পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ ঘর হইতে খুটখাট আওয়াজ আসিতেছে। একবার তা ল: জল অ}বর নিবিয়া যায় । অন্ধকারে পা টিপিয়া টিপিয়া দুই-এক দিন সে দেখিয় আসিয়াছে জয়ন্তী আপনার দেবহুলভ রূপকে প্রসাধনে অপরূপ করিয়া তুলিতেছে, তাহার বিপুল কবরীতে পুষ্পমাল , বর্ষামাত তরুর মত তাহার সতেজ সুন্দর দেহঘষ্টি বেড়িয়া বিচিত্র বর্ণের সুরভিত শড়ী । কিন্তু ভাল করিয়৷ দেখিবার উপায় ছিল ন!, BBBBS BBSBBS BBBB BBBS BBBBS SBBBB BB ফিরিয়া গিয়া শমীদের ঘুম ভাঙাইবার ভয়ে তাড়াতাড়ি শুইয়া পড়িতে হইত ; কারণ এই লুকাইয় দেখাশোনার ব্যাপার শমীন্দ্র মোটেই ভালবাসিত না । উন্মিল কিছু বলিতে গেলেই সে বিরক্ত হইয়া উঠিত । তবু একদিন সঙ্গিস করিয়৷ উৰ্ম্মিল বলিল, “দেখ, দিদির মতিগতি ভাল ব’লে বোধ হচ্ছে না। এব একটা উপায় ত BB BB BBS SSBBBB SBK B BB BBB BBB কে বলতে পারে ? তার চাইতে বরং একটা বিয়েব যাবস্থ৷ কর ভাল |’ শমীন্দ্র বিরক্ত হইয়: বলিল, “কি যে বল তুমি তান ঠিক নেই । তোমার সম্পর্কে বড়, বয়সে বড় তাও কি ভুলে গেলে ? তুটো দুটো ছেলে মেয়ের মা সে, সেটাও ত ভাবতে হবে । গোয়েন্দাগিরি রেথে রাত্রে ঘুমের দিকে মন দিও ত । আমি না-হয় ওঁর অল্পত্ৰ থাকবার ব্যবস্থা করব ।” উৰ্ম্মিল বলিল, “অত আর দরদ দেখাতে হবে না .তামাকে । আমার চেয়েও কি তুমি ওর বেশ হিতৈষী নাকি ?” কথাটা ৰলিয়াই উৰ্ম্মিলার মনে হইল কি জানি হয়ত ইহার ভিতরও কিছু অর্থ আছে। হয়ত শমীন্দ্রই জয়ন্তীকে এখন বেশী ভালবাসে । যে-শমীন্দ্রর মন তাহার নিকট কাচের মত স্বচ্ছ ছিল সেও কি মনের গহনে কোনো অস্তরাল রচনা করিতে শুরু করিয়াছে ? সংসারে সকল অসম্ভবই সম্ভব হয় । জয়ন্তীর ভুবনমোহন সৌন্দর্যে শমীন্দ্রর আত্মবিস্তৃত হওয়া কি এতই অসম্ভব ? একথা কল্পনা করিতেও উৰ্ম্মিলার মস্তিষ্কের শিরাগুলা ছিড়িয় আসিতেছিল, স্থাৎপিণ্ডের গতি যেন থামিয়া যাইতে বিধবার সজ্জণ &ra ছিল । তবু তাহার মনে হইল, কি জানি নাটকে-নভেলে এতদিন যাহা পড়িয়। নানা মত প্রকাশ করিয়া আসিয়াছে, আজ হয়ত তাহার রাষ্টে তাহাই জীবন্তরূপে দেখা দিল । যে স্বামীর প্রেম তাহার কাছে নিঃশ্বাস-বায়ুর মত সহজ সত্য ও প্রয়োজনীয় ছিল তাহার সম্বন্ধে এমন সন্দেহ যে সে কোনোদিন করিতে পরিবে, এ-কথাই সে ইতিপূৰ্ব্বে কখনও ভাবে নাই ! আবার অদৃষ্টের এমনি পরিহাস যে, সংসারে এত মাস্থ্য থাকিতে জয়ন্তীই নায়িকার ভূমিকায় দেখ দিল । মরিবার দিন একমাত্র যাহার হাতে ধস মান সকল সপিন্ন। নিশ্চিন্ত হইয়! মরি;ত পরিবে এতদিন ভাবিয়া অ।সিয়াছিল, সেই কি-না বাচিয়া থাকিতেই সকলের আগে তাহার সকল ধন মান হরণ করিতে বসিল । না, ন}, উম্মিল কিছুতেই এ-সন্দেহকে মনে স্থান দিবে না । একি ? সে কি পাগল হইতে বসিয়াছে যে এমন সব অসম্ভব স্বপ্নকে সত্য বলিয়া ম! নিয়া লইতেছে । এ-কথা লইয়া শমীন্দ্রের সঙ্গিত আর কোনো কথা তুলিবে না ভাবিয়। উৰ্ম্মিল সেখান হইতে চলিয়। গেল । বাত্রি অনেক হইয়াছে । একটু আগে আশ্বিনের পাগল ঝোড়ো বাতাস বাগানের সরি সরি নরিকেল গাছের পাতবে ঝু’টি প্রচণ্ড বেগে নড়িয়া কুদ্ধ গর্জন করিতে করিতে নীরব হইয়। গিয়াছে । ঘন ধুলার অবগুণ্ঠন খসিয়৷ নিৰ্ম্মল নীল আকাশ দেখা দিয়াছে। উৰ্ম্মিল জানাল দিয়। পথের দিকে তাকাইয় দাড়াইয়া আছে । এমন প্রচণ্ড ঝড়ের সময় শমীন্দ্র না-জানি কোথায় ছিল ! এখনও ত তাহার দেখা নাই। উর্মুিলার ব্যাকুল মন অস্থির হইয়া উঠিয়াছে । সমস্ত বাড়ি কথন ঘুমাইয়। পড়িয়াছে । হঠাৎ জয়ন্তীব জানাল দিয়া এক ঝলক বৈদ্যুতিক আলো বাগানের পথের উপর পড়িল উৰ্মিল! সেদিকে চাহিয়৷ দেখিতে না দেখিতে আলোট নিবিয়া গেল । কিন্তু কার যেন মৃদু গলার আওয়াজ { কে যেন ঘরের ভিতর কথা কহিতেছে । উৰ্ম্মিল কান পাতিয়া শুনিল, জয়ন্তীর গলারই ত স্বর । এতে রাত্রে কাতার সহিত সে কথা কহিতেছে ? ছেলেরা ত কখন ঘুমাইয় পড়িয়াছে ! এ ত ছেলেভুলানো কথা নয় । উৰ্ম্মিল আপনার ঘর