পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3Շ:Ն ১ঞ্চপ্রবাসী; ఎ98పె উৎপাত কোথায় দেখিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, পুরাণের কোন কথর একাধিক অর্থ থাকিলে তাহার সকলগুলিই গ্রহণীয়। পৌরাণিক বলিয়াছেন, পাতালসকলেরও নীচে সঙ্কর্ষণ অাছেন । সপ্ত পাতালের নিম্নতম প্রদেশের নামও পাতাল । ইহা ভারতবর্ষের সর্বদক্ষিণ অংশ । ইহারও দক্ষিণে ঋধিগণ অাগ্নেয়গিরি দেখিয়াছিলন । অনুমান হয়, বহু পুরাকাল হইতেই মলয়, যবদ্বীপ প্রভৃতি স্থান জানা ছিল । এই সকল প্রদেশে আগ্নেয়গিরি আছে । বায়ুপুরাণের ৪৮ম অধ্যায়ে ও ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ ৫২ম অধ্যায়ে বোৰ্ণিও, মলয় প্রভৃতি দ্বীপের অতি কৌতুহলোদ্দীপক বিবরণ আছে। বfণ দ্বীপবর্ষর অন্তর্গত বহু দ্বীপ আছে বলা হইয়াছে । অঙ্গদ্বীপ, যমদ্বীপ, মলয়দ্বীপ, শঙ্খ দ্বীপ, কুশদ্বীপ, বরাদ্বীপ প্রভৃতি নাম পাওয়া যায়। এই সকল দ্বীপে ম্লেচ্ছ প্রভৃতি জাতি বাস করে । আরও বলা হইয়াছে, তত্রস্থ প্রজ দীর্ঘশ্মশ্রীধরা ঝামো নীলা মেঘসমপ্রভt: | জাতমযাঃ প্রজাস্তর অশীতি পরমায়ুষঃ । শাখামৃগ সধৰ্ম্মণ: ফলমুল্লাশিনস্তথা। গোধৰ্ম্মাণে হনির্দিষ্টা: শৌচাচারবিবর্জিতা: | বায়ু । ৪৮ I ৮,৯ } অর্থাৎ তথায় প্রজা জন্মিবামাত্র দীর্ঘশ্মশ্রণেরণী, নীলমেঘকান্তি ও অশীতিবর্ষ পরমায়ুশল হয়। তাহারা বানরের স্তায় ফলমূলভোজী, গোধৰ্ম্মী—অর্থাৎ গম্যাগম্য বিচারহীন ও তাহাদের শৌচাচার বা নির্দিষ্ট আচার-ব্যবহার নাই । ব্রহ্মাও পুরাণেওঅনুরূপ শ্লোক আছে । কেবল "জাতমাত্রা: স্থানে ‘জানুমাত্রাঃ’ শব্দ আছে । জানু মাত্রা: অর্থে যাহাদের দেহ-পরিমাণ একজানু মাত্র। এই বিবরণ যে সুমাত্র প্রভৃতি দ্বীপের ওরাংউটাং সম্বন্ধে লিখিত সে-বিখয়ে সন্দেহ নাই। বৰ্হিণ দ্বীপপুঞ্জকে রত্বের ও চন্দনাদির আকর বলা হইয়াছে । এখন যেমন বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিজ্ঞানশাস্ত্রর অধ্যয়ন ও গবেষণায় নিযুক্ত থাকেন পুরাকালেও বিভিন্ন ঋষি সেইরূপ বিভিন্ন বিজ্ঞান আলোচনা ও পর্য্যবেক্ষণলব্ধ জ্ঞান আহরণ করিতেন । গৰ্গ সঙ্কর্ষণের আরাধনা করিয়া জ্যোতিঃশাস্ত্র ও নিমিত্তবিদ্য৷ অর্থাৎ প্রাকৃতিক বিপৰ্য্যয়ের