পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ άακό 關 খোলসটা ফেলির দিল । উৰ্ম্মিল! ইপি ছাড়িয়া বাচিল । সমস্ত দিন হাসিমুথে কাটানোই তাহার আজন্মের অভ্যাস, জয়ন্ত্রীর ভয়ে এই ক'দিন সে একবারও হাসে নাই । কালের অনেক সভ্যস তাহার ছাড়িয়া দিতে হইয়াছে । বিকালবেলা চুল বাধিয়া গা ধুইয়া রঙীন শাড়ী ও কৃষ্ণুমের টিপ পর ত হার অনেক দিলে ব সখের অভ্যাস । কিন্তু জয়ন্তী আসিয়া পর্যাস্ত সকালের মোট কাপড়েই সে সারা দিন কটাইতেছে । জয়ন্তী বলিল—“হ্যা রে উৰ্ম্মি, চুল BBBBS BBS BBB BBS BBS TT BBBB BB BB BB উঠেছিস ?” উৰ্ম্মিল। বলিল—“তোমার ভাই এত রূপ, তুমি অমনি স গিনী হয়ে থাকবে আর আমি কি ব’লে পেচামুথের ঙ্গ বীর বহার ক’রে বেড়াব ?” জয়ন্তী তাকে কাছে টালিয়। লইয়। বলিল—“ অ! গেল KSBBSBB BB BBSBSS BBBB BBBS BBB B BBB BSBSS BB B BB BB SB DDS BBB BB BBB আমনি ধ।ঙড়ের মত ঘুরতে দিলাম আর কি ? ন, শাগির সি তে কঁটি নিয়ে আয়, আমি বেধে দিচ্ছি চুল ।" জয়ন্তী নিজঙ্গাতে উৰ্ম্মিলাকে সাজাইয়। গুছাইয়া কপালে কুকুয়েব টিপ দিয়৷ দিল । উৰ্ম্মিল হাসিয়া বলিল—“তোমার মতন এমন করে সাজাতে চুল বঁধতে আমি আর কাউকে দেখিনি ভাই । ভগবান কি-ন! তোমারই সাজায় বাদ তোমার দুটি হাতে ধরি ভাই অমন কালে বশমের মত চুলগুলোর অযত্ন করে না, আমি একটু বেধে দি । দেখে আমার চোখ দুটো সার্থক হোক, তাতে কোনো পাপ নেক্ট ’ জয়ন্তী হাসিয়া মাথার কাপড়ট, খুলিয়। দিল, কিন্তু কথার কোনে জবাব দিল না । উৰ্ম্মিল! সেই সুদীর্ঘ কালে চুলে অনভ্যস্ত হাতে যথাসাধ্য পরিপাটি করিয়া বেণী বাধিয়া ঘাড়ের কাছে শিথিল কবরী জুলাইয়া দিল । বাগান হইতে চারিটি রজনীগন্ধ। ফুল আনিয়া খোপায় গুজিয়া দিতেই জয়ন্তী “দূর লক্ষ্মীছাড়ী" বলিয় তাহার পিঠে একট প্রচণ্ড চড় দিল । উৰ্ম্মিল। তাহার-দুই হাত ধরিয়া বলিল—“মার আর ধর, ফুল কিন্তু ফেলতে দেব না । সরস্বতীর মত রূপে সাদা ফুল কেমন দেখায় জান না ত ?” 8 ٭-سسس ہ % চির স বলেন | শমীন্দ্র আপিসের কাজ সরিয়া সবে বাড়ি ফিরিতেছিল । ঘরে পা দিয়াই এমন প্রসাধনের ঘট| দেখিয়৷ বলিল—“বাবা, কার মন ভোলতে তোমাদের এত সাজসজ্জা লেগে গেছে ?” জয়ন্তী বলিল—“কর আবার ? তুমি থেটেখুটে আপিস থেকে এসে দেখবে বৌ রান্নাঘরের কালী মেথে বেড়াচ্ছে, তই তোমার লুন্দরী বেীকে একটু সাজিয়ে দিচ্ছিলাম । সাহেবদের হড়িমুপের পর এই সুন্দর মুখখন কেমণ লাগছে ?” উৰ্ম্মিল অত্যন্ত আপত্তি করিয়া মাথা নড়িয়া বলিল-- “ আহি সুন্দরী না বান্দরী ! দিদি যেন কি ? হ্যাগ, সত্যি ক’রে বল দেখি, দিদি আমি র চেয়ে হাজারগুণে সুন্দরী চুলট একটু বেঁধে দিতেই মনে হচ্ছে যেন নুরজাহান বেগম ” শমীন্দ্র একটু হাসিয়া বলিল, “ও-সব তুলনামূলক সমালোচনা করবার আমার সাহস নেই বাপু ! শেঘকালে কোন ব্রাহ্মণীর কে পানলে পড়ব কে জানে ?” মুপে সাহাই বলুক্‌ শমীন্দ্রের সম্প্রশংস রূপমুগ্ধ দৃষ্টি জয়ন্তীর মুখের উপর চকিতের মত স্থির হক্টর; দ{ড়াইল । বধুবেশে জয়ন্তীকে প্রতিদিনই সে দেখিয়াছে, কিন্তু জয়ন্তীর অঙ্গে অঙ্গে নে এমন অগ্নিশিখর মত রূপ বিচ্ছুরিত হইয় পড়ে তাহ। ত সে কোনো দিল দেখে নাই । রত্রে উম্মিলাকে শমীন্দ্র বলিল—“বোঁদি ছেলেবেলা ত এত নয় ! সুন্দর ছিল ন । বিধবা হয়ে সত্যিই রূপ হয়েছে যেন নুরজাহান বেগম । কিন্তু বেচারীর ভাগ্যলিপি বিখাত এমন লিখলেন যে কেল ?” পরের দিন বিকালে চুল বাধিবার সময় উৰ্ম্মিল। জয়ন্তীর হাত দুখন ধরিয়া বলিল—“আমি ত ভাই ঘরের লোক, আমার কাছে ভয় করবার কিছু নেই। এমন হাত দুখানায় দু-গাছা চুড়ি পরলে কি হয় ? পীর না ভাই লক্ষ্মীটি, কে আর দেখতে আসছে ?” জয়ন্তী বলিল—“হাজার লোকের হাআর কথা শুনতে হবে ত? ছ-গাছ চুড়ির জন্তে অত সইতে পারব না ।” উৰ্ম্মিল! বলিল—“আর কেন লোক কিছু বলুবে না । শুধু তোমার দেওর বলবে। কান্স বলছিল নূরজাহান