৩৭৫১০, চট্টগ্রামের মৌলবী স্বরল অবসর চৌধুরী ১৮৯৫ldc | বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার আয়ু বাড়িলে কেবল ৰে মালপীদেরই কুবিধা হুইবে তাঁহা নয়, সরকার বাহাদুরও নিজের আবশুকমত আরও আইন করাইয়া লইতে পরিবেন। বুদ্ধদেবের স্মারক সভা বুদ্ধদেবের স্মারক সভা যত জায়গায় স্থত হওয়া উচিত, তত ন হইলেও এখার কয়েক জায়গায় হইয়াছিল । কলিকাতার একটি সভায়ু মহামহোপাধ্যায় প্রমথনাথ তর্কভূষণ মহাশয় বলেন, পৃথিবীতে মাহুষের চেয়ে বড় কিছু নাই ; বুদ্ধদেব মানুষকে নিজের বুদ্ধির উপর—শাস্ত্রের উপর নহে–নির্ভর করিতে শিক্ষা দিয় তাহাকে স্বাসমনোভাব হইতে মুক্তি দিয়াছিলেন, ইহাই তাহার মহত্তম কীৰ্ত্তি । “আমরা কথা রাখিয়াছি” বোম্বাইয়ের ভূতপূৰ্ব্ব গবর্ণর স্যর ফ্রেডরিক লাইকুল famos o osm of mosa, “I feel we have kept faith with India. We may accordingly ask that India keeps faith with us” wif west of ico, আমরা ভারতবর্ষের সহিত বিশ্বাস রক্ষা করিয়াছি (অর্থাৎ বিশ্বাসভঙ্গ অঙ্গীকারভঙ্গ করি নাই। তামুলারে আম্বর চাহিতে পারি, যে, ভারতবর্ষও আমাদের সহিত বিশ্বাস বৃক্ষ করুক (অর্থাৎ অঙ্গীকার পালন করুক) " ইংরেজরা ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী, সম্রাঙ্গী ও সম্রাট হইতে আরম্ভ করিয়া বড়ছোট লাট প্রভৃতি পৰ্যন্ত ভারতবর্ষ সম্বন্ধে যাহা করিবার এবং ভারতীয়দিগকে যাহা দিবার প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন,