পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1) ilت: মুক্তি છ૧g" বেণী শান্ত। নিৰ্ম্মলার মধ্যে কেমন বে একটা প্রাণহীন জড়ত । কলর পুতুলর মত যে য। বলিতেছে তাই করিতে ছ, কিন্তু তাহার মন যেন এ-স বর মধ্যে নাই । এই সাংসারিক জগৎ তাহার একেবারে অনভ্যস্ত । এই সকল সাধারণ কথাবাৰ্ত্ত, সংজ আনন, তুচ্ছ বিময় লইয়া আমোদআহলাদ, মাতামাতি, এ-সবেতে সে কিছুতেই যোগ দিতে পারি তছে না । ছোট ননদ মালতী যখন তাহার চুলের গোছা ধরিয়া টাসিয়া দিয়া আদর করিয়া কহিল, “বল না বেী ভাই, কথা বল না | ঃ, আমাদের বে। বড় চালাক । একবার f বুমের মত বস রয়েছে, কিছুই ফাঁস করবে ন, এই ওর পণ । নয় লে, ঠিক ধরেছি কি-না বল্‌ ৷” তা স্থার পরই দু-হাতে কণ্ঠ বেষ্টন করিয়৷ কানের কাছে মুখ লষ্টয়া গিয়া ফিস ফিস করিয়া কহিল, “বল,ন। তাই, তোর বর কাল রাত্রিতে তোকে কি বলেছিল ? অামার মাথা থা বল। আমি কারুকে বলব না।” জীবনের যেপূৰ্ব্বের সহিত অfপ tাকে খাপ খাওয়াতেই তাহার সময় লাগি তছিল, তাহ লই এই কৌতুহল ও হাস্থ্যপরিহাস দেখিয়া নিৰ্ম্মল হঠাৎ প্রবল বিতৃষ্ণায় শিহরিয়া উঠিল । এমনি একটা তরল রসে গদ গদ আবহাওয়ার স্পর্শে তাঙ্গার সমস্ত চিত্ত সঙ্কুচিত হইয়া উঠিল। যা যাদের বুকের কোন প্রকার অসুখ থাকে তাহদের উচু পাহাড়ে জায়গার হাওয়ায় লিঃশ্বাস লইতে কষ্ট বোধ হয়, অস্বস্তি লাগে । নিৰ্ম্মলা এতদিন পর্য্যন্ত আপনার নিঃসঙ্গ মন লইয়। জ্ঞানের এবং ভাবরাজ্যের যে সুতুর্গম গিরিশিপরে বাস করিত সেখান হইতে হঠাৎ নিজেকে সংসারের সাধারণ মনের অতি কোমল পারিপাশ্বিকের মধ্যে বিচুত দেখিয় ক্লিষ্ট হইয়া উঠিতেছিল । চুয়ার বন্ধ করিবার শব্দ হইল। যামিনী ঘরে চুকিয়৷ দরজ বন্ধ করিয়া পালঙ্কের বাজু ধরিয়া দাড়াইল । নিৰ্ম্মল নিজের চিস্তায় এত তন্ময় যে দরজা খোলা এবং বন্ধের সেইটুকু শব্দ শুনিতে পাইল না । তাহার স্তন্ধ অন্তমনস্ক মুখের দিকে যামিনী একদৃষ্টে চাহিয়া থাকিল। সে-মুখের অধিকারিণী এখন কোথায় কতদূরে কোন জগতে চলিয়া গিয়াছে, সে-জগতে কি যামিনীর স্থান নাই ? চাহিয়া চড়িয় তাহার একটা নিঃশ্বাস পড়িল। সামনে যে বসিয়া আছে, এতদি কেবল কাটিয়াছে তাহাক কি করিয়া পাইবে, কেমন করিয়৷ জগতের সকল বাণ ক কাটাইয় তাহাকে একবারে আপনার করিয়া সিজের জীবনের ংলগ্ন করিয়া লইবে সেই চিন্তায় । আজ প্রথম সেই অবসর অসূিল যখন বাহিরের বাণর কথা আর ভাবিতে হইবে না—দখন কেবল দুলভতমাকে মৌনতার অবগুণ্ঠন হইতে বাহির করি। তাহার হৃদরম্পর্শ পাওয়ার অপেক্ষ । যামি কী একটা ছেট চৌকি তাহার কাছে টাসিয়া আনিয়া বসিল । তাহার একটি হাত আপন হাতে তুলিয়া লইয়া উদ্বেল কণ্ঠে ডাকিল, “নিৰ্ম্মল! P সিন্মলার মন একটু নরম হইল। যামিনীর কণ্ঠস্বরে কিছু একটা তাহার ভাল লাগিতেছিল। সে মুখ ভুলিয়া কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়া থাকিয়া মুখ নামাইয়া লইল । যামিনী অধীর হইয়! আবার ডাকিল, “নিৰ্ম্মল ?” নিৰ্ম্মলার ভাল লাগ। যামিনীর অধৈৰ্য্যে আহত হইয়। সঙ্কুচিত হইয় পড়িল । সে বলিল, “কেল ডাকচন ? কিছু বলবেন ?” কিন্তু কিছু বলিবার জন্ত তে যামিনী ডাকে নাই । প্রেমের যে অকারণ চঞ্চল্যে লাম ধরিয়া ডাকিবার আবেগ সেই আবেগেই সে ডাকিয়াছিল, কোন প্রয়োজনে নয় । ভাবিয়ছিল সাড়া পাইবে, যেমন করিয়া বসন্ত আসিয়! কানে কনে ডাকিলে তরুপল্লব সাড়া দেয়, অকারণ আনন্দে নবকিশলয়ে মৰ্ম্মরধ্বনি জাগিয় উঠে—তেমনি করিয়! কাহারও কাছে সাড় পাইবে ভাবিয়াছিল । নিৰ্ম্মলার মনে যে রং ধরিবার উপক্রম হুইতেছিল আপনার অধীর আগ্রহে ঘামিনী তাহ দেখিবার অবসর পায় নাই । কিন্তু নিৰ্ম্মল! যখন প্রশ্ন করিয়! বসিল, “কেন ডাকচেন ?? তখন তাহার একটা উত্তর দেওয়! চাই । তাই তাহার আঙুলগুলি লইয়া নাড়াচাড়। করিতে করিতে বলিল,— “তুমি কেবলই বাবার কথা ভাব, আমার কথা একবারও ভাব না, নয় নীলা ?” “না । তা কেন ?” নিৰ্ম্মলার বাবার প্রতি ভালবাসার মুল্য যে বোঝে না, তাহার কাছে আপনার মন:কষ্ট স্বীকার করিতে সে চাহিল না । “কিন্তু আমি মনে করেছিলুম বাবার জন্তে প্রথম