পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; প্রবাসী سوsav কোণে শুমলীর গল। জড়াইয়া আদর করিতেছিল— “শামূলী শুমলী শুমলরাণী, তুমি আর কারুর নয় সোনামণি---” শু্যামলী তাহার সমস্ত পিঠথানি চাটিয়া-চাটিয়া বোধ হয় জানাইতেছিল—ন, আমি আর কাহারই নয়, একান্ত তোমারই••• - এমন সময় মা আলিয়া বলিয়া উঠিলেন---“দেখ কাণ্ডখান ! সমস্ত পাড়া তোলপাড় ক’রে ম’রচি, আর মেয়ে কিন পাদাড়ের মধ্যে গরুর সঙ্গে সোহাগে বস্ত !• • • তোকে না আজকে দেখতে আসবে, সুধী ?--•গা মাজতে হবে না, চুল বাধতে হবে না ?-“চ’লে আয় শগির ” দেখিতে আসিলেন মাঝের পাড়ার সাব-রেজিষ্ট্রারবাবু, নাম জগবন্ধু রায় । বিদেশী লোক, মেদিনীপুরে বাড়ি, কার্যোপলক্ষে বদলি হইয় এখানে বছর দুই-তিন আছেন । ছেলেটি এখানে থাড ক্লাসে পড়ে ; বছর তেরো বয়স হইবে । জগবন্ধুবাবু একটু বাহিরের খবরাখবর রাখেন এবং প্রত্যেক বিষয়ই যুক্তিতর্কের শেষ সীমানা পৰ্য্যন্ত ঠেলিয়া তুলিয়। অনুধাবন করেন । ছেলে র্তাহার একটু ছেলেমান্নয, কিন্তু এর পরেই ত সেই আঠার । অনেক জায়গায় আবার মিটিং করিয়া ইণকাহাকি করিতেছে—ছেলেদের বাস করা হোক বাইশ চব্বিশ-“এক মিস, মেয়ে আসিয়াই এই ব্যাপার ;•••ইতিমধ্যে যদি আর একটি আসিয় পড়ে ত চক্ষুস্থির 1 ছেলেদের বয়স ষে কোথায় গিয়া ঠেকিবে কে জানে ? বিবাহ জিনিযটাই থাকিলে হয় ; বোধ হয় বৈদিক বিবাহপদ্ধতি উঠিয়া গিয়া সিভিল ম্যারেজের ধুম পড়িয়া যাইবে । শেযকালে চল্লিশ বছরের বুড়ে ছেলে লাভ, করিয়া কেটে বিবাহঃরেজেষ্টারক রিয়া কাহাকে ঘরে তুলিবে কে বলিতে পারে ? এখন একটু ভুলের জন্ত শেযকালে জাতকুল সব যাক, আর কি--- মেয়ে খুব পছন্দ। আশীৰ্ব্বাদও হইয় গেল এবং খুব কাছাকাছি একটা দিন স্থির করিয়া জোগাড়-যন্ত্র আরম্ভ হইয় গেল । সুধার মনটা ভাল নাই। যতদূর জানা আছে বিবাহ জিনিযটা মন্দ নয়, কিন্তু ভাবনার কথা এই যে, শুiমলীকে ছাড়িয়া যাইতেই হইবে। আণীৰ্ব্বাদের পরদিন সকালবেলা সই আসিয়াfইল ; সুধার মেজাজের জন্ত খেলা জমে নাই ! যাওয়ার সময় মুখ ভার করিয়া বলিয়া গেছে—“আচ্ছ লো, আমারও একদিন বিয়ে হবে, তখন দেখে নেব ।” সুধ, শু্যামলীর জন্ত মনমরা হইয়া ঘাস ছিড়িতেছিল, নিমাই আসিয়া বলিল—“ওগাঁ শুনচ ?” ঘাড় বাকাইয়া শাসনের ভঙ্গীতে সুধা বলিল— “তোমার বুদ্ধিমুদ্ধি ক’বে হবে নিমুদ। " নিমাই ভড়কাইয়া গিয়া প্রশ্ন করিল—“কেন র্যা r--- আমায় আর ওরকম করে ডক চলে তোমার ?” নিমাই সব কথা শুনিল ; শেষের দিকে পত্রের পরিচয় পাইয়া উৎফুল্ল হইয়া বলিয়া উঠিল—“চমৎকার হবে--- সে ত হরিহর, আমাদের স্কুলে থার্ড ক্লাসে পড়ে, আমি খুব জানি তাকে । মাইরি বলচি বেশ হবে ভাই।” হুধা মুখ গম্ভীর করিয়া বলিল—“তোমাদর ত খুব ফুৰ্ত্তি ; আমার মনে যে কি হচ্চে:--” নিমাই কোন রোমান্সের গন্ধ পাইল কি-না সে-ই জানে, মাঝখানেই ব্যস্তভাবে জিজ্ঞস করিল—“কেন র্য, সুধী ?” “বাছুরটার কথা ভাবছ ? আমি শামূলীকে ছেড়ে থাকতে পারব ? আর আমায় ছেড়ে শামূলীই বাচবে ?” —কথাটা বলিয়া ফুলালের দিকে সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে চাহিতেই ঠোঁট ছুটি কঁপিয়া উঠিল, চক্ষুর ফুল ছাশিয় ফু-ফোট জল জমির উঠিল। নিমাই হাত দিয়া মুম্বাইয়া দিয়া বলিল—“কদিসু নি স্বী ; খুড়ীমাকে ব’লব আমি ।” এর পর শাস্তভাবে চিন্তা করিয়া দেখা গেল—খুড়ীমাকে বলাও চলে না, আর ওসব উপায়ে কাজও হইবে না f ক্রমাগতই দু-জনে পরামর্শ হইতে লাগিল —বাগানের ঝোপঝাড়ের মধ্যে বসিয়া, গোয়াল ঘরের কোণে, সন্ধ্যার সময় পুকুরঘাটের ভাঙা রাণার নীচে ।•••••• খেলা হয় না ; ননী, সই আমল পায় না ; সই ঘাইবার সময় নাক কু"চক ইয়া বলে—“বিয়ের ক’নের অভ বেটাছেলে-ঘে"স! হওয়া ভাল নয় লে,—এই শাস্ত্রধক্য • • • • • • مeas fasrra"چ