শ্রাবণ : করিয়া বিচার করাকে আমরা পুঙ্খা কু পুঙ্খ রূপে বিচার করা বলি । পূৰ্ব্বে যা দৃচ্ছি ক সা চু না সি কী করণে র কথা উল্লেখ করিয়াছি । ভাষার প্রকৃতি আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, সংযুক্ত বর্ণ-স্থলে বদি পূর্বের বর্ণটির লোপ হয় তবে বস্থ স্থলে ঐ লুপ্ত বর্ণের পূর্ববৰ্ত্তী স্বরটি সামুনাসিক হইয়া যায়। কেন হয় ইহা বলা শক্ত । এই সামুনাসিক করাকেই যা দৃচ্ছি ক সা চু না সি কী ক র ণ বলা হয়। সং অ ক্ষি, প্রা. অ কৃথি । এখানে ককারের লোপ ও তাহার পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী অকার ( যtং নিজের গুরুমাত্রাকে অব্যাহত রাখিবার জন্য আকার হইয়া যায় তাহা ) সামুনাসিক হওয়াম বাংলায় অ কৃ খি হইতে অঁ থি হইয়াছে। এই নিয়মেই মূল লক্ষ ণ হইতে প্রী ল চছ ণ, ইহা হইতে লা স্থ ন । কিন্তু ইহ সংস্কৃতে খুবই চলে ; যেমন, মৃগ লা স্থ ন চন্দ্র । এইরূপ মা জঁ ন হইতে ম জ ন, এবং তাঁহা হইতে মঞ্জ ন । কবিরাজ মহাশয়দের দ স্ত ম : নে র ম গু ন সংস্কৃত নহে। এইরূপেই ক্রমশ সং. গ জঁ ন > প্র, গ ধ্ৰু ন ; সং. ক ৰ্ত্ত ক > প্রা. ক টি ক ; ইত্যাদি অনেক, অনেক । সংস্কৃতে বি কট শব্দের প্রয়োগ ঋ থে দ হইতেই দেখা যায়। কিন্তু ইহা একেবারে খাটি সংস্কৃত নহে। মূল fব ক্ল ত হইতে প্রাকৃতের প্রভাবে বি কট এই শব্দ হইয়াছে । এখানে ঋকার মূর্ধনা বলিয়া তাহার সংসর্গ ও প্রভাবে দস্ত্য তকার মূর্ধন্য টকারে পরিণত হইয়াছে। ঋ শ্বে দে বি কৃত ও বি কট এই দুই পদই পাওয়া যায়। পরবর্তী শাদিকের বি কট পদের যথার্থ সমাধান করিতে ন পারামু এবং স স্ক ট, উ ৎ ক ট ইত্যাদি বহু পদ দেখিয়া স্বতন্ত্র Vক টু ধাতু কল্পনা করিয়াছেন । এইরূপেই বস্তুত মূল সংস্কৃত ভূ ত ( vভূ+ত) হইতে ভ ট, আর বস্তুত উ দু ভূ ত হইতেছে উম্ভ ট। উ ভূ ত শব্দের অর্থ উদ্ধৃত { vভূ ধাতুর অর্থ "ধারণ’ ও ‘পোষণ, এখানে ধারণ')। তাই উদ্ভট কবিতার আসল অর্থ উদ্ধৃত ( quoted ) কবিতা ' ব্যাকরণে vভ ট নামে একটি স্বতন্ত্র ধাতু কল্পিত হইয়াছে। vপ ত ধাতুই তকার স্থানে টকার হওয়ায় প টু জাকার ধারণ করিয়াছে । উ ৎ, পা ত য় ভি আর উ ৎ পাট য় তি বস্তুত একই । istamiseer Շ:Հ Օ: vপি ধ + ত হইতে পি ষ্ট, প্রা. পি টু ঠ, ইহা হইতে ক্রমশ পীড় । ইহাই নামধাতুরূপে গৃহীত হয়। তাহ হইতে পী ডু য় তি, পী ভু ক, পী ড়ি ত প্রভৃতি পদ হইয়াছে। সংস্কৃতে মনো র থ শব্দ খুবই প্রচলিত। কিন্তু ইহার ব্যুৎপত্তি কি ? শাদিকের বলিবেন “মন এব রথোহন্ত্রে । মনে রথ ইব বা " এখানে যেমন-তেমন করিয়া শব্দসন্নিবেশট দেখান হুইয়াছে, যথাভূত অর্থের দিকে কোনো লক্ষ্য রাখা হয় নাই। মূলত প্রথমে ছিল মনো খ ( = ম নো ই ধ) । ইহার আক্ষরিক অর্থ মনের প্রার্থনীম্ব বিষয় । যেমন, দ শ ন হইতে দ র শ ন, তপ ণ হইতে ত র প ৭, ইত্যাদি স্ব র ভক্তি হেতু বি প্রক ধণে উৎপন্ন, সেইরূপ ম নো খ হইতে মনো র থ শব্দও উৎপন্ন হইয়াছে। গে হ শব্দ সংস্কৃতে আছে, বৈদিক ভাষাতেও ইহার প্রয়োগ আছে। কিন্তু বস্তুত ইহা প্রাকৃত। yগ্রহ ( < মূল vগ্র ভ) হইতে গৃহ > *গ্রেহ > গে হ। ঋ কখনো-কখনো রে হইয়া উচ্চারিত হয়। য জুৰ্ব্বে দে র এক শিক্ষার অমুসরণে ক্ল ষ্ণো হ সি উচ্চারিত হয় ক্রে ষ্ণো ই সি । পালিপ্রাকৃতেও এইরূপ আছে। এই নিয়মে গৃ হ হয় *গ্রেহ। পরে প্রাক্লতে রফলার লোপ হয় বলিয়া গ্রে হু হইতে গেহ । সংস্কৃতে ক দ স্ন, ক দ খ, ক দু ষ ইত্যাদি শব্দ আছে । বৈয়াকরণেরা বলিবেন, এই সকল স্থলে কু শব্দ স্থানে ক দ। আদেশ হইমাছে ( পাণিনি ৬, ৩, ১০১ ) । কিন্তু ইহার কোনো প্রমাণ নাই । এইরূপ কী পুরু ব, কা প থ, ইত্যাদি স্থলে তাহাদের মতে কু শৰ স্থানে কী আদেশ হইয়াছে। কিন্তু ইহাও কল্পনামাত্র । যেমন বদ, ত দ, এ ত দ, অন্ত দ (তুলনীয় অ দ্য দী য়, ক্লীবলিঙ্গের এক বচনে অ দ্য দ), মদ (তুলনীয় ম দী য় ), ত্ব দ (তুলনীম ত্ব দী য় ), ভ ব দ, ইত্যাদি সৰ্ব্বনাম দকারাস্ত, তেমনি প্রসিদ্ধ কি ম্ শব্দেরই অর্থে দকারান্ত ক দ শব্দ । সে কি সখা? ইহা বলিলে অনেক সময়ে আমরা বুঝি যে, সে কুৎসিত বা নিন্দিত সখা । এখানে কি শব্দে ( বা সংস্কৃত কি ম্ শব্দে ) নিন্দ প্রকাশ পায়। বলা বাহুল্য, সংস্কৃতে এরূপ প্রয়োগ অনেক ; যেমন, ভারবি লিথিয়াছেন—
