পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ সপ্তাহকালব্যাপী ভূমিকম্প হইতে থাকে ও প্রদীপ্ত অগ্নিফলিঙ্গস দারুণ ধুম নির্গত হয় ।” ধুন্ধর অত্যাচার নিবারণের জন্ত বৃহদশ্ব স্বীয় তনয় কুবলয়াশ্বকে আজ্ঞ। দিলেন । কুবলয়াশ্ব ২১০০০ পুত্রসঙ্গ তথায় যাইয়। বালুকার্ণব থান করিতে আরম্ভ করিলেন, কিন্তু পশ্চিমদিক শ্রিত ধুন্ধর মুখ হইতে অTল নির্গত চষ্টয় সকলকে উণ্টাইরা ফেলিতে লাগিল এবং মহোদধি চন্দোদয়ে যেরূপ চঞ্চল হয়, তদ্রুপ প্লবমান জলরাশি প্রবাচিত হইল । তিন জল ব্যতীত সমস্ত কুবলয়াশ্ব সস্থান ধুঞ্জ কর্তৃক বিনষ্ট হইয় গেল । তথম কুবলয় শ্ব যোগবলে সেই জলদ্বার, অগ্নি নিৰ্ব্বাপিত করিম, সমস্ত জল পান করিয়া ফেলিলেন এবং ধুন্ধুকে f:বস্ত করিলেন । অনুমান হয়, কুবলয়াশ্ব ২১০০০ লোক লক্টর ভূকম্প-পীড়িত স্থানে উদ্ধারক র্য্যে বাপৃত ছিলেন । এই জন্যই তিনি বালুকার্ণব খনন করিতেছিলেন । সেই সমগ্ৰ পুনরায় ভূকম্প ও তজ্জনিত জলপ্লাবনে সমুদায় ব্যক্তি মৃত্যুমুখে পতিত চয় । গত বিচারের ভূমিকম্পের মত এই ভূমিকম্পেও জলরাশি উত্থিত হইয়াছিল, অধিকন্তু মুক্তিকগভ হইতে ধুম ও অগ্নি নির্গত হইয়াছিল । পুরাণ পাঠ কবিলে অনুমান চয় লে উতঙ্কের আশ্রম সিন্ধুদেশে ছিল । সিন্ধাদেশে অনেক ব্যর প্রলয়ঙ্কর ভূমিকম্প হইয়াছে । শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যুর কিছুকাল পরে নিকটবৰ্ত্তী দ্বারক নগরী সমুদ্রগর্ভে চলিয়া যায়। ইগও ভূমিকম্পের ফল বলিয়। মনে হয় । ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে কচ্ছ প্রদেশের ২০০০ বর্গমাইল পরিমিত স্থান সমুদ্রগর্ভে লুপ্ত হয় ও প্রায় ৫০ মাইল দীর্ঘ ও দশ মাইল প্রস্থভূমি দশ ফুট উচ্ছিত হয় । সিন্ধুপ্রদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ । উতঙ্ক বলিয়াছিলেন, সংবৎসরান্তে ধুন্ধ অত্যাচার করে । কুবলয়শ্বের রাজত্বকাল* ৩৬০০ খ্ৰীঃপূঃ । অন্তস্ত্র তারিখের প্রেমাণ আলোচনা করিয়াছি । ইতার পূর্বের কোন ভূমিকম্পের প্রামাণিক লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় না । পুরাণে কথিত হইয়াছে, একদা বলরাম বৃন্দাবনে

  • এই প্রবক্ষে পুরাণোক্ত প্রাচীন ঘটনার যে সকল তারিখ দিয়াছি তাহার একটিও কাল্পনিক সহে । পুরাণে মন্বন্তর নির্দেশ অর্থাৎ কাল-নির্দেশ আছে। এই নির্দেশ সম্পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্য । DYB DDBBSBBB BBBB BBBSB BBB BBDB S