পূৰ্ব্বলক্ষণ সমুহের জ্ঞানলাভ করেন। আধুনিক ভাষায় বলা যায়, গর্গ ভূকম্পবিৎ (seismologist ) ছিলেন । পুরাকালে ভারতে নানা বিজ্ঞানশাস্ত্র আলোচিত হইত তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। সঙ্কর্ষণ ধ্বংস-শক্তি বলিয়। রুদ্র বা রুদ্রের অবতার । পুরাণে সস্কর্ষণেরও অবতার কল্পিত হইয়াছে। ধুন্ধু নামক অসুর সঙ্কর্ষণের প্রথম অবতার ও কৃষ্ণভাত বলদেব, বলরাম বা বলভদ্র সঙ্কর্ষণের দ্বিতীয় অবতার। ধুন্ধু শব্দ ধুম হইতে নিম্পন্ন । ধু ধাতুর অর্থ কম্পন। সঙ্কর্ষণের অবতারের সহিত ধূম ও কম্পনের সম্বন্ধ বিচিত্র নহে। বলরাম ধ্বংসকারী প্রবল যোদ্ধা ছিলেন, হল বা লাঙ্গল তাহার অস্ত্র ছিল । কীৰ্ত্তি সাদৃশ্যে হলধর বলরাম, হলধর সন্ধর্ষণের অবতার হইলেন । বলরামের পরবর্তীকালে ঘেসকল ভূমিকম্প হইয়াছে তাহাও বলরামের কীৰ্ত্তি বলিয়া কথিত হইয়াছে। বলরামের বহুকাল পূৰ্ব্বে এক ভূমিকম্প হয়। ইহার উল্লেখ পুরাণে আছে ; এই ভূমিকম্প ধুন্ধর কীৰ্ত্তি । বিষ্ণুপুরাণ চতুর্থাংশ দ্বিতীয় অধ্যায় ত্রয়োদশ শ্লোকে বলিতেছেন, ইক্ষ,াকু-বংশীয় বৃহদশ্বের পুত্র কুবলয়াশ্ব মহর্ষি উতঙ্কের উপকারার্থে একবিংশতি সহস্র পুত্রে পরিবৃত হইয়া বৈষ্ণব তেজপ্রভাবে ধুন্ধু নামক অসুরকে বধ করিয়া ধুন্ধুমার নাম প্রাপ্ত হন । তাহার সমস্ত পুত্রগণ ধুন্ধু-মুখনিঃশ্বাসজনিত অগ্নিতে দগ্ধ হইয়া বিনষ্ট হন কেবল তিন পুত্র অবশিষ্ট থাকে । বিষ্ণুপুরাণের বিবরণ পড়িয়া সন্দেহ হয় যে কুবলয়শ্বের ২১০০০ প্রজা বা সেন। ভূমিকম্পে মৃত্যুমুখে পতিত হয় । বায়ুপুরাণে এই ঘটনার বিশদ বিবরণ আছে । বায়ুর অষ্টাশতিতম অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে, বৃহদশ্ব বাণপ্রস্থ অবলম্বনে উদ্যত হইলে মহর্ষি উতঙ্ক তাহাকে বলিলেন “হে ভূপতে, আমার আশ্রমের সমীপে এক বালুকাপুর্ণ সমুদ্র অর্থাৎ মরুভূমি আছে ; সেখানে দেবতাদিগেরও অবধ্য মহাকায় মহাবল ক্রুর ধুন্ধু নামক মনুতনয় শত শত লোক বিনাশের জন্ত অন্তভূমিগত হইয় অর্থাৎ মৃত্তিকানিম্নে বালুকায় অস্তৰ্হিত থাকিয়া মুদারুণ তপ করিতেছে । সম্বৎসর শেষে সে যখন নিঃশ্বাস ত্যাগ করে, তখন সকাননা মহী কম্পিত হয় ও মহান রজ উখিত হইয়া আদিত্য পথ অবরোধ করে, তখন