পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8o &প্রবচনীটে ఎ98S হইতে আমদানী, উড়িয়াতেই প্রথম স্বৰ্ষ্ট হয় নাই, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। ওসিয়", খাজুরাহ, কাংড়া, পটাদকল প্রভৃতি স্থানে সমকালে উৎকৃষ্ট মন্দির দেখা যায় এবং সেগুলির মোট গড়ন উড়িষ্যারই মত। খৃষ্টীয় নবম-দশম শতকেই যখন এই ব্যবস্থা তখন শৈলীটি নবম শতকের পূৰ্পে কোনও সময়ে উত্তর-ভারতের বেগুনীর গায়ে প্রাচীন মুষ্ট্রি কোনও স্থানে আবিষ্কৃত হইয় নবম শতক নাগাদ চতুৰ্দ্দিকে ছড়াইয় পড়ে। সেই অসুমিত কেন্দ্রের সহিত ভুবনেশ্বরের যোগ নিশ্চয়ই খুষ্টীয় নবম ও খৃষ্টপূৰ্ব্ব দ্বিতীয়-তৃতীয় শতকের মধ্যে ছিল। গোড়ার চেয়ে শেষের দিকেই তাহা ঘনিষ্ঠ থাকা বেশী সম্ভব। সেই যোগ কিরূপ ছিল এবং কোন পথেই বা সেই শিল্পসম্বন্ধের সূত্র ছিল তাহ আমাদের এখন অনুসন্ধান করা আবশুক । মহানদীর উভয় কৃলে সোনপুর, বৌদ, নরসিংপুর প্রভৃতি করদরাজ্যে কতকগুলি পুরাতন মন্দির দেখিতে পাওয় যায়। তাহাদের কোন কোন লক্ষণ ভুবনেশ্বরের প্রাচীন মন্দিরগুলির মত। অতএব উত্তর-ভারতের যে অমুমিত কেন্দ্রের কথা আমরা বলিয়াছি তাহার সহিত উড়িষ্যার যোগাযোগ হয়ত বা মহানদীপথেই হইত। মহানদী ছাড়াইয়া পথটি হয় সম্বলপুর ও ববগড়ের ভিতর দিব, নয় ত গাংপুরের দিক দিয়া গিয়াছিল। যাহাই হউক, ভুবনেশ্বরের প্রাচীন কীৰ্ত্তিগুলির সম্বন্ধে পৰ্য্যালোচনা করিতে গিয়া আমরা প্রথমে কয়েকটি অনুমান, পবে ইঙ্গিত ও তৎপরে কতকগুলি নুতন তথ্যের সন্ধান পাইলাম। উড়িষ্যার সঙ্গে উত্তর-ভারতের কোনও প্রাচীন শিল্পকেন্দ্রের মোগল্পত্রের অঙ্কুমান তেমনই পাওয় গেল এবং কোন পথে অগ্রসর হইলে আরও কিছু তথ্য পাওয। যাইতে পারে তাহারও সূতন ঈঙ্গিত লাভ করা গেল । ইতিহাসে তিন তথ্য লাভ করিবার ইহাই ইল পন্থ। । ঐতিহাসিক তখনই বলিতে পারেন যে তিনি সত্য পাইয়াছেন যখন তিনি একটি যুগের মানুষের প্রধান কীর্তিগুলি এবং সেই কীৰ্ত্তি-রচনার পিছনে ধে উদ্দেহ কায্য করিয়াছে তাহার সম্বন্ধে সম্যক্ জ্ঞানলাভ করিয়াছেন। তাহার কম যাহাই হইবে তাই অনুমান। অনুমান লইয়। কেহ বড়াই করে না । তাহার মূল্য হইল এই যে, তাহা আমাদিগকে নৃতন তথ্য ভাণ্ডারের দিকে ইঙ্গিত দেয়। হত সে-তথ্য আবিষ্কৃত হইলে পুনরায় শুদ্ধতর অনুমান গঠন করিতে হম, আবার সেই অকুমানে নুতন ইঙ্গিত দেয়। এমনি একটির পর একটি পা করিয়া ঐতিহাসিক অনাবিষ্কৃত তথ্যের অন্ধবনানীর মধ্যে বিচরণ করেন। যে অনুমান দূরের সন্ধান দেয়, গভীরতম লোকের সন্ধান দেয় তাহাই মূল্যবান ; কিন্তু অনুমান চিরকালই অনুমান। সত্য সম্পূর্ণ। লোকে সহজে তাহাকে পাম না। হয়ত ঐতিহাসিককে চিরজীবন ব্যাধের মত সেই মায়ামৃগের পশ্চাতে ছুটয় বেড়াইতে হয়। ইহাই তাহার লাভ, ইহাতেই তাহার আনন্দ।