جستاست. وی ع পুরাণে প্রাকৃতিক বিপৰ্য্যন্ন 8位气 মদিরাপ নে বিহবল ও ঘৰ্ম্মত্ত হইয়া স্নান করিতে ইচ্ছুক হইলেন । তিনি যমুনার উদ্দেশে বলিলেন, “হে যমুনে, তুমি এই স্থলে আগমন কর’, কিন্তু বলভদ্রের মত্ততাপ্রস্থত বাক্যের অবমাননা করিয়া নদী যমুনা সেই স্থানে যাইলেন না । তখন লাঙ্গলী কুদ্ধ হইয়া লাঙ্গল গ্রহণ করিলেন এবং তদ্বারা যমুনাকে আকর্ষণ করিতে করিতে বলিলেন—“রে পাপে, তুমি আসিবে না, আসিবে না বটে f এখন নিজ ইচ্ছায় গমন কর দেখি ।” বলভদ্র কর্তৃক আকৃষ্ট হইয়া নদী বলভদ্র যে-বনে ছিলেন তাহা প্লাবিত করিল। তখন যমুনা মূৰ্ত্তিমতী হইয়া বলিলেন, “হে মুঘলায়ু, আমাকে পরিত্যাগ কর।” বলভদ্র তাহাকে ছাড়িয়া দিলেন । অনস্তর কাস্তিদেবী বলভদ্রকে অবতংসোৎপল এক কুণ্ডল ও দুইটি নীল বস্ত্র দিলেন । তথন কৃত।বতংস চারুকুণ্ডলভূষিত, নীলাম্বর ও মালাধারী বলভদ্র কান্তিযুক্ত হইয় অতিশয় শোভা পাইতে লাগিলেন ৷ বিষ্ণু ৫ । ২৫ বলভদ্ৰ পূৰ্ব্ববর্ণিত সঙ্কর্ষণের ন্তায় নীলবাস, এক কুণ্ডল, মালা, মুঘল ও হলধারী। তিনিও মদ্যমূর্ণিতলোচন | পাছে কেহ বলভদ্রের কাহিনীর প্রকৃত অর্থ না বুঝিতে পারে এই জন্ত পুরাণকার এই-সকল ইঙ্গিত করিলেন । অন্তত্র পুরাণে স্পষ্টই উক্ত হইয়াছে যে বলভদ্র সঙ্কর্ষণের অবতার। বুঝা যাইতেছে ভূমিকম্পের ফলে যমুনার গতি পরিবর্তিত হইয়াছিল । এই ভূমিকম্পের পূৰ্ব্বে বৃন্দাবন যমুনা হইতে বহুদুরে অবস্থিত ছিল । বিষ্ণুপুরাণ পঞ্চমাংশ অষ্টাদশ অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে যে কংস কর্তৃক প্রেরিত হইয়া অক্ৰুৱ বৃন্দাবন হইতে কৃষ্ণ ও বলরামকে সঙ্গে লইয়। মথুরায় গিয়াছিলেন । বিমল প্রভাতে অজুর, কৃষ্ণ ও বলরাম অতি বেগবান অশ্বসমূহযুক্ত রথারোহণে যাত্রা করিলেন । মধ্যাহ-সময়ে তাহারা যমুনাতটে উপস্থিত হইলেন । তথায় স্নানাদি সারিয়া পুনরায় রথারোহণ করিলেন । অক্রুর বায়ুবেগবান অশ্বগণকে অতি দ্রুত চালাইতে লাগিলেন । অতিসায়াহ্নে অর্থাৎ সায়াহ অতীত হইলে তাহারা মথুরা পৌছিলেন । বেগবান অশ্বযুক্ত রথ ঘণ্টায় সাত আট মাইল যাইতে পারে। এই হিসাবে বৃন্দাবন হইতে যমুনার দূরত্ব চল্লিশ মাইল আন্দাজ হয় । যথুর আরও চল্লিশ