পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ළු8 বুদ্ধের ধৰ্ম্মে অবিচলিত বিশ্বাস থাকে তবে এই শাথ নিজে নিজেই বিচ্ছিন্ন হইয়৷ এই সোনার পাত্রে আসিয়া পড়ুক ” তৎক্ষণাৎ শাখা, যেখানে সিন্দুরের দাগ টানা ছিল, সেখানে বিচ্ছিন্ন হইয়া সুগন্ধ তৈলে পূর্ণ পাত্রে আসিয়া পড়িল । সিংহ পোকুন-মিহিনতাল অশোক এই অলৌকিক কাণ্ড দেখিয়া আনন্দে চীৎকার করিয়া উঠিলেন ; সমবেত জনমণ্ডলীও আনন্দের প্রতিধ্বনি করিল। ভিক্ষুগণ সাধু সাধু উচ্চারণ করিয়া হর্ষ প্রকাশ করিল। চারিদিকে নানা প্রকার গীতবাদ্য ধ্বনিত হইল । স্বর্গে, মর্ত্যে, পাতালে, দেবতা, যক্ষ, রক্ষ, দেবযোনি, ভূত, প্রেত, পশু, পক্ষী, কীট পতঙ্গ সকল প্রাণীর শব্দে সকল বিশ্ব নিনাদিত হইল । তাঁর সঙ্গে প্রকৃতিও যোগ দিল, ভূমিকম্প—সব মিলিয়া যেন তুমুল প্রলমুকাও ! রাজবংশের অনেকের উপর এই শাখার ভার দিয়া পোতের উপর তুলিম দেওম্ব হইল । সম্রাট অশোক গঙ্গাপথে এই সঙ্গে সমুদ্রসঙ্গম অবধি অঙ্কগমন করিম পোত হইতে অবতরণ করিলেন । তারপর তিনি উপরের দিকে হাত তুলিয়া তীরে দাড়াইয়া রহিলেন ; বোধিবৃক্ষের শাখার ఏ98S বিদায়জনিত শোকে অধীর হইয় গভীর আবেগে অশ্র বর্ষণ করিতে লাগিলেন, অবশেষে অশাস্ত হৃদয়ে ক্ৰন্দন করিতে করিতে রাজধানীতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। বহুদিন সমুদ্রযাত্রার পর সিংহলের তীরে পোত উপস্থিত হইল । তিসস এক প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া বোধিবৃক্ষের শাখার অভ্যর্থনার জন্য সমুদ্রতীরে বাস করিতেছিলেন। সমুদ্রপোত দেখিয়া বলিয়া উঠিলেন, “বুদ্ধ যে-বুক্ষের নীচে নিৰ্ব্বাণলাভ করিয়াছিলেন, সেই বৃক্ষের শাখা আসিতেছে .” তিস্স অধীর হইয়া সমুদ্রজলে নামিলেন এবং গলাজলে দাড়াই লেন । ষোল জন বিভিন্ন জাতির লোকদের দ্বারা শাখাকে পোত হইতে নামাই য়ু, এক সুরম্য রথে স্থাপন করিলেন । পথে পরিষ্কার শাদ বালি ছড়ান ছিল । চোঁদ দিন চলার পর রথ অনুরাধাপুরে প্রবেশ করিল। পতাকা ও তোরণে পথ সাজান ছিল । দিনের শেষে ছায়া ধখন দীর্ঘ, তখন এই শোভাযাত্রা মহামেঘ উদ্যানে থামিল । স্বর্ণপাত্র রথ হইতে নামান হইলে শাখা মুহূর্তের মধ্যে ৮০ হাত উদ্ধে উঠিয়া গেল এবং স্থির হইয়া দাড়াইয়া রহিল, ছয় রঙের জ্যোতি প্রকাশ পাইল । পৃথিবী আলোকিত করিয়া সে দীপ্তি স্বৰ্গ পর্যস্ত পৌছিয়ছিল ; সমুদ্রের ভিতরে স্বয ডুবিয়া যাওয়া পৰ্য্যস্ত সে আলোক প্রকাশিত ছিল । বোধিবৃক্ষ (অনুরাধাপুর ) রোহিণী নক্ষত্রে বৃক্ষশাখা পুনরায় স্বর্ণপাত্রে প্রবেশ করিল এবং বৃক্ষ মূল পাত্রের উপরে উঠিয়া মাটির দিকে চলিল, স্বর্ণপাত্রসমেত মূল মাটির ভিতর প্রবেশ করিল। সকলে তখন ফুল ও নানাবিধ উপাদানে বৃক্ষকে পূজা করিল ! গভীর ধারায় আকাশ হইতে বৃষ্টি নামিল এবং ঘনশীতল