পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

位Nごい。

ఏన98S

নানাস্থানে নিযুক্ত রহিয়াছেন। তাহদের মধ্যে অনেককেই রেজুন হইতে অতি দূরবর্তী স্থানে আত্মীয়বন্ধুস্বজনবিহীন অবস্থায় বাস করিতে হয়। এমন অনেক স্থানও আছে যেখানে যাইতে হইলে রেঙ্গুন হইতেও চারি-পাচ দিন সময় লাগে। সেই সকল স্থানের অৰ্দ্ধ-সভ্য অধিবাসীরাই প্রধানতঃ তাহদের প্রতিবেশী । খুব বেশী হইলে তথায় ভারতবর্ষেরই অন্য প্রদেশবাসী দু-একটি লোক হয়ত পাওয়া যায় । দ্বিতীয় বাঙালীর মুখদর্শনই অতি দুলভ । তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ হয়ত স্ত্রীপুত্রপরিবার লইয়াও বাস করেন । এই সকল সুদূর পাৰ্ব্বত্য অথবা অরণ্যসস্কুলস্থাননিবাসী বঙ্গসস্তানদের বিষয় কয় জন অবগত আছেন ? তাহাদিগকে যেরূপ স্থানে ও অবস্থায় বাস করিতে হয় তাহা সকলেরই সহাহুভূতি উদ্রেক করে । বস্তুত: ব্ৰহ্মদেশের এমন একটিও বিশিষ্ট শহর নাই যেখানে অন্ততঃ এক জন বাঙালীও নাই । সরকারী কার্য্যে নিযুক্ত বাঙালীদের মধ্যে অনেকে খুব উচ্চপদে অধিষ্ঠিত আছেন । ইদানীংও রেঙ্গুনে সরকারী দপ্তরখানায় একাধিক বাঙালী খুব উচ্চপদে নিযুক্ত রহিয়াছেন। গত দুই বৎসরের মধ্যে এইরূপ অনেক . বাঙালী বিভিন্ন ক্ষেত্রে খুব যোগ্যতার সহিত কাৰ্য্য করিয়া রাজসম্মান লাভাস্তে অবসরগ্রহণ করিয়াছেন । বর্তমানেও চিকিৎসা-বিভাগে সিভিল-সার্জনের পদে, পূৰ্ত্ত বিভাগে এক্সিকিউটিভ এঞ্জিনিয়ারের পদে, শিক্ষা-বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ অধ্যাপক-পদে অনেকে যোগ্যতার সহিত কাৰ্য্য করিতেছেন । তদ্ভিন্ন অপেক্ষাকৃত নিম্নপদেও বহু বঙালী ব্রহ্মদেশের নানাস্থানে নিযুক্ত রহিয়াছেন । এই সকল ব্যক্তির মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু। শিক্ষিত বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে উচ্চপদস্থ ব্যক্তি খুব বেশী নাই। চাকুরীক্ষেত্রে মুসলমানরা অপেক্ষাকৃত । পশ্চাৎপদ হইলেও অন্যান্ত বিষয়ে, বিশেষত: ব্যবসাবাণিজ্যক্ষেত্রে, তাহদের অবস্থা হিন্দুদের অপেক্ষ ভাল। শিক্ষা-বিভাগে পূৰ্ব্বোক্ত কয়েক জন অধ্যাপক ভিন্ন বস্তু বাঙালী উচ্চবিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকের কার্য্য করিতেছেন। পূৰ্ব্বে এইরূপ শিক্ষকের সংখ্যা অনেক বেশী ছিল । বৰ্ত্তমানে নৃত্ন কাৰ্য্যে বাঙালী নিযুক্ত হওয়া বন্ধ হইয়াছে বলিলেই হয় । পুরাতন ধাহার রহিয়া গিয়াছেন, প্তাহাদেরও অনেকের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাশূন্য নহে। দুইটি উচ্চরিদ্যালয়ে মাত্র দুই জন বাঙালী প্রধান শিক্ষকের পদে অধিষ্ঠিত আছেন। ব্রহ্মদেশের কোন উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদলাভ বাঙালীর পক্ষে একান্তই দুলভ বলিলে অত্যুক্তি করা হয় না । তৎসত্ত্বেও যে দুই জন মাত্র ঐরূপ দায়িত্বপূর্ণ পদে প্রতিষ্ঠিত আছেন তজ্জন্ত বাঙালী মাত্রই আনন্দিত হইবেন । রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলিতে পূৰ্ব্বে অনেক বাঙালী অধ্যাপক-পদে নিযুক্ত ছিলেন। ক্রমে র্তাহীদের অনেককেই চলিয়া আসিতে হইয়াছে এবং একাধিক ব্যক্তিকে অন্যায়ৰূপে কৰ্ম্মচ্যুত করা হইয়াছে। বৰ্ত্তমানে র্যাহারা আছেন তাহাদের ভবিষ্যৎও যে বিপদশূন্ত তাহ জোরের সহিত বলা ुम्नि क्रा ! সকল প্রকার চাকুরীতেই ভারতবাসীদের, বিশেষভাবে বাঙালীর, প্রবেশলাভ দুলভ হইয়া উঠিতেছে। রেঙ্গুনে এঞ্জিনীয়ারিং কলেজ এবং মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হইবার পর হইতে পূৰ্ত্ত ও চিকিৎসা বিভাগে স্থায়ী ভাবে সহজে কোন বাঙালীকে লণ্ডয়া হয় না। সাধারণ কের শীর কার্য্যে যাহারা নিযুক্ত আছেন, তাহদের পুত্রেরা যে ভবিষ্যতে ঐদেশে কোনরূপ কাৰ্য্যলাভ করিতে সমর্থ হইবে তাহ বলা কঠিন । বস্তুতঃ এখন হষ্টতেই ব্ৰহ্মপ্রবাসী বাঙালীদের সস্তানগণের ভবিষ্যৎ গুরুতর চিস্তার কারণ হইয়া উঠিতেছে । চাকুরী ভিন্ন অপর এক ক্ষেত্রে বাঙালীরা ব্ৰহ্মদেশের সৰ্ব্বত্রই বিশেষ প্রতিষ্ঠ লাভ করিয়াছেন। তাহ আইন ব্যবসায় । ব্ৰহ্মদেশে প্রায় প্রত্যেক জেলার সদরে অথবা মহকুমায় বাঙালী ব্যবহারজীবী আছেন। রেঙ্গুন শহরেই প্রায় এক শত বাঙালী ব্যবহারজীবী রহিয়াছেন। সৰ্ব্বত্রই ইহার নিজ ক্ষমতাবলে এই কাৰ্য্যে বিশেষ প্রতিষ্ঠা অর্জন করিয়াছেন । মফস্বলের অধিকাংশ স্থলে বাঙালী ব্যবহারজীবীরাই শীর্ষস্থান অধিকার করিয়া আছেন। র্তাহীদের মধ্যে কয়েক জন সরকারী উকীলের পদে অধিষ্ঠিত আছেন। বস্তুতঃ বাঙালী আইনব্যবসায়ীরা ব্ৰহ্মদেশে সৰ্ব্বত্র—বিশেবভাবে মফস্বলে-আইন-ব্যবসায়ের একটি উচ্চ মান ( standard ) স্থাপন করিতে সমর্থ হইয়াছেন । এই বিষয়ে ভারতবর্ষের অন্যান্ত প্রদেশের লোকের বাঙালীদের বন্থ পশ্চাতে পড়িয়া রহিয়াছেন। এই সকল আইনজীবীর অনেকেই প্রথমে ব্রহ্মদেশের