পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ു.** : 25য়বগ আফ্রিকার نتيجعة متجهة নিগ্রে। শিল্প 3ఫిగి দৈনন্দিন সংগ্রহ। এই সংগ্রহের অভাবে রাজার ঐশ্বৰ্য্যও ফুরিমে যায়, অতীতের সাহিত্যিক মহিম বৰ্ত্তমানের সাহিত্যকে বঁচিয়ে রাখতে কোনমতেই সক্ষম হয় না। সাহিত্যের বাইরের দিকটার কথা বলতে গিয়ে বর্তমান যুগের কোন বিখ্যাত শিল্পাচার্য্যের শিল্প সম্বন্ধে ব্যবহৃত একটি উপম৷ দিব। অন্যতম স্বকুমার শিল্পহিসাবে সাহিত্য সম্বন্ধেও তাহার কথাটি খাটে । “সাহিত্য একটি সাত ঘোড়ার রথ, রথী যদি দক্ষ সারথির হতে রাশ দিতে পারেন, তবে ঘোড়াগুলি পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা ক’রে নির্দিষ্ট পথে রথকে নিয়ে যায়।” স্থসমঞ্জস পরিকল্পনা, ভাবের ঐশ্বৰ্য্য, রচনার সৌষ্ঠব, শব্দ-নিৰ্ব্বাচনে স্থষমার জ্ঞান, ব্যাকরণবোধ, উপযুক্ত স্থানে চলবার এবং থামবার মাত্রাজ্ঞান এবং সমস্ত রচনাকে উজ্জীবিত করবার উপযোগী রসবোধ এই ধরণের সাতটি ঘোড়া যেসাহিত্যিক সংযম-রশ্মির দ্বারা আtয়ত্তের মধ্যে রেথে চালাতে পারেন, তিনিই উচুদরের সাহিত।শ্রষ্ট। না হ’লে সক্ষম• সারথির হাতে পড়ে বিদ্রোহী ঘোড়াগুলি যেমন রথটকে শেষে খানায় ফেলে বা বিপথে নিয়ে য়ায়, তেমনই অক্ষম সাহিত্যিকের হাতে ও রচনার মধ্যে পরিকল্পনায় অসামঞ্জস্থ্যের সঙ্গে ভাষার ঐশ্বৰ্য্য, ব্যাকরণজ্ঞানের অধিক্যের সঙ্গে রসবোধের অভাব, ভাবের গভীরতার সঙ্গে ভাষার দৈন্য অনবরত বিরোধ করতে থাকে এবং শেষপৰ্যন্ত ফুসাহিত্য । স্বষ্টি হয়। সাহিত্যরথীর লক্ষ্য হবে এই সাত ঘোড়ার* রথকে সমাজের প্রতি কল্যাণবুদ্ধি রূপ দক্ষ সারথির দ্বারা ; চালনা করানো। প্রত্যেক সংসাহিত্যস্রষ্টার ভিতরের এবং : বাহিরের দিক দিয়ে ইহাই সাধনার আদর্শ। এই আদর্শ ঠিক থাকলে সাহিত্যিকের ক্ষমতা অনুযায়ী সাহিত্যে ক্রটি-বিচূতির আধিক্য বা অল্পত থাকলেও এবং সাহিত্য * সৰ্ব্বক্ষেত্রে সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর হতে না পারলেও তাহ স্বসাহিত্য হবে এবং পথভ্রষ্ট না হওয়ায় তার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আশ * করবার কারণ থাকবে । -ബ আফ্রিকার নিগ্রে শিম্প শ্ৰীমুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় - [ s ] একটা ব্যক্তিগত কথা দিয়া প্রসঙ্গ আরম্ভ করিতেছি । ১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৯শে তারিখে বিলাতে পদার্পণ করি, জাহাজ হইতে নামিয় ঐ দিন লওনে পহুছি। ২রা অক্টোবর প্রথম ব্রিটিশ-মিউজিয়ম (দখিতে যাই, সেদিন কিন্তু ভাল করিয়া দেখা হয় নাই । তারপরে দুই একবার মিউজিমমে গিয়াছিলাম-মিউজিয়মে রক্ষিত কতকগুলি বিশ্ব-বিশ্রত শিল্পদ্রব্য দেখিম! আসি—যেমন, Eigin Marbles নামে স্থপরিচিত আথেন্স নগরীর পাৰ্থেনন মন্দিরের খোদিত চিত্র ও মূৰ্ত্তির সংগ্রহ ; আমাদের ভারতবর্ষের অমরাবতীর ভাস্কৰ্য্য ; প্রাচীন মিসর ও আসিরিয়ার ভাস্কৰ্য্য ; ইত্যাদি । তার পরে ১৪ই তারিখে আবার ব্রিটিশ-মিউজিল্লুমে যাই ; ঐ দিনটা আমার কাছে একট স্মরণীয় দিন বলিয়া মনে হয়। ইউরোপে অবস্থানকালে """"" واسسجين ۹" و نیستی কতকগুলি বিভিন্ন দেশ ও কালের শিল্প সম্বন্ধে, কেবল বার-বার দেখার ফলেই, আমার মন সচেত হইয়া উঠে ; আগে বে জিনিসের কথা জানিতাম না, আমার নিকট যাহার কোনও মূল্য ছিল না, কেবল ভূয়োভূয় দর্শনের ফলে সেই সব জিনিস আমার কাছে স্বরূপে আত্মপ্রকাশ কম্বিয়াছে— মানবের সৌন্দৰ্য্য-স্থষ্টির বিচিত্রতা ও দেশ-কাল-পাত্র বশে এই বিচিত্র সৌন্দৰ্য্য-সৃষ্টির অবশুম্ভাবিতা আমাকে মুগ্ধ করিমুছে । এই সব জিনিসের মধ্যে উল্লেখ করিতে পারা যায়—গ্রীসের স্বপ্রাচীন হেল্লেনীয় যুগের ভাস্কর্ঘ্য ৪ ঘট-চিত্র ; ৰিজাস্তানীয় ভাস্কৰ্য্য ও mosaic অর্থাৎ, রঙ্গীন কাচের টুকরা সাজাইয়া তৈয়ারী ভিত্তি-চিত্র ; “গথিক” ভাস্কৰ্য্য ; ইতালীর প্রাগরাফাএল যুগের চিত্রকলা ; প্রাচীন চীনা ভাস্কৰ্য্য ; ইত্যাদি। ১৪ই অক্টোবর ব্রিটিশ-মিউজিয়মের Ethnological Gallery