পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3tx=R "প্রেবাসীস্ট ఏ08ు যে ঘটনাবলী দ্বারা বৈজ্ঞানিকের পূর্ব ধারণার আমূল পরিবর্তন হইল তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই— একটি কাচের গোলক প্রায় বায়ুশূন্ত করিম তাহার মধ্যে তড়িৎ চালাইয়া জে, জে, টমসন ঐ গোলকমধ্যে কতকগুলি ক্ষুদ্র কণিকার সন্ধান পাইলেন যাহার এটম অপেক্ষাও ছোট ; এই ক্ষুদ্র কণিকার নাম দেওয়া হইল ইলেক্ট্রন’ । বিভিন্ন পরীক্ষ হইতে এই ইলেক্ট্রনের ওজন মাপ হইল ; দেখা গেল এই ইলেকট্রনের ওজন, সব-চেয়ে হাস্ক ধে হাইড্রোজেন এটম, সেই হাইড্রোজেন এটমের ভাগের এক ভাগ মাত্র । একটি সোনার এটম একটি সীসার এটম হইতে পৃথক, কিন্তু দেখা গেল যে এই ইলেক্ট্রন—তা সে সোনা, সীসা বা যেকোন পদার্থ হইতে আম্বক না কেন--ইহারা হুবহু এক । এই ইলেক্ট্রন সম্বন্ধে অনেক পরীক্ষা চলিতে লাগিল, জানা গেল যে প্রতি ইলেক্ট্রন তড়িংযুক্ত এবং সেই তড়িৎ বিয়োগ-তড়িৎ । আরও দেখা গেল যে নানান প্রক্রিয়ায় পদার্থ হইতে ইলেক্ট্রন বাহির করা যায় ; খুব বেশী কিছু নয়, খানিকট গরম করিলেই পদার্থ হইতে ইলেকট্রন বাহির হইতে থাকে। সুতরাং দাড়াইল এই, পদার্থকে ভাঙিতে ভাঙিতে এটমে পৌছান যায়, কিন্তু এটমকে ভাঙা যায় ন – ডালটমের এ মত আর টিকিল না ; এটম হইতে পাওয়া গেল ইলেক্ট্রন, এটমের তুলনায় খুব ছোট ও হাল্ক ; তাহার পর যে-রকমের বাড়ি হউক না কেন ভাঙিলে যেমন পাওয়া যায় একই রকমের কতকগুলি ইট, তেমনি খে-এটমই হউক ন। কেন, তাকে ভাঙিলে পাওয়া যাইবে একই রকমের ইলেক্ট্রন। একটা বাড়ি আর একটা বাড়ি হইতে অবশ্য তফাৎ, কারণ ইটের সংখ্য সমান নয় আর সাজানোর ধারাও পৃথক; সেই রকম একট। এটম আর একট। এটম হইতে পৃথক, কারণ উভয়ের ইলেকট্রনগুলির সংখ্যাr৪ সাজান সমান নয়। কিন্তু একটা গোলের কথা দাড়াইল । এটম-র তড়িৎশূণ্য অথচ এটমের উপাদান ইলেকট্রন হুইল বিয়োগ-তড়িংযুক্ত । অতএব এটমের মধ্যে আ:ছ আরও কিছু যাহাতে আছে সমপরিমাণ সংযোগ-তড়িৎ । কোথায় কি ভাবে আছে এই সংযোগ-তড়িৎ ? জে, জে, টম্সন বলিলেন, একথান কেকের মধ্যে যেমন কিসমিস ছড়াইয় থাকে সেই রকম У tr8 o থানিকট সংযোগ-তড়িতের মধ্যে বিয়োগ-তড়িৎযুক্ত ইলেকট্রনরা ছড়াইয়া আছে। জে, জে, টমসনের এ-মত কিন্তু -টিকিল না ; শেষ অবধি জয়যুক্ত হইল রদারফোর্ডের সিদ্ধান্ত । রদারফোর্ড বলিলেন যে এই এটম একটি ক্ষুদ্র সৌরজগৎসদৃশ স্বধকে বেষ্টন করিয়া যেমন পৃথিবী আদি গ্ৰহগণ ঘুরিতেছে, তেমনি কেন্দ্রস্থিত সংযোগ-তড়িংকে বেষ্টন করিয়া ইলেক্ট্রনরা ঘুরিতেছে । সংযোগ-তড়িৎযুক্ত এই কেন্দ্রীয় অংশের নাম দেওয়া হইল প্রোটন। রদারফোর্ডের এই তথ্য নানান দিক দিয়া নানান রকমে যাচাই হইতে লাগিল এবং সব পরীক্ষা হইতে রদারফোর্ডের মতই প্রতিষ্ঠিত হইল। চোখে দেখা যায় না যে ক্ষুদ্র একটি এটম সেই এটমের ভিতরের অনেক খবর বিজ্ঞান টানিয়া বাহির করিতে লাগিল। সে-সব কথা যাক ; এখন বিভিন্ন এটমের গঠন এইরূপ দাড়াইল। প্রত্যেক এটমে যতগুলি ইলেকট্রন আছে –নিশ্চয় ততগুলিই প্রোটন আছে, যেহেতু এটম-র তড়িৎশূন্ত। হাইড্রোজেনে আছে এক জোড় ইলেকট্রন প্রোটন, হিলিয়মে চারি জোড়, অক্সিজেনে যোল জোড়, এবং সব চেয়ে ভারি যে ইউরেনিয়ম এটম তাহীতে ২৩৮ জোড়। এইরূপ হিসাব যদি হয় ত ঘুরিয়া ফিরিয়৷ শতাধিক বর্ষের পূর্বের প্রাউটের কথাই ত আসিয় পড়ে, তাহা হইলে এই দাড়ায় যে হাইড্রোজেন এটমের ওজন এক ধরিলে অন্য কোন এটমের আণবিক ওজনে কোন ভগ্নাংশ থাকিতে পারে না। থাকিতে পারে না, কিন্তু আছে যে ! আগেকার ক্লোরিণের কথাই ধরা যাউক । ক্লোরিণে আড়ে হয় ৩৫ জোড় ইলেক্ট্রন-প্রোটন, না-হয় ৩৬ জোড়, সাছে ৩৫ বা পৌনে ৩৬ বা কোন ভাঙাচোরা জোড় ত হইতে পারে না ; এখন ৩৫ জোড় যদি থাকে ত উহার অ{ণবিক ওজন হইবে ৩৫, আর ৩৬ জোড় থাকিলে ওজন হুইবে ৩৬ ; কিন্তু রাসায়নিক দেখিয়াছেন উহা ৩৫ও নয়, ৩৬৪ নয়, ৩৫ আর একটি জটিল ভগ্নাংশ । প্রাউট যাহার মীমাংসা করিতে পারেন নাই এখন সেই সমস্যাই ত অমীমাংসিত ভাবে উপস্থিত। কিন্তু এবার একটা মীমাংসা হইল, ইনিশ্চিত ভাবেই হইল । ব্যাপারটা দাড়াল এইরূপ । মনে করা যাউক একটি কাচের গেলেকে খুব অল্প পরিমাণ একটু গ্যাস আছে ; সে গ্যাসটার নাম আমরা জানি না,