পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ । শ্যামঙ্গঙ্কণী মিশাইয়। সুধা বলিঙ্গ—“তুমি ত বলবেই। আমি কিন্তু অমণ দস্তি ছিঙ্গাম না বাপু, কক্ষনই না । আমায় ত নাজেহাল ক’রে দিয়েচে । সামলান কি সোজা ?” ভাজ ততক্ষণ খোকাকে লইয়াছে। একটু একাস্তে yেট টিপিয়া বলিল—“একটিতেই ?” ননদ-ভাজের মধ্যে এক ধরণের চোখোচোথি হইয়। গেল । শৈল খোকার দিকে হাত বাড়াইয়। বলিল—“দtও আমার কোলে বেীদি, আমি ত ম{সী হই ?” থোকাকে দিয়া বৌদিদি হাসিয়। বলিল—“স্থfl, ক্ষুদে-যাসী ।” সুধাও হাসিয়া উঠিল । ছোট ভাই-পো মন্তু মীর পেছনে, আঁচল টানিয়া দিয়। অপ্রতিভ ভাবে দাড়াইয় ছিল, আর পিসীর সহিত পটের গণেশ-জননীর সাদৃশ পূজিয়া হয়রাণ হইতেছিল ; হুধা তাহীকে কোলে লইবার চেষ্টা করিয়া বলিল—“হঁ্যারে খোকা, পিসীকে ভুলে গেলি ? ... দেথচ মা ছেলের বেইমামি ?—আর এই পিসি এক দণ্ড না হ’লে চলত লা: P' মন্তু ছুটিয়। পলাইয়৷ শৈলর পাশে গিয়া দাড়াইল এবং মাইতে ঘাইতে শিশুর দিকে চাহিয়া, নিজের মনোগত সমস্ত বি একট মীমাংসা করিয়া লইয়। বলিল—“খোকা ঠিক পটের গণেশের মত মোট হয়েচে, ন, মেজপিসী ?” থোকার মাসী চোথ দুইটা কপালে তুলিয়া দাড়াইয় পড়িল, মার পানে চাহিয়, ভীতস্বরে বলিয়া উঠিল—“শুনলে ম.r—খোক। নাকি গণেশের মত মোট হয়েচে l---এই বেম্পতিবারের বারবেল ছেলেটাকে খুড়লে –ষাট, বাট---” তাহার রকমখান দেখিয়া মা, সুধা, বৌদিদি, তিন জনেই চাসিয়া উঠিল । হুধা বলিল—“রোববারের সকাল একেবারে বেশপতি বারের বারবেলা হ’য়ে গেল ! ঠিক সেইরকম গিল্পী আছে শৈলী, না মা ?—বরং আরও বেড়েচে ।” বৌদিদি হাসিয়া বলিল—“তোমার জায়গা দখল করেচে ; বাড়িতে একটি থাকা, চাই ত, নইলে গরু, বেরাপ, পায়রা—এদের সংসার কে দেখবে বল ?” দুই বৎসর পূৰ্ব্বে পর্যন্ত সেই ব্যাপারই ছিল । আজ শে-কথা টঙ্কশ্ব একটু লজ্জা করিয়া আসিল বটে, কিন্তু پس از ت: সুধা আগ্রহটাও দমন করিতে পারিল না ; জিজ্ঞাসা করিল—“পীয়রাগুলো বিদেয় ক’রে দিয়েচ নাকি মা ? পুসীটার এবারে কটা ছানা হ’ল ? আর শু মঙ্গী ?— তার বাছুরটা কেমন হ’ল ?•••যাক, একটা সাধ মিটবে এবার, শ্রামলীর দুধ থেয়ে যাব । ভাবতেও কি রকম হয়, ন। মা ?—এই সেদিনকার শুfমঙ্গী, এতটুকু বাছুর, বাড়ি এল—সি দুর, হলুদ দিয়ে গোয়ালে তোলা হ’ল, আর আজ তার নিজেরই বাছুর l.” ৰৌদিদি যেন ওৎ পাতিয়া ননদের কথাগুলি শুনিতেছিল, এই পৰ্যন্ত আসিলে একটু অর্থপূর্ণ হাস্তের সহিত সংক্ষেপে বলিল—“ওই রকমই ত হয় ।” ফাড়িতে আসিয়া পড়িয়াছে । প্রবেশ করিতে করিতে সুধা আব্দারে-নালিশের সুরে বলিল—“দেখচো মা বৌদিকে ?” অল্পক্ষণ পরেই শ্বশুরবাড়ির বউমানুষের ভাব অরি মাতৃত্বের গাম্ভীৰ্য্য যাহ একটু লাগিয়া ছিল, সুধার দেহ-মন থেকে একেবারে অপস্থত হইয়। গেন্স । জামা কাপড় ছাড়, বাক্সপত্তর গোছান সব ভুলিয় সে খুরিয়া ঘুরিয়া পুণীটাকে প্রথমে তল্লাস করিয়া বাহির করিল, এক অজিলা চলি উঠানের মাঝখানে ছড়াইয়া দিতেই পায়রাণ্ডন্সে বী কে বাঁকে নামিয়া বকবকম আওয়াজ করিয়৷ ভোজের মধ্যে সংস্কৃত-উদগরী পণ্ডিতদের মত এক মহাসমারোহ লাগাইয়া দিল । সুধা তাহাদের সামনে রকে পা ছড়াইয়া বসিয়া পুসীকে কোলে চাপড়াইতে চাপড়াইতে সুর করিয়া ছড়া কাটিতেছিল— ‘সারা ভারত ষাড়ি বাড়ি ষষ্ঠীঠাকুর ব’য়ে একেবারেই হ’ল পুসীর সাতটি ছেলেমেয়ে, বর দাড়ান্স শাপে গিয়ে, অন্ন দেওয়া ভার••• এমন সময় বোনপোকে পাড়ায় একটু টহল দেওয়াইয়া শৈল আসিয়া উপস্থিত হইল, পেছনে পেছনে দুটি বেরালছান । সুধার কাছে পরিচয় করাইয় দিল—“পুসীর ছানা ; একটি শেয়ালের পেটে গেছে ; তবুও কি একবার ঘুরে দেখে ? মুয়ে আগুন মায়ের, ওঁকে আর আদর ক'রে না, দু-চক্ষের বিব ! ম-ষষ্ঠী কি দেখে যে ওকে দেন অতগুলি ক’রে ।---স্থ্যা দিদি, এই ছেলে হ’ল তোমার জষ্ট, ” / Af A.