পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

தா હ૧૪, ৯৫ংগ্ৰবাসী; 'ఎS8S মালোকে উজ্জ্বল এবং ফুলভারে অচ্ছন্ন এই কক্ষে একটি মখমল-মোড় চেয়ারে নিন্মল বসিয়া আছে। ঘরে আপাততঃ কেহ নাই। একটুক্ষণ পূৰ্ব্বেও যমিনীর বোন এবং বৌদিদির ছিলেন, এখন তাহার। চলিয়া গিয়াছেন যামিনীকে ডাকিয়া দিতে । নিৰ্ম্মল এক বসিয়া খেল জানল দিয়া বহিরের দিকে তাকাইয়া আছে। জানল দিয়া যামিনীদের সুবিস্তৃত বগানের একপ্রান্তে গাছপালার অন্তরালে শতশীর্ণ গঙ্গার একটুখানি রজতধারা দেখা যাইতেছে। আকাশে সবেমাত্র দু-একটি তারা উঠিতে আরম্ভ হইয়াছে । সন্ধ্যার বাত{স মশারির একপ্রস্ত কঁাপাইয়। বহিয়া যাইতেছে । নিৰ্ম্মল সন্ধ্যার ঠিক এই স্বচনাটিতে অষ্টমন৷ হইয়া গিয়াছে। বাহিরে বাগানের ছায়াঙ্কিত জ্যোৎস্ন, শীর্ণ নদীরেথা—এ-সমস্তই কেন মন্ত্রমুগ্ধ অপরিচিত জগৎ হইতে চোখের সম্মুখে সারি বাৰিয়া দাড়াইয়া আছে। তাহারী সুন্দর কিন্তু হৃদয়ে প্রবেশপথ পায় লাই । তাহার নবজীবনের ঠিক আরম্ভেই সে কেমন একরকম শিথিল ক্লাস্ত অবসাদ অনুভব করিতেছে । কিন্তু কেন ? সে প্রশ্নও সে নিজেকে অনেকবার করিয়াছে, উত্তর পায় নাই । এই ত সেদিন সে বাবকে বলিয়ছিল, তিনি যাহা করিতেছেন তাহাতে তাহার ভালই হইবে । সেদিন মনের মধ্যে যে আশ্বাস ষে পরম নির্ভর সে পাই{াছিল সে কি ইয়ারই মধ্যে ফুরাইয় গেল ? কিন্তু আস ল এ অবসাদের কারণ বাহিরের কোন ঘটনায় ছিল না, ছিল তাহার মনে । কাবো উপস্তাসে প্রেমের কথা সে অনেক পড়িয়ছিল ; জীবনে প্রেমের উন্মে হয় নাই বলিয়া প্রেম যে সে একেবারেই বুঝিত না তাহ নহে। কিন্তু তাহার বিকাশেমুখ মন বিবাহের একেবারে অজানা রাজ্যে আসিয়া পড়িয়া এক মুহূর্বে স্বামী ও দাম্পত্যধৰ্ম্ম বুঝিয়। লইবার মত প্রস্তুত ছিল না । যে যামিনী বহু দিনের পূৰ্ব্বরাগের সাধনায় তাহার প্রিয়তম হইয়া উঠিতে পরিত সে একেবারে স্বামী হইয়া আসিয়া নিন্মলার প্রেমকে কুসুমসুরভির মত ধীরে ধীরে জগিবর সময় দিল না । সংসার ও স্বামীর প্রতি কৰ্ত্তলাই তাহর মনে প্রথম দেখা দিল । কৰ্ত্তব্যের বোঝা ও ভয় মনকে অবসর করিয়া তুলিল । শ্বশুরবাড়িত আসিয়া নিৰ্ম্মল! দেখিল মস্তবড় বড়ি আর তাহার চেয়েও বড় পরিবার । জায়েরা, ননদের র্তাহা দর ছেলেপিল, দাসী পরিজন, আশ্রিত-আশ্রিত, কুটুম্ব সমস্ত মিলাইয়া একটা বিরাট সংসার । শ্বশুরবাড়িতে তাহার সমদরের কোন অভাব ঘটিল না । যদিচ বয়স তাহার আঠারে, কিন্তু গঠনে অত্যন্ত কৃশ এবং তন্ত্রী হওয়ায় তা স্থাকে বয়সের চেয়ে ছোট দেখাইত । আর তাহার মুখে ছিল এমন একটি সুকুমার কচি লাবণ্য--- যাহা তরুণীর নয়—একস্তই বালিকর । শাশুড়ীর মনে ধরিয়াছে তাহার রূপ, আর তাহার চেয়েও বেশী মনে ধরিয়াছে তাহার বাবার দেওয়া একরাশি দামী জামা কাপড় এবং একরাশ অলঙ্কার | অবগু সে সমস্ত অলঙ্কার চন্দ্রকস্তি দেন নাই । ঘামিনী কিনিয়া তঁহার কাছে ফেলিয়া দিয় আসিয়ছিল, তিনি কণ্ঠার সঙ্গে দিয়ছেন মাত্র । কিন্তু এত কথা এবাড়ির কে জানে না । সে সকল বধুর পিতর দেও? বলিয়াই লোকে জানে । সমস্ত দেখিয়া-শুনিয়া নিৰ্ম্ম লরি শাশুড়ী প্রীত হইয়াছেন। মুখে না হউক মনে-মনেও তঁহাকে স্বীকার করিতে হইয়াছে তাহার অন্ত সব বধুদের বেলায় তিনি এত পান নাই । আরও যে-সব জী-ননদ আছে তাহার এই সুন্দরী তন্ত্রী তরুণী বধুকে দেখিয় খুশী হইয়া হাসি তমস করিতেছে । র্তাহারাও খুশী, কারণ কলেজে-পড় বিত্ৰী বড় মেয়ে হইলেও নিৰ্ম্মল অত্যন্ত বাধ্য। তঁহার মনে করিয়াছিলন আই-এ পস-কর। থার্ড ইয়ারে পড়িতে পড়িতে বিধেহওয়া মেয়ে বেধ করি ঘোমটা খুলিয়া বিমুনীর নীচ লম্ব রেশমের ফুল ঝুলাইয়া পায়ে স্লিপার পরিয়া ফট্ ফট্‌ করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইবে, হাতের ভ্যাণিটি বাগ হইতে ক্ষণ ক্ষণে এক পোচ পাউডার মাধিবে, চট্‌ করিয়া ছোট আয়নাটা বহির করিয়া হত দিয়া সামনের চুল কান চাকিয় নামাইয় লইবে । কিন্তু তঁহাদের সে মনগড়া মেরে সহিত নিৰ্ম্মলার এতটুকু সাদৃশু ছিল না । সে বড় লক্ষ্মীমেয়ে। বড়বৌদিদি পত কটিয়া চুলগুলি নামাইয়া বেমন করিয়া বীপটাখনি পরাইয়া দিয়াছিলেন তেমনি পরিয়া আছে। মুখ ফুটিয়৷ কিছু আপত্তি করে নাই। কিন্তু একটু ধেন