পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&So যতই নিন্দ করা যাউক, উহার একটা আকর্ষণী শক্তি স্বসভ্য ইউরোপকে স্বীকার করিতে হইয়াছে, এবং এই Jazz বাদ্য, আমেরিকায় নূতন অবস্থা-গতিকে পরিবর্তিত নিগ্রোদেরই স্মৃষ্টি । আফ্রিকায় নিগ্রোদের বাদ্যের মধ্যে ছিল কেবলমাত্র কাঠের গুড়ি ফাপা করিয়া তৈ৯ারী ঢোল ; এই ঢোল খালি নাচের জন্য বাজান হইত ;-দূরে সংবাদ পাঠাইবার জন্যও ঢোল বাজাইত, ঢোলের বিভিন্ন বুলি টেলিগ্রাফের টক-টরের মত কাজ করিত। Jazz hand-এর মুথ্য প্রয়োগও ন চের জন্য ! নিগ্রোদের চরিত্রে একটা গভীর বিশ্বাসের ও আত্মসমর্পণের এবং সেই সঙ্গে বিষাদের ভাবও দেখা যায় । আমেরিকায় এই ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস ও বিষাদময় SSRది সেই ভাবটী, কুত্তদাস অবস্থায় বহু অত্যাচার সহ করায় নিগ্রোদের মধ্যে পুষ্টিলাভ করিয়াছে । আমেরিকার নিগ্রোর। খ্ৰীষ্টান হইয়াছে, ধৰ্ম্ম-সঙ্গীতে ও করুণরসাত্মক সঙ্গীতেও কুতিত্ব দেখাইয়াছে । এতদ্ভিন্ন, আফ্রিকা হইতে যে সকল পশু-বিষয়ক আখ্যান উহার লইয়া গিয়াছিল, সেগুলি আমেরিকায় সংগৃহীত হইয়া, “নিগ্রোদের হিতোপদেশ বা পঞ্চতন্ত্র” গ্রন্থ-স্বরূপ বিদ্যমান । এই সব বিষয়, বিশুদ্ধ নিগ্রোদের প্রকটিত ব স্থপ্ত মানসিক উৎকর্যের পরিচায়ক ।*

  • আগামী সংখ্যায় সমাপ্য । এই সংখ্যায় প্রকাশিত চিত্রাবলীর বর্ণনা আগাম সংখ্যায় প্রকাশ আ শে থাকিবে ।

ভারতীয় সংস্কৃতির গোড়ার কথা অধ্যাপক শ্ৰীঅমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ ভারতীয় সংস্কৃতির গোড়ার কথা বলিতে হইলে নানা কথারই আলোচনা আসিয় পড়ে, ব্যাপারও বিরাঢ় হইয়া উঠে । প্রাসঙ্গিক বহু বিষয়ের অবভারণ না করিলে বিযয়টিও পরিস্ফুট হয় না। কাজেই সৰ্ব্বপ্রথমে দিগদর্শন হিসাবে বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে কয়েকট কথা বলিব । পরে মূল বিষয়ের স্বচনা করিব । প্রাগৈতিহাসিক যুগ হইতেই যে মানবজাতি বিভক্ত হইয়। গিয় ছে তাহা সকলেই মানিয়া লইয়াছেন। আয্য, নিগ্রো, মঙ্গোলিয়ান প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিভাগের পশ্চাতে নৃতত্ত্বও বিশেষ কোন সংবাদ দিতে পারে না । কিন্তু তাহাদের zojo Hofs (culture) s Messio (civilization) বৈশিষ্ট্যও অস্বীকার করা যায় না। ভৌগোলিক সংস্থানের ফলে দীর্ঘ যুগ যাপন করিয়া বিভিন্ন খণ্ড খণ্ড মানব-সমাজে এক একটি সংস্কৃতি--- তথা সভ্যতা বিশিষ্ট সত্তা বা ব্যক্তিত্ব লইয়া গড়িয়া উঠিয়াছে। সেই মানব-সমাজের আকৃতির বৈশিষ্ট্য যেমন অস্বীকার করা সম্ভব নয়, তেমনি তাহার প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যও অবশু স্বীকাৰ্য্য। আবার সকল মল্লয্যের মধ্যে এমন একটি সাধারণ বস্তু আছে যাহা মানুষকে অন্য সকল জীব হইতে পৃথক করিয়া রাথিয়াছে ; তাহ মানব-মনের সূৰ্ব্বসাধারণত্ব । আর ইহাই বিশ্বমানবতার নিদানভূত । একটা জাতিকে সাধারণ মনুষ্যজাতি হইতে পৃথক্ করিয়া বিশেষ নামে যে অভিহিত করি তাহার নীতি হইতেছে এই যে, সকল মনুষ্যসমাজ হইতে এক একটি বিশেষ অংশ সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে নির্দিষ্ট বিশেষ বিশেষ খণ্ডে প্রাচীন কাল হইতে বাস করিয়া আলিতেছে। ফলে, এক একটি বিশেষ অংশের অনুষ্ঠান ও ধৰ্ম্মের স্বাতন্ত্রা গড়িয়া উঠিয়াছে । ইহাই এক একটি জাতির ব্যক্তিত্ব, বৈশিষ্ট্য বা সংস্কৃতি । এই বৈশিষ্ট সত্ত্বেও বহু ব্যাপারে ইহাদের মধ্যে পরস্পরের ঐক্য ও সাধারণত্ব অক্ষুন্ন রহিয়া গিয়াছে। এক জাতি যাহা ভাবিয়াছে, অন্ত জাতিও হয়তে সেই একই ভাবন করিয়াছে; এক জাতির সমস্ত হয়তো অন্ত জাতির সমস্যার সঙ্গে অনেকাংশে মেলে, তাহার সমাধানেও হয়তে অদ্বিতীয়ত্ব নাই ; কিন্তু একটি জাতির চিন্তার ধারা এবং সমাধানের ধারায় অপূৰ্ব্বত্ব